কোরবানির পশুর হাট তদারকিতে থাকবে ভোক্তা অধিদফতরও

পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে কোরবানির পশু কেনাবেচায় ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় এবার প্রথমবারের মতো পশুর হাটের তদারকিতে থাকছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। সারাদেশে মোটাতাজা করা পশু চিহ্নিত করা ও পশুর হাটে গ্রাহক প্রতারণাসহ নানা অনিয়ম ঠেকাতে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরসহ সরকারের অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে এবার যুক্ত হচ্ছে এ সংস্থাটি।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপপরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, কোরবানির পশুর হাটের পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা, ভোক্তাদের বিভিন্ন রকম প্রতারণার হাত থেকে সুরক্ষা এবং সাধারণ মানুষকে হয়রানি থেকে সুরক্ষা দিতে এপিবিএন সদস্যদের নিয়ে তাদের টিম কোরবানির পশুর মাঠে কাজ করবে। পশুর হাটে জাল নোটের প্রতারণা ও পশুর শরীরে স্টেরয়েড কিংবা অন্যান্য ক্ষতিকারক উপাদান পাওয়া গেলে সে বিষয়েও হস্তক্ষেপ করা হবে।

কোরবানির পশুর হাটে দায়িত্ব পালন করা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবদুল হালিম বলেন, গত দুই বছরে রাজধানী ঢাকার কোরবানির পশুর হাটগুলোতে কোন পশুর শরীরে স্টেরয়েডের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এর ফলে ধারণা করা যাচ্ছে, এর ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি জানান, ২০১৮ সালে রাজধানীর বিভিন্ন পশুর হাটে শতাধিক ও এর আগের বছর ৪৫টি গরু পরীক্ষা করা হয়েছিল। পরীক্ষায় স্টেরয়েড কিংবা অন্য কোন ক্ষতিকর উপাদান পাওয়া যায়নি। তবে অধিদফতরের তদারকি কাজ এবারও অব্যাহত থাকবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের হিসাবে, সারা বছরে দেশে প্রায় দুই কোটি ৩১ লাখ ১৩ হাজার গরু-মহিষ, ছাগল ও ভেড়া জবাই হয়। এর অর্ধেকই জবাই হয় কোরবানির ঈদের সময়। গত বছর কোরবানির আগে গরু-মহিষ, ছাগল, ভেড়া মিলিয়ে দেশে এক কোটি ১৬ লাখ ‘কোরবানিযোগ্য’ গবাদির হিসাব দিয়েছিল প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপপরিচালক হাসান ইমাম বলেন, তারা মাঠপর্যায়ের কৃষি অফিস ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দফতরের মাধ্যমে খামারিদের তথ্য সংগ্রহ করছেন। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে এ বিষয়ে সমন্বয় সভা হবে।

মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০১৯ , ২৫ আষাঢ় ১৪২৫, ৫ জ্বিলকদ ১৪৪০

কোরবানির পশুর হাট তদারকিতে থাকবে ভোক্তা অধিদফতরও

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে কোরবানির পশু কেনাবেচায় ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় এবার প্রথমবারের মতো পশুর হাটের তদারকিতে থাকছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। সারাদেশে মোটাতাজা করা পশু চিহ্নিত করা ও পশুর হাটে গ্রাহক প্রতারণাসহ নানা অনিয়ম ঠেকাতে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরসহ সরকারের অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে এবার যুক্ত হচ্ছে এ সংস্থাটি।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপপরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, কোরবানির পশুর হাটের পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা, ভোক্তাদের বিভিন্ন রকম প্রতারণার হাত থেকে সুরক্ষা এবং সাধারণ মানুষকে হয়রানি থেকে সুরক্ষা দিতে এপিবিএন সদস্যদের নিয়ে তাদের টিম কোরবানির পশুর মাঠে কাজ করবে। পশুর হাটে জাল নোটের প্রতারণা ও পশুর শরীরে স্টেরয়েড কিংবা অন্যান্য ক্ষতিকারক উপাদান পাওয়া গেলে সে বিষয়েও হস্তক্ষেপ করা হবে।

কোরবানির পশুর হাটে দায়িত্ব পালন করা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবদুল হালিম বলেন, গত দুই বছরে রাজধানী ঢাকার কোরবানির পশুর হাটগুলোতে কোন পশুর শরীরে স্টেরয়েডের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এর ফলে ধারণা করা যাচ্ছে, এর ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি জানান, ২০১৮ সালে রাজধানীর বিভিন্ন পশুর হাটে শতাধিক ও এর আগের বছর ৪৫টি গরু পরীক্ষা করা হয়েছিল। পরীক্ষায় স্টেরয়েড কিংবা অন্য কোন ক্ষতিকর উপাদান পাওয়া যায়নি। তবে অধিদফতরের তদারকি কাজ এবারও অব্যাহত থাকবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের হিসাবে, সারা বছরে দেশে প্রায় দুই কোটি ৩১ লাখ ১৩ হাজার গরু-মহিষ, ছাগল ও ভেড়া জবাই হয়। এর অর্ধেকই জবাই হয় কোরবানির ঈদের সময়। গত বছর কোরবানির আগে গরু-মহিষ, ছাগল, ভেড়া মিলিয়ে দেশে এক কোটি ১৬ লাখ ‘কোরবানিযোগ্য’ গবাদির হিসাব দিয়েছিল প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপপরিচালক হাসান ইমাম বলেন, তারা মাঠপর্যায়ের কৃষি অফিস ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দফতরের মাধ্যমে খামারিদের তথ্য সংগ্রহ করছেন। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে এ বিষয়ে সমন্বয় সভা হবে।