সাড়ে ৮ লাখ নারী প্রবাসে কর্মরত

দ্রুত বিচার আইনের সংশোধিত রিপোর্ট পেশ

প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের ৮ লাখ ৫৪ হাজার ৮০৯ নারী কর্মরত রয়েছেন। গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় (বাজেট) অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের বেগম আদিবা আনজুম মিতার প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান। এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদেশে কর্মরত নারী কর্মীদের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৩ লাখ ১৬ হাজার ২৪৪ জন সৌদি আরবে কমর্রত। এছাড়া জর্ডানে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৭১৩, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১ লাখ ২৫ হাজার ৪১৮, লেবাননে ১ লাখ ৫ হাজার ৮৬০, ওমানে ৮১ হাজার ৬৭৪, কাতারে ৩১ হাজার ৮০, মরিশাসে ১৭ হাজার ৮৩১ নারী কর্মী গমন করেছেন।

গত অর্থবছরে ১৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য সংগ্রহ : গত অর্থবছরে সরকার প্রায় ১৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য সংগ্রহ করেছে। গতকার সংসদে সরকারি দলের সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিমের প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে গত ১ জুলাই পর্যন্ত ৪০ হাজার ১৭৫ মেট্রিক টন গম, ৮৪ হাজার ৩০৯ মেট্রিক টন ধান ও ১৪ লাখ ৬৬ হাজার ৪৮৬ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। অর্থাৎ সর্বমোট ১৫ লাখ ৯০ হাজার ৯৭০ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য সংগৃহীত হয়েছে। সরকারি দলের সদস্য আয়েন উদ্দিনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে সরকার প্রতি মেট্রিক টনে ২৬ হাজার টাকা হিসেবে ৪ লাখ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ জন্য ব্যয় হবে ১ হাজার ৪০ কোটি টাকা। গত ২৭ জুন পর্যন্ত সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ৭৯ হাজার ৪৬৩ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। সংগ্রহকৃত ধানের মূল্য পরিশোধে সরকার ২০৬ কোটি ৬০ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ব্যয় করেছে।

১১ বছরে দেশে প্রায় ২ কোটি লোকের কর্মসংস্থান : গত ১১ বছরে (২০০৫-০৬ থেকে ২০১৬-১৭ সাল) দেশে প্রায় ২ কোটি লোকের নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে। গতকার সংসদে সরকারি দলের সদস্য বেগম হাবিবা রহমান খানের প্রশ্নের জবাবে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য মতে, ২০০৫-০৬ সালে দেশে কর্মে নিযুক্ত জনসংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৭৪ লাখ। তা ২০১৬-১৭ সালে বেড়ে হয়েছে ৬ কোটি ৮ লাখ। এ সময়ে দেশে প্রায় ২ কোটি লোকের নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে।

দ্রুত বিচার আইনের রিপোর্ট সংসদে উপস্থাপন : আইনশৃঙ্খলা বিঘœকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার, সংশোধন) বিল ২০১৯-এর ওপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির রিপোর্ট গতকাল সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু রিপোর্টটি উপস্থাপন করেন। রিপোর্টে বিলটি সংশোধিত আকারে পাসের সুপারিশ করা হয়। দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও অধিকতর উন্নতির জন্য বিদ্যমান আইনের মেয়াদ আরও ৫ বছর বৃদ্ধির প্রস্তাব করে গত ২৫ জুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বিলটি উত্থাপন করেন।

বিলে বিদ্যমান আইনের ধারা ১-এর উপধারা (২)-এ উল্লেখিত ‘সতরো বৎসর’ শব্দগুলোর পরিবর্তে ‘বাইশ বৎসর’ শব্দগুলো প্রতিস্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০০২ সালে ২ বছর মেয়াদ রেখে এই আইন প্রথম প্রণয়ন করা হয়। এরপর প্রয়োজনীয়তার নিরিখে ৬ বার আইনটি কার্যকারিতার মেয়াদ ১৫ বছর বৃদ্ধি করা হয়। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৭ এপ্রিল আইনটির মেয়াদ ৫ বছর বাড়ানো হয়েছিল। এর মেয়াদ গত ৯ এপ্রিল শেষ হয়ে যায়। এ জন্য আইনটির ধারাবাহিকতা রক্ষায় এবং দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও অধিকতর উন্নতির জন্য এ আইনের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব করে এ বিল আনা হয়েছে বিলে উল্লেখ করা হয়। বিলের বিধান চলতি বছরের ১০ এপ্রিল থেকে কার্যকর করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

আরও খবর
টানা বর্ষণে তলিয়ে গেছে চট্টগ্রাম নগরীর নিম্নাঞ্চল
পাহাড়ধসে রুমা ও থানচী সড়ক বন্ধ
তারেককে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেবে যুক্তরাজ্যের আদালত
বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহত
কোরবানির পশুর হাট তদারকিতে থাকবে ভোক্তা অধিদফতরও
সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত
ঐক্যফ্রন্ট ছাড়লেন কাদের সিদ্দিকী
রাবি হলের সিট শুধু দখলদারদের!
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেট চার্জ কমেছে
ভূমি আইন যুগোপযোগী করা হচ্ছে
এমপি ফিরোজ রশিদের পুত্রবধূ গুলিবিদ্ধ
ছাত্রীর পর্নোভিডিও শিক্ষককে গণপিটুনি
রিকশা বন্ধের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ
যশোর পুলিশে ঘুষ ছাড়াই চাকরি
বগুড়ায় তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ

মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০১৯ , ২৫ আষাঢ় ১৪২৫, ৫ জ্বিলকদ ১৪৪০

সংসদে প্রশ্নোত্তর

সাড়ে ৮ লাখ নারী প্রবাসে কর্মরত

দ্রুত বিচার আইনের সংশোধিত রিপোর্ট পেশ

সংসদ বার্তা পরিবেশক

প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের ৮ লাখ ৫৪ হাজার ৮০৯ নারী কর্মরত রয়েছেন। গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় (বাজেট) অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের বেগম আদিবা আনজুম মিতার প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান। এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদেশে কর্মরত নারী কর্মীদের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৩ লাখ ১৬ হাজার ২৪৪ জন সৌদি আরবে কমর্রত। এছাড়া জর্ডানে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৭১৩, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১ লাখ ২৫ হাজার ৪১৮, লেবাননে ১ লাখ ৫ হাজার ৮৬০, ওমানে ৮১ হাজার ৬৭৪, কাতারে ৩১ হাজার ৮০, মরিশাসে ১৭ হাজার ৮৩১ নারী কর্মী গমন করেছেন।

গত অর্থবছরে ১৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য সংগ্রহ : গত অর্থবছরে সরকার প্রায় ১৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য সংগ্রহ করেছে। গতকার সংসদে সরকারি দলের সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিমের প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে গত ১ জুলাই পর্যন্ত ৪০ হাজার ১৭৫ মেট্রিক টন গম, ৮৪ হাজার ৩০৯ মেট্রিক টন ধান ও ১৪ লাখ ৬৬ হাজার ৪৮৬ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। অর্থাৎ সর্বমোট ১৫ লাখ ৯০ হাজার ৯৭০ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য সংগৃহীত হয়েছে। সরকারি দলের সদস্য আয়েন উদ্দিনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে সরকার প্রতি মেট্রিক টনে ২৬ হাজার টাকা হিসেবে ৪ লাখ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ জন্য ব্যয় হবে ১ হাজার ৪০ কোটি টাকা। গত ২৭ জুন পর্যন্ত সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ৭৯ হাজার ৪৬৩ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। সংগ্রহকৃত ধানের মূল্য পরিশোধে সরকার ২০৬ কোটি ৬০ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ব্যয় করেছে।

১১ বছরে দেশে প্রায় ২ কোটি লোকের কর্মসংস্থান : গত ১১ বছরে (২০০৫-০৬ থেকে ২০১৬-১৭ সাল) দেশে প্রায় ২ কোটি লোকের নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে। গতকার সংসদে সরকারি দলের সদস্য বেগম হাবিবা রহমান খানের প্রশ্নের জবাবে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য মতে, ২০০৫-০৬ সালে দেশে কর্মে নিযুক্ত জনসংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৭৪ লাখ। তা ২০১৬-১৭ সালে বেড়ে হয়েছে ৬ কোটি ৮ লাখ। এ সময়ে দেশে প্রায় ২ কোটি লোকের নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে।

দ্রুত বিচার আইনের রিপোর্ট সংসদে উপস্থাপন : আইনশৃঙ্খলা বিঘœকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার, সংশোধন) বিল ২০১৯-এর ওপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির রিপোর্ট গতকাল সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু রিপোর্টটি উপস্থাপন করেন। রিপোর্টে বিলটি সংশোধিত আকারে পাসের সুপারিশ করা হয়। দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও অধিকতর উন্নতির জন্য বিদ্যমান আইনের মেয়াদ আরও ৫ বছর বৃদ্ধির প্রস্তাব করে গত ২৫ জুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বিলটি উত্থাপন করেন।

বিলে বিদ্যমান আইনের ধারা ১-এর উপধারা (২)-এ উল্লেখিত ‘সতরো বৎসর’ শব্দগুলোর পরিবর্তে ‘বাইশ বৎসর’ শব্দগুলো প্রতিস্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০০২ সালে ২ বছর মেয়াদ রেখে এই আইন প্রথম প্রণয়ন করা হয়। এরপর প্রয়োজনীয়তার নিরিখে ৬ বার আইনটি কার্যকারিতার মেয়াদ ১৫ বছর বৃদ্ধি করা হয়। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৭ এপ্রিল আইনটির মেয়াদ ৫ বছর বাড়ানো হয়েছিল। এর মেয়াদ গত ৯ এপ্রিল শেষ হয়ে যায়। এ জন্য আইনটির ধারাবাহিকতা রক্ষায় এবং দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও অধিকতর উন্নতির জন্য এ আইনের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব করে এ বিল আনা হয়েছে বিলে উল্লেখ করা হয়। বিলের বিধান চলতি বছরের ১০ এপ্রিল থেকে কার্যকর করার প্রস্তাব করা হয়েছে।