বিএনপির প্রতি ক্ষোভ ও ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বের সমালোচনা করে ঐক্যফ্রন্ট ছাড়লেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে দলের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান। তবে নির্ভেজাল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভবিষ্যতে জোটের যে কারও সঙ্গে কাজ করবেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন। সংবাদ সম্মেলনে কাদের সিদ্দিকীর স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকী, মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকী, দলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল্লাহ, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। সেখানে বলা হয়, নির্বাচন পরবর্তী সাত মাসে ঐক্যফ্রন্টের অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে অসমাপ্ত বৈঠক ছাড়া কোন নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা হয়নি। এতে তাদের মনে হয়েছে, বাংলাদেশে কোন রাজনৈতিক জোট বা ফ্রন্ট গঠনই হয়নি।
৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে জালিয়াতির নির্বাচন বলে মন্তব্য করে সংবাদ সম্মেলনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নেতারা বলেন, নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে পুনর্নির্বাচনের দাবি সঠিক ছিল। তবে সে পথ থেকে সরে এসে গণফোরাম ও বিএনপির নির্বাচিতদের শপথ নেয়ারও সমালোচনা করেন নেতারা।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, জাতীয় কোন সমস্যাকে তারা তুলে ধরতে পারছে না। এরকম একটি জোট যে আছে, তা দেশের মানুষ জানেই না। তাই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অস্তিত্ব বা ঠিকানা খোঁজার চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে জনগণের সব সমস্যায় তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকারে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নতুন উদ্যমে পথচলা শুরু করবে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ‘অকার্যকর’ অবস্থার জন্য কে দায়ীÑ প্রশ্ন করা হলে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমিসহ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগসহ যারা ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছিলেন, কমবেশি সকলেই দায়ী।’ নতুন কোন জোটে যাচ্ছেন কিনা- এই প্রশ্নে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘রাজনীতি একটা প্রবাহমান নদীর মতো, এটা স্রোতধারার মতো। গণতন্ত্রকামী প্রতিটি মানুষের সঙ্গে আমাদের কাজ করা উচিত। সেক্ষেত্রে ঐক্যফ্রন্টে যারা ছিলেন, তাদের সঙ্গে ভবিষ্যতে কোন কাজ করব না, এমন কোন শর্ত নেই। নির্ভেজাল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আমরা কাজ করব।’ তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জোটে না যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পর পর আমি বলেছিলাম, আর কিছু হোক বা না হোক, বর্তমান সরকারি দল ভবিষ্যতে কোনদিন একটি সুষ্ঠু নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারবে না, সেই রাস্তাটা তারা নিশ্চিত করেছে। আমরা সমমনা গণতন্ত্রপ্রেমী এই দেশের প্রতিটি দলের সঙ্গে আমরা কাজ করার চেষ্টা করব।’
মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০১৯ , ২৫ আষাঢ় ১৪২৫, ৫ জ্বিলকদ ১৪৪০
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
বিএনপির প্রতি ক্ষোভ ও ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বের সমালোচনা করে ঐক্যফ্রন্ট ছাড়লেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে দলের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান। তবে নির্ভেজাল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভবিষ্যতে জোটের যে কারও সঙ্গে কাজ করবেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন। সংবাদ সম্মেলনে কাদের সিদ্দিকীর স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকী, মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকী, দলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল্লাহ, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। সেখানে বলা হয়, নির্বাচন পরবর্তী সাত মাসে ঐক্যফ্রন্টের অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে অসমাপ্ত বৈঠক ছাড়া কোন নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা হয়নি। এতে তাদের মনে হয়েছে, বাংলাদেশে কোন রাজনৈতিক জোট বা ফ্রন্ট গঠনই হয়নি।
৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে জালিয়াতির নির্বাচন বলে মন্তব্য করে সংবাদ সম্মেলনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নেতারা বলেন, নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে পুনর্নির্বাচনের দাবি সঠিক ছিল। তবে সে পথ থেকে সরে এসে গণফোরাম ও বিএনপির নির্বাচিতদের শপথ নেয়ারও সমালোচনা করেন নেতারা।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, জাতীয় কোন সমস্যাকে তারা তুলে ধরতে পারছে না। এরকম একটি জোট যে আছে, তা দেশের মানুষ জানেই না। তাই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অস্তিত্ব বা ঠিকানা খোঁজার চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে জনগণের সব সমস্যায় তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকারে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নতুন উদ্যমে পথচলা শুরু করবে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ‘অকার্যকর’ অবস্থার জন্য কে দায়ীÑ প্রশ্ন করা হলে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমিসহ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগসহ যারা ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছিলেন, কমবেশি সকলেই দায়ী।’ নতুন কোন জোটে যাচ্ছেন কিনা- এই প্রশ্নে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘রাজনীতি একটা প্রবাহমান নদীর মতো, এটা স্রোতধারার মতো। গণতন্ত্রকামী প্রতিটি মানুষের সঙ্গে আমাদের কাজ করা উচিত। সেক্ষেত্রে ঐক্যফ্রন্টে যারা ছিলেন, তাদের সঙ্গে ভবিষ্যতে কোন কাজ করব না, এমন কোন শর্ত নেই। নির্ভেজাল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আমরা কাজ করব।’ তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জোটে না যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পর পর আমি বলেছিলাম, আর কিছু হোক বা না হোক, বর্তমান সরকারি দল ভবিষ্যতে কোনদিন একটি সুষ্ঠু নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারবে না, সেই রাস্তাটা তারা নিশ্চিত করেছে। আমরা সমমনা গণতন্ত্রপ্রেমী এই দেশের প্রতিটি দলের সঙ্গে আমরা কাজ করার চেষ্টা করব।’