পার্সি বিশি শেলি

জন্ম : ৪ আগস্ট, ১৭৯২, সাসেক্স, ইংল্যান্ড

মৃত্যু : ৮ জুলাই, ১৮২২

পার্সি বিশি শেলিকে বলা হয় তার কালের সবচেয়ে বড় রোমান্টিক কবি। তার বাবা টিমথি শেলি। তার শৈশব ছিল যন্ত্রণাময়। লন্ডনের সবচেয়ে নামি স্কুলে ইটনে পড়ার সময় এক সহপাঠীকে ছুরিকাঘাত করার দায়ে তাকে স্কুল ছাড়তে হয়। আঠারো বছর বয়সে অক্সফোর্ড কলেজে ভর্তি হন। ১৮১১ সালে The necessity of Atheism নামক প্রবন্ধ লেখেন। এই প্রবন্ধ লেখার অপরাধে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে বহিষ্কার করে। তিনি ফরাসি বিপ্লবের আদর্শ অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। ধর্মের প্রতি বিরাগ ছিল।

প্রথম বিয়ে করেন হ্যারিয়েটকে। ১৮১৩ সালে তাদের একটি মেয়ে হয়। এরপর শেলি বিয়ে করেন দার্শনিক গডউইনের মেয়ে মেরিকে। মেরির প্রথম সন্তান জন্মের কয়েক সপ্তাহ পরই মারা যায়। এরপর শেলির আরও দুটি সন্তান হয় এবং দুজনেরই অকাল মৃত্যু হয়।

১৮১৮ সালে শেলি ইতালি যান। সেখানেই তার জীবনের শ্রেষ্ঠ কবিতাগুলো রচিত হয়েছে। তার জীবনের শেষ চার বছর অতিক্রান্ত হয়েছে ইতালিতে।

নৌ ভ্রমণের উদ্দেশে ১৮২২ সালের ৮ জুলাই কবি উইলিয়ামকে সঙ্গে নিয়ে শেলি লেগহর্নে যান। সামুদ্রিক ঝড়ে তাদের নৌকা নিখোঁজ হয়। এর দশ দিন পর রেগগিয়োর সমুদ্রের তীরে জেলেরা তার মৃতদেহ খুঁজে পায়। তার জামার এক পকেটে ছিল কবি কিটসের কবিতার কপি, অন্য পকেটে সফোক্লিসের নাটক। মৃত্যুর আগে তিনি The Truimph of Life রচনা করছিলেন।

Julian and Maddalo,Prometheus Unbound, To a Skylark, Adonaïs, Hellas, A Defence of Poetry ইত্যাদি তার উল্লেখযোগ্য রচনা।

ইন্টারনেট

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০১৯ , ২৪ আষাঢ় ১৪২৫, ৪ জ্বিলকদ ১৪৪০

পার্সি বিশি শেলি

জন্ম : ৪ আগস্ট, ১৭৯২, সাসেক্স, ইংল্যান্ড

মৃত্যু : ৮ জুলাই, ১৮২২

পার্সি বিশি শেলিকে বলা হয় তার কালের সবচেয়ে বড় রোমান্টিক কবি। তার বাবা টিমথি শেলি। তার শৈশব ছিল যন্ত্রণাময়। লন্ডনের সবচেয়ে নামি স্কুলে ইটনে পড়ার সময় এক সহপাঠীকে ছুরিকাঘাত করার দায়ে তাকে স্কুল ছাড়তে হয়। আঠারো বছর বয়সে অক্সফোর্ড কলেজে ভর্তি হন। ১৮১১ সালে The necessity of Atheism নামক প্রবন্ধ লেখেন। এই প্রবন্ধ লেখার অপরাধে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে বহিষ্কার করে। তিনি ফরাসি বিপ্লবের আদর্শ অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। ধর্মের প্রতি বিরাগ ছিল।

প্রথম বিয়ে করেন হ্যারিয়েটকে। ১৮১৩ সালে তাদের একটি মেয়ে হয়। এরপর শেলি বিয়ে করেন দার্শনিক গডউইনের মেয়ে মেরিকে। মেরির প্রথম সন্তান জন্মের কয়েক সপ্তাহ পরই মারা যায়। এরপর শেলির আরও দুটি সন্তান হয় এবং দুজনেরই অকাল মৃত্যু হয়।

১৮১৮ সালে শেলি ইতালি যান। সেখানেই তার জীবনের শ্রেষ্ঠ কবিতাগুলো রচিত হয়েছে। তার জীবনের শেষ চার বছর অতিক্রান্ত হয়েছে ইতালিতে।

নৌ ভ্রমণের উদ্দেশে ১৮২২ সালের ৮ জুলাই কবি উইলিয়ামকে সঙ্গে নিয়ে শেলি লেগহর্নে যান। সামুদ্রিক ঝড়ে তাদের নৌকা নিখোঁজ হয়। এর দশ দিন পর রেগগিয়োর সমুদ্রের তীরে জেলেরা তার মৃতদেহ খুঁজে পায়। তার জামার এক পকেটে ছিল কবি কিটসের কবিতার কপি, অন্য পকেটে সফোক্লিসের নাটক। মৃত্যুর আগে তিনি The Truimph of Life রচনা করছিলেন।

Julian and Maddalo,Prometheus Unbound, To a Skylark, Adonaïs, Hellas, A Defence of Poetry ইত্যাদি তার উল্লেখযোগ্য রচনা।

ইন্টারনেট