জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংসদ (জকসু) নির্বাচনসহ সাত দফা দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ শিক্ষার্থী। গতকাল সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলছেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো মেনে নিয়েছে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন। সে অনুসারে কাজও শুরু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাহলে আন্দোলনের কারণ কী? শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্যানটিনের খাবারের দাম কমানো ও মান উন্নয়ন, বাসের ডাবল শিফট চালু, ছাত্রসংসদ আইন প্রণয়ন, ছাত্রী হল চালু, শিক্ষক নিয়োগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দেয়া, নতুন ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত শুরু করা ও গবেষণার জন্য বরাদ্দ বাড়ানো। উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি নিয়ে স্মারকলিপি দেয়ার পরপরই আমরা সে অনুযায়ী কাজ শুরু করে দিয়েছি। ক্যানটিন সংস্কার করে খাবারের মান বাড়িয়ে দাম কমিয়েছি, গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে তাদের যে দাবি সেদিকেও আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। এছাড়া নতুন ক্যাম্পাসের জমি অধিগ্রহণের জন্যও কাজ চলছে। তবে জকসু নির্বাচন ও বাসের ডাবল শিফট চালুর বিষয়ে তিনি জানান, জকসুর কোন আইন নেই, আমরা আইন করার সুপারিশ করতে কমিটিও করেছি। কিন্তু এ বছরেই জকসু নির্বাচন দেয়া সম্ভব নয়। আমরা এখন গুরুত্ব দিচ্ছি জবির প্রথম সমাবর্তনে। আর ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থা হিসেবে ডাবল শিফটে বাস চালু করাও সম্ভব নয়। তবে উপাচার্যের এসব বক্তব্যকে প্রত্যাহার করেছেন অনশনরত শিক্ষার্থীরা। তারা বলেছেন, ইতিপূর্বে বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনের সময় উপাচার্য দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়ন হয়নি। উপাচার্যের মুখের আশ্বাস আমরা বিশ্বাস করি না। এসব দাবি আদায়ে উপাচার্য লিখিতভাবে আমাদের কাছে প্রতিশ্রুতি দিলে আমরা ভেবে দেখব। অনশনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা হলেন আন্দোলনের আহ্বায়ক রাইসুল ইসলাম নয়ন, পরিসংখ্যান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইমরাম হোসেন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের তৌসিফ মাহমুদ সোহান, ফার্মেসি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের আবু বকর, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শরিফুল ইসলাম, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের হিরা, প্রথম বর্ষের রাহুল দেব, রিয়াদ ইসলাম, শাহরিয়ার আহমেদ, ইতিহাস বিভাগের প্রথম বর্ষের তোফায়েল আহমেদ, সুমন মিয়া।
সোমবার, ০৮ জুলাই ২০১৯ , ২৪ আষাঢ় ১৪২৫, ৪ জ্বিলকদ ১৪৪০
জবি প্রতিনিধি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংসদ (জকসু) নির্বাচনসহ সাত দফা দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ শিক্ষার্থী। গতকাল সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলছেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো মেনে নিয়েছে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন। সে অনুসারে কাজও শুরু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাহলে আন্দোলনের কারণ কী? শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্যানটিনের খাবারের দাম কমানো ও মান উন্নয়ন, বাসের ডাবল শিফট চালু, ছাত্রসংসদ আইন প্রণয়ন, ছাত্রী হল চালু, শিক্ষক নিয়োগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দেয়া, নতুন ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত শুরু করা ও গবেষণার জন্য বরাদ্দ বাড়ানো। উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি নিয়ে স্মারকলিপি দেয়ার পরপরই আমরা সে অনুযায়ী কাজ শুরু করে দিয়েছি। ক্যানটিন সংস্কার করে খাবারের মান বাড়িয়ে দাম কমিয়েছি, গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে তাদের যে দাবি সেদিকেও আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। এছাড়া নতুন ক্যাম্পাসের জমি অধিগ্রহণের জন্যও কাজ চলছে। তবে জকসু নির্বাচন ও বাসের ডাবল শিফট চালুর বিষয়ে তিনি জানান, জকসুর কোন আইন নেই, আমরা আইন করার সুপারিশ করতে কমিটিও করেছি। কিন্তু এ বছরেই জকসু নির্বাচন দেয়া সম্ভব নয়। আমরা এখন গুরুত্ব দিচ্ছি জবির প্রথম সমাবর্তনে। আর ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থা হিসেবে ডাবল শিফটে বাস চালু করাও সম্ভব নয়। তবে উপাচার্যের এসব বক্তব্যকে প্রত্যাহার করেছেন অনশনরত শিক্ষার্থীরা। তারা বলেছেন, ইতিপূর্বে বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনের সময় উপাচার্য দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়ন হয়নি। উপাচার্যের মুখের আশ্বাস আমরা বিশ্বাস করি না। এসব দাবি আদায়ে উপাচার্য লিখিতভাবে আমাদের কাছে প্রতিশ্রুতি দিলে আমরা ভেবে দেখব। অনশনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা হলেন আন্দোলনের আহ্বায়ক রাইসুল ইসলাম নয়ন, পরিসংখ্যান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইমরাম হোসেন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের তৌসিফ মাহমুদ সোহান, ফার্মেসি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের আবু বকর, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শরিফুল ইসলাম, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের হিরা, প্রথম বর্ষের রাহুল দেব, রিয়াদ ইসলাম, শাহরিয়ার আহমেদ, ইতিহাস বিভাগের প্রথম বর্ষের তোফায়েল আহমেদ, সুমন মিয়া।