খুলনা ও সাতক্ষীরা অঞ্চলের নারী ও কিশোরীদের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা ও সহিষ্ণুতা বাড়াতে ৩ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার (৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ব্যয়ে ৬ বছরের একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম জলবায়ু তহবিল ‘গ্রিন ক্লাইমেন্ট ফান্ডের (জিসিএফ)’ আর্থিক সহায়তায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) যৌথভাবে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। এ উপলক্ষে গতকাল রাজধানীতে ‘উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর, বিশেষত নারীদের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত লবণাক্ততা মোকাবিলায় অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পটির অবহিতকরণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শেখ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহার, বাংলাদেশে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী প্রমুখ। মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) বদরুন নেছা, পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড.এসএম মুঞ্জুরুল হান্নান খান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সচিব কামরুন নাহার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে নারীদের ক্ষতি বেশি হয়। এজন্য তাদের সক্ষমতা বাড়াতে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের ‘চেঞ্জ এজেন্ট’ হিসেবে গড়ে তোলা হবে, যা হবে দৃষ্টান্তমূলক। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া থেকে জীবন ও জীবিকা রক্ষার জন্য নারীরা এই প্রকল্পের আওতায় পরিকল্পনা গ্রহণ, বাস্তবায়ন ও পরিচালনা করবে এবং বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে নিয়ে যেতেও ভূমিকা রাখবে।
ইউএনডিপির প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের (এসডিজি) উপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, কাউকে পিছনে না ফেলে, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আর এই লক্ষ্যে আমরা সরকার ও অন্য উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা যেমন জিসিএফ’র সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, নারীরা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে বলেই তাদের বাদ দিয়ে কোনভাবেই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা যাবে না।
কর্মশালায় জানানো হয়, এই প্রথমবারের মতো মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় জলবায়ু পরিবর্তন জনিত প্রভাব মোকাবিলায় বিনিয়োগ করছে। অর্থাৎ এ প্রকল্পের মোট ব্যায়ের প্রায় এক চতুর্থাংশ (৮০ লাখ মার্কিন ডলার) ব্যায় করবে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বাকি আড়াই কোটি মার্কিন ডলার পদান করবে ‘গ্রিন ক্লাইমেন্ট ফান্ড’। এই প্রকল্পের আওতায়, খুলনা ও সাতক্ষীরা অঞ্চলের প্রায় ৭ লাখ মানুষ বিশেষত নারী ও কিশোরীদের জলবায়ু সহিষ্ণু জীবিকা অর্জনের জন্য সহায়তা দেয়া হবে। পাশাপাশি নিরাপদ ও বিশুদ্ধ খাবার পানির জন্য কমিউনিটিভিত্তিক বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা হবে। নারীদের অর্থনৈতিক কাজে সম্পৃক্ত করাও এই প্রকল্পের আরেকটি লক্ষ্য বলে কর্মশালায় উল্লেখ করা হয়।
সোমবার, ০৮ জুলাই ২০১৯ , ২৪ আষাঢ় ১৪২৫, ৪ জ্বিলকদ ১৪৪০
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
খুলনা ও সাতক্ষীরা অঞ্চলের নারী ও কিশোরীদের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা ও সহিষ্ণুতা বাড়াতে ৩ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার (৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ব্যয়ে ৬ বছরের একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম জলবায়ু তহবিল ‘গ্রিন ক্লাইমেন্ট ফান্ডের (জিসিএফ)’ আর্থিক সহায়তায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) যৌথভাবে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। এ উপলক্ষে গতকাল রাজধানীতে ‘উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর, বিশেষত নারীদের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত লবণাক্ততা মোকাবিলায় অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পটির অবহিতকরণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শেখ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহার, বাংলাদেশে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী প্রমুখ। মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) বদরুন নেছা, পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড.এসএম মুঞ্জুরুল হান্নান খান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সচিব কামরুন নাহার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে নারীদের ক্ষতি বেশি হয়। এজন্য তাদের সক্ষমতা বাড়াতে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের ‘চেঞ্জ এজেন্ট’ হিসেবে গড়ে তোলা হবে, যা হবে দৃষ্টান্তমূলক। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া থেকে জীবন ও জীবিকা রক্ষার জন্য নারীরা এই প্রকল্পের আওতায় পরিকল্পনা গ্রহণ, বাস্তবায়ন ও পরিচালনা করবে এবং বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে নিয়ে যেতেও ভূমিকা রাখবে।
ইউএনডিপির প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের (এসডিজি) উপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, কাউকে পিছনে না ফেলে, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আর এই লক্ষ্যে আমরা সরকার ও অন্য উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা যেমন জিসিএফ’র সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, নারীরা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে বলেই তাদের বাদ দিয়ে কোনভাবেই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা যাবে না।
কর্মশালায় জানানো হয়, এই প্রথমবারের মতো মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় জলবায়ু পরিবর্তন জনিত প্রভাব মোকাবিলায় বিনিয়োগ করছে। অর্থাৎ এ প্রকল্পের মোট ব্যায়ের প্রায় এক চতুর্থাংশ (৮০ লাখ মার্কিন ডলার) ব্যায় করবে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বাকি আড়াই কোটি মার্কিন ডলার পদান করবে ‘গ্রিন ক্লাইমেন্ট ফান্ড’। এই প্রকল্পের আওতায়, খুলনা ও সাতক্ষীরা অঞ্চলের প্রায় ৭ লাখ মানুষ বিশেষত নারী ও কিশোরীদের জলবায়ু সহিষ্ণু জীবিকা অর্জনের জন্য সহায়তা দেয়া হবে। পাশাপাশি নিরাপদ ও বিশুদ্ধ খাবার পানির জন্য কমিউনিটিভিত্তিক বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা হবে। নারীদের অর্থনৈতিক কাজে সম্পৃক্ত করাও এই প্রকল্পের আরেকটি লক্ষ্য বলে কর্মশালায় উল্লেখ করা হয়।