সদ্য সমাপ্ত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি বেড়েছে। তবে এ সময়ে শিল্পের মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে। সংশ্নিষ্টরা বলছেন, নির্বাচনী বছর, কারখানায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, আন্তর্জাতিক বাজারে মূলধনি যন্ত্রপাতির মূল্য কমে যাওয়ার কারণে মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি কম হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, জুলাই-এপ্রিল সময়ে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি আগের তুলনায় বেড়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত কাঁচামাল আমদানিতে ব্যাংকগুলোতে এক হাজার ৬৫৯ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়। এ সময়ে ১৬২৯ কোটি ডলারের এলসি নিষ্পত্তি হয়। গত অর্থবছরের একই সময়ে এক হাজার ৬৬০ কোটি ডলারের এলসি খোলা এবং এক হাজার ৫০৯ কোটি ডলারের এলসি নিষ্পত্তি হয়।
জুলাই-এপ্রিল সময়ে শিল্পের মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য দেশের ব্যাংকগুলোতে ৪০১ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছে। এ সময়ে দেশে মূলধনি যন্ত্রপাতি এসেছে অর্থাৎ এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ৩৯৩ কোটি ডলারের। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের একই সময়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য ব্যাংকগুলোতে ৫৬৪ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল। ওই সময়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি এসেছিল অর্থাৎ এলসি নিষ্পত্তি হয়েছিল ৪৪০ কোটি ডলারের। এ হিসাবে সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের ১০ মাসে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এলসি খোলা ২৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ কমেছে এবং এলসি নিষ্পত্তি কমেছে ১০ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
জানতে চাইলে তৈরি পোশাক উৎপাদক ও রফতানিকারক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহসভাপতি আসিফ ইব্রাহিম বলেন, দেশের প্রধান শিল্প খাত তৈরি পোশাক খাতে কারখানা সম্প্রসারণ বিশেষ হচ্ছে না। কমপ্লায়েন্সের জন্য কারখানায় অনেক বিনিয়োগ করতে হচ্ছে। অনেক কারখানা বন্ধও হয়ে যাচ্ছে। ফলে এ খাতে মূলধনি যন্ত্রপাতির চাহিদা আগের তুলনায় কমেছে। তবে দেশে বিনিয়োগ কমেছে সে কথা বলা যাবে না। জ্বালানি খাতে অনেক বিনিয়োগ বেড়েছে।
উল্লেখ, প্রথম দশ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি থেকে ৩ হাজার ৩৯৩ কোটি ৭২ লাখ ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। এই অংক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি। এই দশ মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেড়েছে ৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ। জুলাই-এপ্রিল সময়ে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছিল তিন হাজার ১৯০ কোটি ৯০ লাখ ডলার। গত বছরের এই দশ মাসে আয় হয়েছিল তিন হাজার ৪০ কোটি ৬৪ লাখ ডলার।
মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০১৯ , ২৫ আষাঢ় ১৪২৫, ৫ জ্বিলকদ ১৪৪০
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক
সদ্য সমাপ্ত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি বেড়েছে। তবে এ সময়ে শিল্পের মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে। সংশ্নিষ্টরা বলছেন, নির্বাচনী বছর, কারখানায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, আন্তর্জাতিক বাজারে মূলধনি যন্ত্রপাতির মূল্য কমে যাওয়ার কারণে মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি কম হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, জুলাই-এপ্রিল সময়ে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি আগের তুলনায় বেড়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত কাঁচামাল আমদানিতে ব্যাংকগুলোতে এক হাজার ৬৫৯ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়। এ সময়ে ১৬২৯ কোটি ডলারের এলসি নিষ্পত্তি হয়। গত অর্থবছরের একই সময়ে এক হাজার ৬৬০ কোটি ডলারের এলসি খোলা এবং এক হাজার ৫০৯ কোটি ডলারের এলসি নিষ্পত্তি হয়।
জুলাই-এপ্রিল সময়ে শিল্পের মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য দেশের ব্যাংকগুলোতে ৪০১ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছে। এ সময়ে দেশে মূলধনি যন্ত্রপাতি এসেছে অর্থাৎ এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ৩৯৩ কোটি ডলারের। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের একই সময়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য ব্যাংকগুলোতে ৫৬৪ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল। ওই সময়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি এসেছিল অর্থাৎ এলসি নিষ্পত্তি হয়েছিল ৪৪০ কোটি ডলারের। এ হিসাবে সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের ১০ মাসে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এলসি খোলা ২৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ কমেছে এবং এলসি নিষ্পত্তি কমেছে ১০ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
জানতে চাইলে তৈরি পোশাক উৎপাদক ও রফতানিকারক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহসভাপতি আসিফ ইব্রাহিম বলেন, দেশের প্রধান শিল্প খাত তৈরি পোশাক খাতে কারখানা সম্প্রসারণ বিশেষ হচ্ছে না। কমপ্লায়েন্সের জন্য কারখানায় অনেক বিনিয়োগ করতে হচ্ছে। অনেক কারখানা বন্ধও হয়ে যাচ্ছে। ফলে এ খাতে মূলধনি যন্ত্রপাতির চাহিদা আগের তুলনায় কমেছে। তবে দেশে বিনিয়োগ কমেছে সে কথা বলা যাবে না। জ্বালানি খাতে অনেক বিনিয়োগ বেড়েছে।
উল্লেখ, প্রথম দশ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি থেকে ৩ হাজার ৩৯৩ কোটি ৭২ লাখ ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। এই অংক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি। এই দশ মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেড়েছে ৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ। জুলাই-এপ্রিল সময়ে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছিল তিন হাজার ১৯০ কোটি ৯০ লাখ ডলার। গত বছরের এই দশ মাসে আয় হয়েছিল তিন হাজার ৪০ কোটি ৬৪ লাখ ডলার।