বান্দরবানে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে ২ হাজারেরও বেশি পরিবার রয়েছে। ভারী বর্ষণের ফলে যেকোন মুহূর্তে এসব এলাকায় প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি পৌর এলাকাসহ সাত উপজেলায় মাইকিং করা হচ্ছে। কিন্তু প্রশাসনের এই অস্থায়ী উদ্যোগ কাজে আসছে না। প্রশাসনের লোকজন অভিযানের পর চলে এলে পুনরায় ঝুঁকিপূর্ণ বসতিতে আশ্রয় নেন বাসিন্দারা। সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলামের নেতৃত্বে জেলা শহরের ইসলাম পুর, হাফেজ ঘোনা, লাঙ্গী পাড়াসহ পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাঙ্গাহীর, উপজেলার নির্বাহী অফিসার নোমান হোসেন প্রিন্সসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সঙ্গে ছিলেন। এছাড়াও জেলা প্রশাসক শহরের হাফেজ ঘোনা আশ্রিতদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেন।
এদিকে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়ার জন্য সাত উপজেলা ১২৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে বান্দরবান সদরে ১০টি, লামায় ৫৫টি, আলীকদমে ১০টি, নাইক্ষ্যংছড়িতে ২০টি, রোয়াংছড়িতে ২২টি, থানচিতে ৩টি ও রুমায় ৬টি। এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলাম বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের দ্রুত সরিয়ে নিতে ইতোমধ্যে নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এসব এলাকায় মাইকিংও করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক আরও বলেন- জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জেলার সাতটি উপজেলায় ১২৬টি সরকারি বিদ্যালয়কে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় প্রশাসন তৎপর রয়েছে। জেলা প্রশাসনের ত্রাণ শাখায় খোলা হয়েছে মনিটরিং সেল যা ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। অপরদিকে প্রবল বর্ষণে পাহাড় ধসে রাস্তার উপর পড়ায় রুমা-থানচি সড়কে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। সোমবার সকালে রুমা সড়কের চিম্বুক ৯ মাইল নামক এলাকায় পাহাড় ধসে এই ঘটনা ঘটে। যোগাযোগ বন্ধ থাকায় এই সড়কে চলাচলকারী জনসাধারণ দুর্ভোগে পড়েছে। তবে সড়ক থেকে মাটি সরিয়ে নিতে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল। এর আগে শনিবার থেকে শুরু হওয়া টানা বর্ষণে জেলার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার মাটি সরে ও রাস্তার উপর পাহাড়ের মাটি পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে।
মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০১৯ , ২৫ আষাঢ় ১৪২৫, ৫ জ্বিলকদ ১৪৪০
প্রতিনিধি, বান্দরবান
বান্দরবানে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে ২ হাজারেরও বেশি পরিবার রয়েছে। ভারী বর্ষণের ফলে যেকোন মুহূর্তে এসব এলাকায় প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি পৌর এলাকাসহ সাত উপজেলায় মাইকিং করা হচ্ছে। কিন্তু প্রশাসনের এই অস্থায়ী উদ্যোগ কাজে আসছে না। প্রশাসনের লোকজন অভিযানের পর চলে এলে পুনরায় ঝুঁকিপূর্ণ বসতিতে আশ্রয় নেন বাসিন্দারা। সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলামের নেতৃত্বে জেলা শহরের ইসলাম পুর, হাফেজ ঘোনা, লাঙ্গী পাড়াসহ পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাঙ্গাহীর, উপজেলার নির্বাহী অফিসার নোমান হোসেন প্রিন্সসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সঙ্গে ছিলেন। এছাড়াও জেলা প্রশাসক শহরের হাফেজ ঘোনা আশ্রিতদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেন।
এদিকে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়ার জন্য সাত উপজেলা ১২৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে বান্দরবান সদরে ১০টি, লামায় ৫৫টি, আলীকদমে ১০টি, নাইক্ষ্যংছড়িতে ২০টি, রোয়াংছড়িতে ২২টি, থানচিতে ৩টি ও রুমায় ৬টি। এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলাম বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের দ্রুত সরিয়ে নিতে ইতোমধ্যে নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এসব এলাকায় মাইকিংও করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক আরও বলেন- জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জেলার সাতটি উপজেলায় ১২৬টি সরকারি বিদ্যালয়কে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় প্রশাসন তৎপর রয়েছে। জেলা প্রশাসনের ত্রাণ শাখায় খোলা হয়েছে মনিটরিং সেল যা ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। অপরদিকে প্রবল বর্ষণে পাহাড় ধসে রাস্তার উপর পড়ায় রুমা-থানচি সড়কে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। সোমবার সকালে রুমা সড়কের চিম্বুক ৯ মাইল নামক এলাকায় পাহাড় ধসে এই ঘটনা ঘটে। যোগাযোগ বন্ধ থাকায় এই সড়কে চলাচলকারী জনসাধারণ দুর্ভোগে পড়েছে। তবে সড়ক থেকে মাটি সরিয়ে নিতে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল। এর আগে শনিবার থেকে শুরু হওয়া টানা বর্ষণে জেলার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার মাটি সরে ও রাস্তার উপর পাহাড়ের মাটি পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে।