হবিগঞ্জে বৃষ্টিতে ডুবে রাস্তা : বাড়ছে ঝুঁকি

গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে হবিগঞ্জের নিচু এলাকার অনেক জায়গায় রাস্তা ডুবে গেছে। আর এসব রাস্তার দিয়েই একশ্রেণির লোভী প্রকৃতির অটোরিকশা চালকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী আনা-নেয়া করছেন। এতে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। হবিগঞ্জ একটি হাওর অঞ্চলিয় জেলা। মাঠ-ঘাট ডুবে যাওয়ায় এখানে অধিকাংশ গ্রামগুলোতেই বর্ষা মৌসুমে ইঞ্জিনচালিত নৌকা দিয়ে আসা যাওয়া করতে হয়। তবে শুষ্ক মৌসুমে এসব গ্রামে যাওয়ার জন্য মূলত তিন ধরণের রাস্তা ব্যবহার করা হয়। কোন কোন গ্রামে কাঁচা রাস্তা, কোন গ্রামে আধা কাঁচা আবার কোন গ্রামে পাকা রাস্তা রয়েছে। তবে সেগুলো ৬ মাসি রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ বর্ষা মৌসুমে এই রাস্তাগুলো ডুবে যায়। তখন ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী লোকজনের নৌকাই একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়ায়।

ডুবে যাওয়া রাস্তা দিয়েই একশ্রেণির লোভী প্রকৃতির অটোরিকশা চালকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী আনা-নেয়া করছেন। গত সোমবার সকালে এমন দৃশ্য দেখা যায় জেলার লাখাই উপজেলার ডিসি সড়কে। লাখাই বাজার থেকে চিকনপুর ব্রিজ পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তা পাকা করা। কিন্তু নিম্নাঞ্চলের হওয়ায় প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে পানিতে তলিয়ে যায় রাস্তাটি। কিন্তু অটোরিক্সা চালকরা বেশি ভাড়া আদায়ের লোভে পানিতে ডুবে যাওয়া রাস্তা দিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী আনা-নেয়া করছেন। সরেজমিন দেখা যায়, পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া ৩ কিলোমিটার সড়কের কোন অংশই দৃশ্যমান নয়। স্থানীয়দের ভাষ্য এ রাস্তায় রয়েছে একাধিক ভাঙা। আর দীর্ঘদিন ধরে পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে পাকা অংশ ছাড়া রাস্তার দু’পাশের মাটি নরম হয় আছে। সেই সাথে রাস্তার দু’পাশে খাল-বিলসহ রয়েছে একাধিক কালভার্ট। ডুবে যাওয়া রাস্তা দিয়ে চলতে গিয়ে প্রায় সময়ই ঘটছে ছোট ছোট দুর্ঘটনা। তারপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিনই চলছে সিএনজি, টমটম অটোরিকশাগুলো। আর সময় বাঁচাতে কোলের শিশুসহ বৃদ্ধ নারী পুরুষ সবাই হাতের মুঠোয় জীবন নিয়ে চলছেন এই রাস্তা দিয়েই। বিষয়টি নিয়ে যাত্রীদের ভাষ্য- নৌকা চলাচল কম থাকায় বাধ্য হয়েই ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে সাইফুল ইসলাম নামের একযাত্রী বলেন- ‘এখান দিয়ে নৌকা চলাচল একদম কম। দুই-তিন ঘণ্টা পরপর একটি নৌকা ছাড়ে। তাই জীবনের ঝুঁকি আছে জেনেও এই টমটম-সিএনজির মতো অটোরিকশা দিয়েই যেতে হচ্ছে।’ এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন চালক বলেন, ‘যাত্রীরা যদি যায় তাহলে আমাদের সমস্যা কি। যাত্রীরা না গেলেই তো আর আমরা গাড়ি চালাই না। তাছাড়া রাস্তা আমাদের ভালো করেই চেনা আছে। রাস্তার কোথায় ভাঙা আছে, আর কোথায় কালভার্ট আছে সব আমাদের জানা। সুতরাং দুর্ঘটনার ঘটার সম্ভাবনা নেই।’

image

হবিগঞ্জ : তলিয়ে যাওয়া রাস্তা দিয়ে এভাবেই ঝুঁকি নিয়ে চলছে অটোরিকশা -সংবাদ

আরও খবর
যত্রতত্র এলপি গ্যাস পেট্রল বিক্রি : যে কোন সময় দুর্ঘটনা
নার্সিং কলেজের দুই প্রভাষকের বিরুদ্ধে কোচিং ব্যবসার অভিযোগ
বড়াইগ্রামে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে হতাহত ১৮
গাছ কাটা বিবাদে ভাতিজার হাতে চাচা হত
যুবলীগ নেতাসহ মরদেহ উদ্ধার ২
ঝালকাঠিতে মাদক মামলায় দন্ডিত ১
ভালুকায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ধর্ষণ মামলার আসামি নিহত
কুলাউড়া হাসপাতালে ২১ ডাক্তারের কাজ পাঁচজনে : চিকিৎসা ব্যাহত
মাগুরায় পৃথক ঘটনায় হত ২
সৈয়দপুরে ৫ ওষুধ দোকানকে অর্ধলক্ষ জরিমানা
শ্রীবরদীতে বিল্লাল হত্যার বিচার দাবি
কিশোরগঞ্জে স্বচ্ছতা ডোপ টেস্টে কনস্টেবল নিয়োগ
বাঁশখালীতে সংস্কার হচ্ছে ৯ আশ্রয় কেন্দ্র
বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা পেল সহস্রাধিক মানুষ
জাবিতে হল নির্মাণের স্থান পুনর্নির্ধারণের দাবি
অপহৃত মাদ্রাসাছাত্র উদ্ধার : আটক ৬
এক ডাক্তার দিয়ে চলছে দুই জেলার একমাত্র টিবি ক্লিনিক!
মুক্তাগাছায় ধর্ষণের শিকার ২ নারী
ধর্ষণ মামলা তুলতে প্রাণনাশের হুমকি
মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জমি দখল করে প্রভাবশালীর রাস্তা

বুধবার, ১০ জুলাই ২০১৯ , ২৬ আষাঢ় ১৪২৫, ৬ জ্বিলকদ ১৪৪০

হবিগঞ্জে বৃষ্টিতে ডুবে রাস্তা : বাড়ছে ঝুঁকি

মো. শাহ আলম, হবিগঞ্জ

image

হবিগঞ্জ : তলিয়ে যাওয়া রাস্তা দিয়ে এভাবেই ঝুঁকি নিয়ে চলছে অটোরিকশা -সংবাদ

গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে হবিগঞ্জের নিচু এলাকার অনেক জায়গায় রাস্তা ডুবে গেছে। আর এসব রাস্তার দিয়েই একশ্রেণির লোভী প্রকৃতির অটোরিকশা চালকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী আনা-নেয়া করছেন। এতে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। হবিগঞ্জ একটি হাওর অঞ্চলিয় জেলা। মাঠ-ঘাট ডুবে যাওয়ায় এখানে অধিকাংশ গ্রামগুলোতেই বর্ষা মৌসুমে ইঞ্জিনচালিত নৌকা দিয়ে আসা যাওয়া করতে হয়। তবে শুষ্ক মৌসুমে এসব গ্রামে যাওয়ার জন্য মূলত তিন ধরণের রাস্তা ব্যবহার করা হয়। কোন কোন গ্রামে কাঁচা রাস্তা, কোন গ্রামে আধা কাঁচা আবার কোন গ্রামে পাকা রাস্তা রয়েছে। তবে সেগুলো ৬ মাসি রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ বর্ষা মৌসুমে এই রাস্তাগুলো ডুবে যায়। তখন ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী লোকজনের নৌকাই একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়ায়।

ডুবে যাওয়া রাস্তা দিয়েই একশ্রেণির লোভী প্রকৃতির অটোরিকশা চালকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী আনা-নেয়া করছেন। গত সোমবার সকালে এমন দৃশ্য দেখা যায় জেলার লাখাই উপজেলার ডিসি সড়কে। লাখাই বাজার থেকে চিকনপুর ব্রিজ পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তা পাকা করা। কিন্তু নিম্নাঞ্চলের হওয়ায় প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে পানিতে তলিয়ে যায় রাস্তাটি। কিন্তু অটোরিক্সা চালকরা বেশি ভাড়া আদায়ের লোভে পানিতে ডুবে যাওয়া রাস্তা দিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী আনা-নেয়া করছেন। সরেজমিন দেখা যায়, পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া ৩ কিলোমিটার সড়কের কোন অংশই দৃশ্যমান নয়। স্থানীয়দের ভাষ্য এ রাস্তায় রয়েছে একাধিক ভাঙা। আর দীর্ঘদিন ধরে পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে পাকা অংশ ছাড়া রাস্তার দু’পাশের মাটি নরম হয় আছে। সেই সাথে রাস্তার দু’পাশে খাল-বিলসহ রয়েছে একাধিক কালভার্ট। ডুবে যাওয়া রাস্তা দিয়ে চলতে গিয়ে প্রায় সময়ই ঘটছে ছোট ছোট দুর্ঘটনা। তারপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিনই চলছে সিএনজি, টমটম অটোরিকশাগুলো। আর সময় বাঁচাতে কোলের শিশুসহ বৃদ্ধ নারী পুরুষ সবাই হাতের মুঠোয় জীবন নিয়ে চলছেন এই রাস্তা দিয়েই। বিষয়টি নিয়ে যাত্রীদের ভাষ্য- নৌকা চলাচল কম থাকায় বাধ্য হয়েই ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে সাইফুল ইসলাম নামের একযাত্রী বলেন- ‘এখান দিয়ে নৌকা চলাচল একদম কম। দুই-তিন ঘণ্টা পরপর একটি নৌকা ছাড়ে। তাই জীবনের ঝুঁকি আছে জেনেও এই টমটম-সিএনজির মতো অটোরিকশা দিয়েই যেতে হচ্ছে।’ এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন চালক বলেন, ‘যাত্রীরা যদি যায় তাহলে আমাদের সমস্যা কি। যাত্রীরা না গেলেই তো আর আমরা গাড়ি চালাই না। তাছাড়া রাস্তা আমাদের ভালো করেই চেনা আছে। রাস্তার কোথায় ভাঙা আছে, আর কোথায় কালভার্ট আছে সব আমাদের জানা। সুতরাং দুর্ঘটনার ঘটার সম্ভাবনা নেই।’