আদালতের নির্দেশে তদন্তভার পিবিআইতে

ডিবির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

সুবর্ণচরের কলেজছাত্র সাগর হত্যাকান্ডের তদন্তভার পিবিআইতে স্থানান্তর করেছে নোয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২নং আমলি আদালত।

হত্যাকান্ডের শিকার কলেজছাত্র কামরুল ইসলাম সাগরের (২০) বড় ভাই ও মামলার বাদী নজরুল ইসলাম জানান, ২০১৮ সালের জুন মাসের ৮ তারিখ রাত ১০টার পরে যেকোন সময় একই বাড়ির চাচাতো বোন ফাতেমা আক্তার মমতাজ (১৯) মোবাইলে কামরুল ইসলাম সাগরকে তার বাবা ডাকছে বলে ঘর থেকে ডেকে নেয়। সাগর তারপর থেকে নিরুদ্দেশ। পরদিন থেকে তাকে অনেক খোজাখুঁজি করে না পেয়ে নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে চরজব্বর থানায় একটি অপহরণের মামলা করে। মামলা নং-৫ তারিখ : ০৯-০৬-১৮ দ.বি. ৩৬৫/৩৪। এরপর ঘটনার ৪ দিন পর বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে হাজি মোজাম্মেল হক মিয়ার বাড়ির পূর্ব পাশে একটি ডোবায় বস্তাবন্দি সোহানের লাশ পাওয়া গেলে এ মমলাটি হত্যা মামলার রূপান্তরিত হয় এবং পুলিশ সুপারের নির্দেশে মামলাটি চরজব্বার থানা থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) স্থানারিত হয়। ডিবি পুলিশের এস.আই জাহাঙ্গীর মামলার তদন্ত শুরু করেন। বাদী অভিযোগ করেন, তদন্তের শুরু থেকে তদন্তকারী কর্মকর্তা বাদীর সঙ্গে কোন যোগাযোগ না করে এবং মামলার তদন্ত কার্যক্রম না জানিয়ে আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মামলার মূল আসামি সাগরের প্রেমিকা মমতাজের পিতা রহমত উল্যা (৫০) মমতাজ (১৯) তার ভাই দেলোয়ার হোসেন কিসমত (১৭) ও মা হাসিনা আক্তারকে (৪০) বাদ দিয়ে এলাকার হিন্দু পরিবারের দুই ভাই মিঠুন (২৪) জিতুর (১৬) বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। খবর পেয়ে মামলার বাদী নিহত সাগরের ভাই নজরুল ইসলাম আদালতে নারাজি দিলে আদালত মামলাটি পিবিআইকে অধিকর্তর তদন্তের নির্দেশ দেন। এদিকে মামলার আসামি রহমত উল্যা মামলার বাদীকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে যে মামলা প্রত্যাহার না করলে বাদীকে ও তার ভাইয়ের পরিণতি ভোগ করতে হবে। আসামিদের ভয়ে বাদী নজরুল ইসলাম এলাকা ছেড়ে এখন নোয়াখালী শহরে বসবাস করছে।

একই এলাকার কেফায়েত উল্যা জানান, মমতাজের সঙ্গে সাগরের প্রেমের পরিণতি এই সাগরকে রহমত উল্যা ভাড়াটিয়া খুনিদের দিয়ে খুন করেছে। নোয়াখালী পিবিআই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাসুদত্ত বাজান, আদালতের নির্দেশে মামলা পেয়েছেন এবং তদন্ত শুরু করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, খুনিকে অবশ্যই আইনের হাতে সোপর্দ করা হবে।

বুধবার, ১০ জুলাই ২০১৯ , ২৬ আষাঢ় ১৪২৫, ৬ জ্বিলকদ ১৪৪০

সুবর্ণচরের সাগর হত্যা

আদালতের নির্দেশে তদন্তভার পিবিআইতে

ডিবির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

প্রতিনিধি, নোয়াখালী

সুবর্ণচরের কলেজছাত্র সাগর হত্যাকান্ডের তদন্তভার পিবিআইতে স্থানান্তর করেছে নোয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২নং আমলি আদালত।

হত্যাকান্ডের শিকার কলেজছাত্র কামরুল ইসলাম সাগরের (২০) বড় ভাই ও মামলার বাদী নজরুল ইসলাম জানান, ২০১৮ সালের জুন মাসের ৮ তারিখ রাত ১০টার পরে যেকোন সময় একই বাড়ির চাচাতো বোন ফাতেমা আক্তার মমতাজ (১৯) মোবাইলে কামরুল ইসলাম সাগরকে তার বাবা ডাকছে বলে ঘর থেকে ডেকে নেয়। সাগর তারপর থেকে নিরুদ্দেশ। পরদিন থেকে তাকে অনেক খোজাখুঁজি করে না পেয়ে নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে চরজব্বর থানায় একটি অপহরণের মামলা করে। মামলা নং-৫ তারিখ : ০৯-০৬-১৮ দ.বি. ৩৬৫/৩৪। এরপর ঘটনার ৪ দিন পর বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে হাজি মোজাম্মেল হক মিয়ার বাড়ির পূর্ব পাশে একটি ডোবায় বস্তাবন্দি সোহানের লাশ পাওয়া গেলে এ মমলাটি হত্যা মামলার রূপান্তরিত হয় এবং পুলিশ সুপারের নির্দেশে মামলাটি চরজব্বার থানা থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) স্থানারিত হয়। ডিবি পুলিশের এস.আই জাহাঙ্গীর মামলার তদন্ত শুরু করেন। বাদী অভিযোগ করেন, তদন্তের শুরু থেকে তদন্তকারী কর্মকর্তা বাদীর সঙ্গে কোন যোগাযোগ না করে এবং মামলার তদন্ত কার্যক্রম না জানিয়ে আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মামলার মূল আসামি সাগরের প্রেমিকা মমতাজের পিতা রহমত উল্যা (৫০) মমতাজ (১৯) তার ভাই দেলোয়ার হোসেন কিসমত (১৭) ও মা হাসিনা আক্তারকে (৪০) বাদ দিয়ে এলাকার হিন্দু পরিবারের দুই ভাই মিঠুন (২৪) জিতুর (১৬) বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। খবর পেয়ে মামলার বাদী নিহত সাগরের ভাই নজরুল ইসলাম আদালতে নারাজি দিলে আদালত মামলাটি পিবিআইকে অধিকর্তর তদন্তের নির্দেশ দেন। এদিকে মামলার আসামি রহমত উল্যা মামলার বাদীকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে যে মামলা প্রত্যাহার না করলে বাদীকে ও তার ভাইয়ের পরিণতি ভোগ করতে হবে। আসামিদের ভয়ে বাদী নজরুল ইসলাম এলাকা ছেড়ে এখন নোয়াখালী শহরে বসবাস করছে।

একই এলাকার কেফায়েত উল্যা জানান, মমতাজের সঙ্গে সাগরের প্রেমের পরিণতি এই সাগরকে রহমত উল্যা ভাড়াটিয়া খুনিদের দিয়ে খুন করেছে। নোয়াখালী পিবিআই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাসুদত্ত বাজান, আদালতের নির্দেশে মামলা পেয়েছেন এবং তদন্ত শুরু করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, খুনিকে অবশ্যই আইনের হাতে সোপর্দ করা হবে।