নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ পশ্চিম অঞ্চল ও লক্ষ্মীপুরের পূর্ব অঞ্চলের ত্রাস, অস্ত্র ব্যবসায়ী ও মাদক সম্রাট ফেনাঘাটা নিজাম বাহিনীর প্রধান নিজাম ও চন্দ্রগঞ্জের জগদীশপুরের সোহাগ বাহিনী প্রধান সোহাগ ও তাদের বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার চন্দ্রগঞ্জ জগদীশপুরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।
গতকাল সকাল ১০টায় প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে শত শত নারী পুরুষ, শিশু ও মুক্তিযোদ্ধারা এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে এ দুটি বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যানার, প্লেকার্ড বহন করা হয়।
মানববন্ধনে থাকা ফেনাঘাটার রাস্তার পাশে থাকা লাকী বেগম জানায়, নিজাম বাহিনীর প্রধান নিজাম জোরপূর্বক তার ছেলে সুমনকে তার বাহিনীতে নিয়ে মাদক ব্যবসা, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করাচ্ছে। এখন পুলিশ নিজামকে এবং সুমনকে ধরার জন্য গিয়ে তার অন্য ছেলেকেও হয়রানি করছে। দক্ষিণ ফাজিলপুর মুন্সী বাড়ির আবুল জানান, নিজাম তার দুই ছেলে রাজিব, সজিবকে সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসা করাচ্ছে। যার ফলে ছেলেরা গ্রেফতার হলে দিনমজুরি করে তাদের জেল থেকে বের করতে হয়। তার কথামতো মাদক ব্যবসা না করলে সে অস্ত্র দিয়ে ধরিয়ে দেবে বলে হুমকি দেয়। আলাইয়ারপুর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল খায়ের বলেন, এ দুটি বাহিনী বেগমগঞ্জ পশ্চিম অঞ্চল ও লক্ষ্মীপুর পূর্বাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষকে জিম্মি করে ফেলেছে। রাতে মহিলার এ দুটি বাহিনীর ভয়ে ঘর থেকে বের হতে সাহস পায় না। এলাকায় কোন প্রবাসী এলে কেউ বাড়িঘর বানাতে গেলে, ছেলেমেয়ের বিয়েতে তাদের চাঁদা দিতে হয়।
সোহাগ বাহিনীর প্রধান সোহাগ ও নিজাম বাহিনীর দখলে রয়েছে অন্তত দুটি কাটা বন্দুক, ১০/১২ লাইটগান, বিদেশি ও দেশি কয়েকটি রিভলবার ও পিস্তল। রাম দা তো আছেই। ১নং আমান উল্যাপুর ইউপি ৪নং আলাইয়ারপুর চেয়ারম্যানরা বারবার উপজেলা আইনশৃঙ্খরা কমিটিতে উত্থাপন করলেও এ দুটি বাহিনী দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন করেছেন মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী মিয়া। মুক্তিযোদ্ধা সহিদ উল্যা জানান, রাতে পুলিশ তাদের ভয়ে এলাকায় আসে না।
এ ব্যাপারে বেগমগঞ্জ থানার ওসি জানান, তিনি নতুন এসেছেন। খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বলেন, সন্ত্রাসী, মাদক কারবারি, অস্ত্রবাজ, চাঁদাবাজকে এ এলাকায় থাকতে দেয়া হবে না। অচিরেই এদের বিরুদ্ধে চিরুনি অভিযান শুরু করা হবে।
বুধবার, ১০ জুলাই ২০১৯ , ২৬ আষাঢ় ১৪২৫, ৬ জ্বিলকদ ১৪৪০
প্রতিনিধি, নোয়াখালী
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ পশ্চিম অঞ্চল ও লক্ষ্মীপুরের পূর্ব অঞ্চলের ত্রাস, অস্ত্র ব্যবসায়ী ও মাদক সম্রাট ফেনাঘাটা নিজাম বাহিনীর প্রধান নিজাম ও চন্দ্রগঞ্জের জগদীশপুরের সোহাগ বাহিনী প্রধান সোহাগ ও তাদের বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার চন্দ্রগঞ্জ জগদীশপুরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।
গতকাল সকাল ১০টায় প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে শত শত নারী পুরুষ, শিশু ও মুক্তিযোদ্ধারা এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে এ দুটি বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যানার, প্লেকার্ড বহন করা হয়।
মানববন্ধনে থাকা ফেনাঘাটার রাস্তার পাশে থাকা লাকী বেগম জানায়, নিজাম বাহিনীর প্রধান নিজাম জোরপূর্বক তার ছেলে সুমনকে তার বাহিনীতে নিয়ে মাদক ব্যবসা, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করাচ্ছে। এখন পুলিশ নিজামকে এবং সুমনকে ধরার জন্য গিয়ে তার অন্য ছেলেকেও হয়রানি করছে। দক্ষিণ ফাজিলপুর মুন্সী বাড়ির আবুল জানান, নিজাম তার দুই ছেলে রাজিব, সজিবকে সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসা করাচ্ছে। যার ফলে ছেলেরা গ্রেফতার হলে দিনমজুরি করে তাদের জেল থেকে বের করতে হয়। তার কথামতো মাদক ব্যবসা না করলে সে অস্ত্র দিয়ে ধরিয়ে দেবে বলে হুমকি দেয়। আলাইয়ারপুর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল খায়ের বলেন, এ দুটি বাহিনী বেগমগঞ্জ পশ্চিম অঞ্চল ও লক্ষ্মীপুর পূর্বাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষকে জিম্মি করে ফেলেছে। রাতে মহিলার এ দুটি বাহিনীর ভয়ে ঘর থেকে বের হতে সাহস পায় না। এলাকায় কোন প্রবাসী এলে কেউ বাড়িঘর বানাতে গেলে, ছেলেমেয়ের বিয়েতে তাদের চাঁদা দিতে হয়।
সোহাগ বাহিনীর প্রধান সোহাগ ও নিজাম বাহিনীর দখলে রয়েছে অন্তত দুটি কাটা বন্দুক, ১০/১২ লাইটগান, বিদেশি ও দেশি কয়েকটি রিভলবার ও পিস্তল। রাম দা তো আছেই। ১নং আমান উল্যাপুর ইউপি ৪নং আলাইয়ারপুর চেয়ারম্যানরা বারবার উপজেলা আইনশৃঙ্খরা কমিটিতে উত্থাপন করলেও এ দুটি বাহিনী দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন করেছেন মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী মিয়া। মুক্তিযোদ্ধা সহিদ উল্যা জানান, রাতে পুলিশ তাদের ভয়ে এলাকায় আসে না।
এ ব্যাপারে বেগমগঞ্জ থানার ওসি জানান, তিনি নতুন এসেছেন। খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বলেন, সন্ত্রাসী, মাদক কারবারি, অস্ত্রবাজ, চাঁদাবাজকে এ এলাকায় থাকতে দেয়া হবে না। অচিরেই এদের বিরুদ্ধে চিরুনি অভিযান শুরু করা হবে।