রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ তিনটি সড়কে রিকশা চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন রিকশাচালকরা। গতকাল সকাল সাড়ে ৮টা থেকে মুগদা, মানিকনগর, মান্ডা, বালুরমাঠ ও কমলাপুর টিটিপাড়ায় সড়কে অবস্থান নিয়ে তারা বিক্ষোভ করেন।
মুগদা থানার ওসি প্রলয় কুমার সাহা বলেন, প্রায় তিন হাজার রিকশাচালক রাস্তায় অবস্থান করেন। মুগদা বিশ্বরোড থেকে মানিকনগর বিশ্বরোড পর্যন্ত রাস্তাজুড়ে অবস্থান নেয়ায় ওইসব সড়কে যানচলাচল বন্ধ থাকে।
রাজধানীর প্রধান তিন সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ রিকশার চালকরা। তাদের দাবি, প্রয়োজনে আলাদা লেন বানিয়ে রিকশা চলাচলের সুযোগ দিতে হবে। তা না হলে দাবি আদায়ে আজ সকাল ৯টা থেকে ৭২ ঘণ্টা টানা সড়ক অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন রিকশা মালিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন। সায়েদাবাদ-উত্তরা মহাসড়কের মানিকনগর-শাহজাহানপুর অংশে অবরোধ করেন রিকশাচালকরা। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা একদিনের আলটিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি স্থগিত করেন। রিকশা মালিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন বলেন, সড়কে অন্য যানবাহন চলার পাশাপাশি রিকশা চলাচলের সুযোগ দিতে হবে। রিকশার জন্য আলাদা লেন করতে হবে। তিনি বলেন, রিকশা বন্ধে মেয়রের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক। এটি আমরা মানব না। প্রাইভেট গাড়িকে অধিক সুবিধা দিতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আর আমাদের পেটে লাথি মারা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত মানলে আমাদের বউ-সান্তান নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে। আমাদের দাবি রিকশা চলবে। এই দাবি না মানা পর্যন্ত সড়ক ছেড়ে দেয়া হবে না। এছাড়া ১১ জুলাই বেলা ৩টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেয়া হবে।
আন্দোলনকারী আবুল কাশেম বলেন, রিকশা বন্ধ হলে সবাই বিপাকে পড়বেন। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে অসুবিধায় পড়বেন। অফিসগামী লোকজন বিপদে পড়বেন। শুধু তা-ই নয়, উত্তরবঙ্গ থেকে আসা চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও কক্সবাজারগামী পরিবহনগুলোও এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে। রিকশা শ্রমিকদের আকস্মিক এ আন্দোলনের ফলে মানিকনগর-শাহজাহানপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। ফলে আশপাশের সড়কগুলোয় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে চলাচল করে বিভিন্ন গন্তব্যগামী লোকজন।
গত ৩ জুলাই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনে ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কন্ট্রোল অথরিটির (ডিটিসিএ) বৈঠকে রাজধানীর দুটি রুটে রিকশা চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গত রোববার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। প্রাথমিকভাবে গাবতলী থেকে আসাদগেট হয়ে আজিমপুর ও সায়েন্স ল্যাব থেকে শাহবাগ পর্যন্ত রিকশা চলাচল করবে না। এছাড়া কুড়িল বিশ্ব রোড থেকে রামপুরা হয়ে খিলগাঁও-সায়েদাবাদ পর্যন্ত রিকশাসহ অন্যান্য অবৈধ ও অননুমোদিত যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০১৯ , ২৫ আষাঢ় ১৪২৫, ৫ জ্বিলকদ ১৪৪০
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ তিনটি সড়কে রিকশা চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন রিকশাচালকরা। গতকাল সকাল সাড়ে ৮টা থেকে মুগদা, মানিকনগর, মান্ডা, বালুরমাঠ ও কমলাপুর টিটিপাড়ায় সড়কে অবস্থান নিয়ে তারা বিক্ষোভ করেন।
মুগদা থানার ওসি প্রলয় কুমার সাহা বলেন, প্রায় তিন হাজার রিকশাচালক রাস্তায় অবস্থান করেন। মুগদা বিশ্বরোড থেকে মানিকনগর বিশ্বরোড পর্যন্ত রাস্তাজুড়ে অবস্থান নেয়ায় ওইসব সড়কে যানচলাচল বন্ধ থাকে।
রাজধানীর প্রধান তিন সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ রিকশার চালকরা। তাদের দাবি, প্রয়োজনে আলাদা লেন বানিয়ে রিকশা চলাচলের সুযোগ দিতে হবে। তা না হলে দাবি আদায়ে আজ সকাল ৯টা থেকে ৭২ ঘণ্টা টানা সড়ক অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন রিকশা মালিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন। সায়েদাবাদ-উত্তরা মহাসড়কের মানিকনগর-শাহজাহানপুর অংশে অবরোধ করেন রিকশাচালকরা। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা একদিনের আলটিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি স্থগিত করেন। রিকশা মালিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন বলেন, সড়কে অন্য যানবাহন চলার পাশাপাশি রিকশা চলাচলের সুযোগ দিতে হবে। রিকশার জন্য আলাদা লেন করতে হবে। তিনি বলেন, রিকশা বন্ধে মেয়রের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক। এটি আমরা মানব না। প্রাইভেট গাড়িকে অধিক সুবিধা দিতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আর আমাদের পেটে লাথি মারা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত মানলে আমাদের বউ-সান্তান নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে। আমাদের দাবি রিকশা চলবে। এই দাবি না মানা পর্যন্ত সড়ক ছেড়ে দেয়া হবে না। এছাড়া ১১ জুলাই বেলা ৩টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেয়া হবে।
আন্দোলনকারী আবুল কাশেম বলেন, রিকশা বন্ধ হলে সবাই বিপাকে পড়বেন। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে অসুবিধায় পড়বেন। অফিসগামী লোকজন বিপদে পড়বেন। শুধু তা-ই নয়, উত্তরবঙ্গ থেকে আসা চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও কক্সবাজারগামী পরিবহনগুলোও এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে। রিকশা শ্রমিকদের আকস্মিক এ আন্দোলনের ফলে মানিকনগর-শাহজাহানপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। ফলে আশপাশের সড়কগুলোয় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে চলাচল করে বিভিন্ন গন্তব্যগামী লোকজন।
গত ৩ জুলাই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনে ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কন্ট্রোল অথরিটির (ডিটিসিএ) বৈঠকে রাজধানীর দুটি রুটে রিকশা চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গত রোববার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। প্রাথমিকভাবে গাবতলী থেকে আসাদগেট হয়ে আজিমপুর ও সায়েন্স ল্যাব থেকে শাহবাগ পর্যন্ত রিকশা চলাচল করবে না। এছাড়া কুড়িল বিশ্ব রোড থেকে রামপুরা হয়ে খিলগাঁও-সায়েদাবাদ পর্যন্ত রিকশাসহ অন্যান্য অবৈধ ও অননুমোদিত যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।