বগুড়ার শেরপুরে বিয়ের প্রলোভনে এক নারী গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি-ধামকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। অন্যথায় বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশ করা হবে বলেও ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিনাতিপাত করছেন ভুক্তভোগী ওই পরিবারটি। গত সোমবার বিকালে প্রেসক্লাব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন মামলার বাদী। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিগত তিন বছর আগে প্রথম স্বামীর সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়। এরপর তিনি গার্মেন্টেসে চাকরি নেন। এক পর্যায়ে একই গ্রামের হবিবর রহমান তালুকদারের ছেলে মাহবুবব তালুকদার তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। একইসঙ্গে মাহবুব তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়েন। এমনকি বিয়ের প্রলোভন দিয়ে চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি রাতে জেলার সোনাতলা উপজেলার হুয়াকুয়া গ্রামের বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করে বলে আভিযোগ তার। এছাড়া একাধিকবার বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়েও তাকে ধর্ষণ করা হয়। কিন্তু বিয়ে করতে চাপ দিলে তিনি নানা তালবাহানা করতে থাকেন। একপর্যায়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ একটি মামলা দায়ের করেন। যা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। সম্মেলনে ভুক্তভোগী বলেন, বেশকিছুদিন ধরে মাহবুব ও তার ভাই মাসুদ রানা মামলা তুলে নিতে অব্যাহতভাবে নানা হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন।
বুধবার, ১০ জুলাই ২০১৯ , ২৬ আষাঢ় ১৪২৫, ৬ জ্বিলকদ ১৪৪০
প্রতিনিধি, শেরপুর (বগুড়া)
বগুড়ার শেরপুরে বিয়ের প্রলোভনে এক নারী গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি-ধামকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। অন্যথায় বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশ করা হবে বলেও ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিনাতিপাত করছেন ভুক্তভোগী ওই পরিবারটি। গত সোমবার বিকালে প্রেসক্লাব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন মামলার বাদী। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিগত তিন বছর আগে প্রথম স্বামীর সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়। এরপর তিনি গার্মেন্টেসে চাকরি নেন। এক পর্যায়ে একই গ্রামের হবিবর রহমান তালুকদারের ছেলে মাহবুবব তালুকদার তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। একইসঙ্গে মাহবুব তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়েন। এমনকি বিয়ের প্রলোভন দিয়ে চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি রাতে জেলার সোনাতলা উপজেলার হুয়াকুয়া গ্রামের বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করে বলে আভিযোগ তার। এছাড়া একাধিকবার বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়েও তাকে ধর্ষণ করা হয়। কিন্তু বিয়ে করতে চাপ দিলে তিনি নানা তালবাহানা করতে থাকেন। একপর্যায়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ একটি মামলা দায়ের করেন। যা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। সম্মেলনে ভুক্তভোগী বলেন, বেশকিছুদিন ধরে মাহবুব ও তার ভাই মাসুদ রানা মামলা তুলে নিতে অব্যাহতভাবে নানা হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন।