হেলেন কেলার

জন্ম : ২৭ জুন, ১৮৮০, টুসকুমবিয়া, আলবামা, উত্তর আমেরিকা

মৃত্যু : ১ জুন, ১৯৬৮

হেলেন কেলারের বাবা আর্থার মিলার ও মা ক্যাথরিন। এক বছর সাত মাস বয়সে এক অসুখে তিনি বাক ও শ্রবণ শক্তি হারান। অ্যানি সুলিভান নামের এক গৃহশিক্ষক তার পড়াশোনার দায়িত্ব নেন। অ্যানি প্রথমে আঙুল দিয়ে হেলেনের হাতে বিভিন্ন চিহ্ন একে এরপর বর্ণমালা কার্ড দিয়ে বর্ণমালা শেখান। তারপর ব্রেইলি পদ্ধতিতে পড়াশোন করেন।

দশ বছর বয়সে নরওয়েতে উদ্ভাবিত এক পদ্ধতি অনুসরণ করে কথা বলা শিখেন হেলেন। অস্ফুট স্বরে উচ্চারণ করেনে ‘আমি আর বোবা নই’। ২০ বছর বয়সে রেডক্লিফ কলেজে ভর্তি হন। চার বছর পর বিএ পাস করেন সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে।

১৯২২ সালে আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেলের মৃত্যূর পর ‘আমেরিকান ফাউন্ডেশন ফর ব্লাইন্ড’-এর হাল ধরেন হেলেন কেলার। ১৯৩৬ সালে শিক্ষক অ্যানির মৃত্যুতে মর্মাহত হন হেলেন। তিনি প্রতিবন্ধী শিশুদের অধিকারের জন্য আজীবন লড়াই করেছেন। তিনি বলেছিলেন, সেই দিন পর্যন্ত আমি বেঁচে থাকতে ও দেখে যেতে চাই যেদিন প্রতিটি দৃষ্টিহীন শিশুর শিক্ষার সুযোগ থাকবে এবং প্রতিটি দৃষ্টিহীন পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রশিক্ষণ আর কাজের সুযোগ থাকবে। তার রচিত বইগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- দি স্টোরি অব মাই লাইফ, দি ওয়ার্ল্ড আই লিভ ইন, লেট আস হ্যাভ ফেইথ ইত্যাদি।

ইন্টারনেট

আরও খবর

মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০১৯ , ২৫ আষাঢ় ১৪২৫, ৫ জ্বিলকদ ১৪৪০

হেলেন কেলার

জন্ম : ২৭ জুন, ১৮৮০, টুসকুমবিয়া, আলবামা, উত্তর আমেরিকা

মৃত্যু : ১ জুন, ১৯৬৮

হেলেন কেলারের বাবা আর্থার মিলার ও মা ক্যাথরিন। এক বছর সাত মাস বয়সে এক অসুখে তিনি বাক ও শ্রবণ শক্তি হারান। অ্যানি সুলিভান নামের এক গৃহশিক্ষক তার পড়াশোনার দায়িত্ব নেন। অ্যানি প্রথমে আঙুল দিয়ে হেলেনের হাতে বিভিন্ন চিহ্ন একে এরপর বর্ণমালা কার্ড দিয়ে বর্ণমালা শেখান। তারপর ব্রেইলি পদ্ধতিতে পড়াশোন করেন।

দশ বছর বয়সে নরওয়েতে উদ্ভাবিত এক পদ্ধতি অনুসরণ করে কথা বলা শিখেন হেলেন। অস্ফুট স্বরে উচ্চারণ করেনে ‘আমি আর বোবা নই’। ২০ বছর বয়সে রেডক্লিফ কলেজে ভর্তি হন। চার বছর পর বিএ পাস করেন সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে।

১৯২২ সালে আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেলের মৃত্যূর পর ‘আমেরিকান ফাউন্ডেশন ফর ব্লাইন্ড’-এর হাল ধরেন হেলেন কেলার। ১৯৩৬ সালে শিক্ষক অ্যানির মৃত্যুতে মর্মাহত হন হেলেন। তিনি প্রতিবন্ধী শিশুদের অধিকারের জন্য আজীবন লড়াই করেছেন। তিনি বলেছিলেন, সেই দিন পর্যন্ত আমি বেঁচে থাকতে ও দেখে যেতে চাই যেদিন প্রতিটি দৃষ্টিহীন শিশুর শিক্ষার সুযোগ থাকবে এবং প্রতিটি দৃষ্টিহীন পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রশিক্ষণ আর কাজের সুযোগ থাকবে। তার রচিত বইগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- দি স্টোরি অব মাই লাইফ, দি ওয়ার্ল্ড আই লিভ ইন, লেট আস হ্যাভ ফেইথ ইত্যাদি।

ইন্টারনেট