বৃহত্তম মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চলের যাত্রা শুরু আফ্রিকায়

যাত্রা শুরু করল বিশ্বের বৃহত্তম মুক্ত বাণিজ্য এলাকা। ৭ জুলাই রোববার পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে এক সম্মেলনে আফ্রিকার ৫৪টি দেশের নেতারা এ মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চলের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন। এ উদ্যোগ সফল হলে আফ্রিকার ১৩০ কোটি মানুষ সম্মিলিতভাবে ৩ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের একটি মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন করবে, যা হবে বিশ্বে এ ধরনের সর্ববৃহৎ অঞ্চল।

নতুন এ মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চর গঠনে গত এপ্রিলেই ফয়সালা হয়ে গেলেও আফ্রিকার বৃহত্তম অর্থনীতি নাইজেরিয়ার সিদ্ধান্তহীনতায় এটি আটকে ছিল। সর্বশেষ রোববার নাইজেরিয়া চুক্তিতে সই করে। তবে প্রতিবেশী ইথিওপিয়ার সঙ্গে রাজনৈতিক সংঘাতের কারণে ইরিত্রিয়া এ চুক্তিতে শামিল হয়নি। আফ্রিকান কন্টিনেন্টাল ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট বা আফ্রিকা মহাদেশীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য গত ১৭ বছর ধরে আলোচনা চলছিল। এর উদ্দেশ্য আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে যেন আরও বেশি পণ্য লেনদেন হয়। বর্তমানে আফ্রিকার দেশগুলোর নিজেদের মধ্যে মাত্র ১৬ শতাংশ বাণিজ্য হয়। এর বিপরীতে ইউরোপের দেশগুলোর নিজেদের মধ্যে প্রায় ৬৫ শতাংশ বাণিজ্য করে। নতুন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে সিংহভাগ পণ্যের ওপর শুল্ক ও কর প্রত্যাহারে ঐকমত্য হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এর ফলে মধ্য মেয়াদে আফ্রিকায় আন্তঃবাণিজ্য ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ বেড়ে যাবে। অন্যান্য কিছু মতভেদ দূর হলে বাণিজ্যের পরিমাণ দ্বিগুণ হবে বলে ধারণা করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ। আইএমএফ বলছে, এ বাণিজ্য চুক্তি আফ্রিকার চেহারা বদলে দিতে পারে। যেভাবে এ ধরনের মুক্ত বাণিজ্য ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার উন্নয়ন ত্বরান্বিত করেছে আফ্রিকাতেও তার পুনরাবৃত্তি সম্ভব। তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, শুধু শুল্ক প্রত্যাহার করলেই যে কাঙ্ক্ষিত সুফল আসবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। বরং এ মহাদেশের দুর্বল সড়ক ও রেল নেটওয়ার্ক, রাজনৈতিক ও জাতিগত অস্থিরতা, হানাহানি, আমলাতান্ত্রিক জটিলতার মতো সমস্যাগুলোর সমাধান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৫৪টি দেশের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৫টি দেশের পার্লামেন্টে চুক্তিটি অনুমোদিত হয়েছে। ফলে এটি পুরোপুরি কার্যকর হতে আরও কিছু সময় লাগবে। বিবিসি।

মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০১৯ , ২৫ আষাঢ় ১৪২৫, ৫ জ্বিলকদ ১৪৪০

বৃহত্তম মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চলের যাত্রা শুরু আফ্রিকায়

সংবাদ ডেস্ক

image

যাত্রা শুরু করল বিশ্বের বৃহত্তম মুক্ত বাণিজ্য এলাকা। ৭ জুলাই রোববার পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে এক সম্মেলনে আফ্রিকার ৫৪টি দেশের নেতারা এ মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চলের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন। এ উদ্যোগ সফল হলে আফ্রিকার ১৩০ কোটি মানুষ সম্মিলিতভাবে ৩ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের একটি মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন করবে, যা হবে বিশ্বে এ ধরনের সর্ববৃহৎ অঞ্চল।

নতুন এ মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চর গঠনে গত এপ্রিলেই ফয়সালা হয়ে গেলেও আফ্রিকার বৃহত্তম অর্থনীতি নাইজেরিয়ার সিদ্ধান্তহীনতায় এটি আটকে ছিল। সর্বশেষ রোববার নাইজেরিয়া চুক্তিতে সই করে। তবে প্রতিবেশী ইথিওপিয়ার সঙ্গে রাজনৈতিক সংঘাতের কারণে ইরিত্রিয়া এ চুক্তিতে শামিল হয়নি। আফ্রিকান কন্টিনেন্টাল ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট বা আফ্রিকা মহাদেশীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য গত ১৭ বছর ধরে আলোচনা চলছিল। এর উদ্দেশ্য আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে যেন আরও বেশি পণ্য লেনদেন হয়। বর্তমানে আফ্রিকার দেশগুলোর নিজেদের মধ্যে মাত্র ১৬ শতাংশ বাণিজ্য হয়। এর বিপরীতে ইউরোপের দেশগুলোর নিজেদের মধ্যে প্রায় ৬৫ শতাংশ বাণিজ্য করে। নতুন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে সিংহভাগ পণ্যের ওপর শুল্ক ও কর প্রত্যাহারে ঐকমত্য হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এর ফলে মধ্য মেয়াদে আফ্রিকায় আন্তঃবাণিজ্য ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ বেড়ে যাবে। অন্যান্য কিছু মতভেদ দূর হলে বাণিজ্যের পরিমাণ দ্বিগুণ হবে বলে ধারণা করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ। আইএমএফ বলছে, এ বাণিজ্য চুক্তি আফ্রিকার চেহারা বদলে দিতে পারে। যেভাবে এ ধরনের মুক্ত বাণিজ্য ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার উন্নয়ন ত্বরান্বিত করেছে আফ্রিকাতেও তার পুনরাবৃত্তি সম্ভব। তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, শুধু শুল্ক প্রত্যাহার করলেই যে কাঙ্ক্ষিত সুফল আসবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। বরং এ মহাদেশের দুর্বল সড়ক ও রেল নেটওয়ার্ক, রাজনৈতিক ও জাতিগত অস্থিরতা, হানাহানি, আমলাতান্ত্রিক জটিলতার মতো সমস্যাগুলোর সমাধান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৫৪টি দেশের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৫টি দেশের পার্লামেন্টে চুক্তিটি অনুমোদিত হয়েছে। ফলে এটি পুরোপুরি কার্যকর হতে আরও কিছু সময় লাগবে। বিবিসি।