বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ মশকনিধনে কার্যকর ব্যবস্থার নির্দেশ

ঢাকা মহানগরীতে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও মশকনিধনে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ নিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরীতে মশকনিধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ অন্যান্য দফতর/সংস্থা তাদের কার্যক্রম জোরদার করেছে। কাজেই এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ওয়াসার পানি দূষণের কারণ চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান। গতকাল সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সভাকক্ষে ঢাকা মহানগরীর মশানিধন কার্যক্রম নিয়ে পর্যালোচনা সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান তিনি।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি কনপোরেশন ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধিসহ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্প্রতি ঢাকার ১০টি জোনের ৩৪টি পয়েন্টের পানির নমুনা পরীক্ষা করেছে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়। পরীক্ষায় চারটি জোনের আটটি পয়েন্টের পানি দূষিত থাকার প্রমাণ মিলেছে। এসব স্থানের পানিতে ক্ষতিকর আর্সেনিক, ক্লোরিন, অ্যামোনিয়া ও ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি রয়েছে। গতকাল দূষিত পানি সরবরাহের বিষয়ে ওয়াসার ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ৩৪টি পয়েন্ট থেকে পানি পরীক্ষার পর ২৬টি স্থানের পানিতে দূষণ পাওয়া যায়নি। ৬ বা ৮টিতে কনসার্ন আছে। সেখানে ইকোলাই ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে। তবে সেটি মানবদেহের জন্য অতিমাত্রায় ক্ষতিকর নয়। আমরা একটা জায়গাতেও কোন কন্ট্রামিনিটেড ওয়াটার সাপ্লাই করার পক্ষে নই। ২৮টি পয়েন্টের পানি যদি তাৎক্ষণিক পরীক্ষা করে ভালো পাওয়া যায়, তা হলে এ জন্য তাকে এপ্রিশিয়েট করতে হবে আর খারাপটির জন্য তাকে অ্যাকাউন্ট্যাবল (জবাবদিহি) করতে হবে। যেগুলো খারাপ আছে, সেগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেব।

ডেঙ্গুর উপদ্রবের বিষয়ে সমবায়মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ডেঙ্গু মশার উপদ্রবটা মাথা ব্যথার কারণ মনে করা হচ্ছে। এটাকে নিরসনের জন্য সিটি করপোরেশনসহ মন্ত্রণালয় এক সঙ্গে কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছে- যাতে মশা নিধন করা যায়। সিটি করপোরেশনগুলো মশানিধনে কাজ করা সত্ত্বেও প্রাদুর্ভাবমুক্ত করতে পারছে না। এটিকে নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলের জন্য সভায় বসেছি।

আরও খবর
বাম জোটের হরতাল ঢিলেঢালাভাবে পালিত
হরতালে মরিচা ধরে গেছে
পাঁচ বছরে ২ কোটি নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে
৯ম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড অচিরেই
এবার মগবাজার থেকে বাবুবাজার চালু হচ্ছে চক্রাকার বাস সার্ভিস
১৩ জুলাই প্রতিবাদ দিবস পালনের ঘোষণা ঐক্যন্যাপের
বিতর্কিত আদেশ সংশোধন করল মন্ত্রণালয়
বরিশাল ৩০৭ মে. ও. কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের দৃশ্যমান অগ্রগতি
রিজার্ভ চুরির অর্থ উদ্ধারে বৈঠক
অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের লাঠিচার্জ, গ্রেফতার
ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই
এরশাদ শঙ্কামুক্ত নন
জকসু নির্বাচনের দাবিতে আমরণ অনশনে ১১ শিক্ষার্থী
শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে মানববন্ধন
বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় ৩ কোটি ৩০ লাখ ডলারের প্রকল্প

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০১৯ , ২৪ আষাঢ় ১৪২৫, ৪ জ্বিলকদ ১৪৪০

বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ মশকনিধনে কার্যকর ব্যবস্থার নির্দেশ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

ঢাকা মহানগরীতে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও মশকনিধনে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ নিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরীতে মশকনিধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ অন্যান্য দফতর/সংস্থা তাদের কার্যক্রম জোরদার করেছে। কাজেই এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ওয়াসার পানি দূষণের কারণ চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান। গতকাল সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সভাকক্ষে ঢাকা মহানগরীর মশানিধন কার্যক্রম নিয়ে পর্যালোচনা সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান তিনি।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি কনপোরেশন ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধিসহ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্প্রতি ঢাকার ১০টি জোনের ৩৪টি পয়েন্টের পানির নমুনা পরীক্ষা করেছে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়। পরীক্ষায় চারটি জোনের আটটি পয়েন্টের পানি দূষিত থাকার প্রমাণ মিলেছে। এসব স্থানের পানিতে ক্ষতিকর আর্সেনিক, ক্লোরিন, অ্যামোনিয়া ও ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি রয়েছে। গতকাল দূষিত পানি সরবরাহের বিষয়ে ওয়াসার ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ৩৪টি পয়েন্ট থেকে পানি পরীক্ষার পর ২৬টি স্থানের পানিতে দূষণ পাওয়া যায়নি। ৬ বা ৮টিতে কনসার্ন আছে। সেখানে ইকোলাই ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে। তবে সেটি মানবদেহের জন্য অতিমাত্রায় ক্ষতিকর নয়। আমরা একটা জায়গাতেও কোন কন্ট্রামিনিটেড ওয়াটার সাপ্লাই করার পক্ষে নই। ২৮টি পয়েন্টের পানি যদি তাৎক্ষণিক পরীক্ষা করে ভালো পাওয়া যায়, তা হলে এ জন্য তাকে এপ্রিশিয়েট করতে হবে আর খারাপটির জন্য তাকে অ্যাকাউন্ট্যাবল (জবাবদিহি) করতে হবে। যেগুলো খারাপ আছে, সেগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেব।

ডেঙ্গুর উপদ্রবের বিষয়ে সমবায়মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ডেঙ্গু মশার উপদ্রবটা মাথা ব্যথার কারণ মনে করা হচ্ছে। এটাকে নিরসনের জন্য সিটি করপোরেশনসহ মন্ত্রণালয় এক সঙ্গে কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছে- যাতে মশা নিধন করা যায়। সিটি করপোরেশনগুলো মশানিধনে কাজ করা সত্ত্বেও প্রাদুর্ভাবমুক্ত করতে পারছে না। এটিকে নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলের জন্য সভায় বসেছি।