জন্ম: ২ ফেব্রুয়ারি, ১৯১৭, শঙ্করপাশা, পিরোজপুর
মৃত্যু : ১০ জুলাই, ১৯৮৫
আহসান হাবীব পিরোজপুর সরকারি বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। পরবর্তীতে বরিশালের ব্রজমোহন কলেজে ভর্তি হন। কিন্তু কিছুটা পিতার সাথে মনোমালিন্য, বাকিটা কবি হওয়ার ইচ্ছা- এই দুইয়ে মিলে লেখাপড়ায় ইস্তফা দিয়ে তিনি ১৯৩৬ সালের দিকে পাড়ি জমান কলকাতায়। আহসান হাবীব সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। তিনি কলকাতায় এসে দৈনিক তকবির পত্রিকার সহ-সম্পাদকের কাজে নিযুক্ত হন। এ সময় থেকেই নানা পত্রপত্রিকায় তার কবিতা প্রকাশ হতে থাকে।
তিনি কিছুদিন আকাশবাণী কলকাতায় কাজ করেছেন। ১৯৫০ সালে ঢাকায় ফিরে আসার পর কিছুদিন ফ্রাঙ্কলিন প্রোগ্রামসে কাজ করেন। ১৯৬৪ সালে তিনি দৈনিক বাংলা (তখনকার দৈনিক পাকিস্তান) পত্রিকায় যোগ দেন। সেই থেকে ১৯৮৫ সালে মৃত্যুর সময় পর্যন্ত তিনি দৈনিক বাংলায় কর্মরত ছিলেন। তিনি ছিলেন দৈনিক বাংলার সাহিত্য সম্পাদক। এই পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে তিনি বাংলাদেশে সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে বিপুল খ্যাতি অর্জন করেন। সহকর্মী ও সতীর্থ কবি-লেখকরা তাকে প্রায়শই শ্রেষ্ঠ সাহিত্য-সম্পাদক হিসেবে চিহ্নিত করেন।
কাব্যগ্রন্থ, বড়দের উপন্যাস, গল্প, প্রবন্ধ-নিবন্ধ, ছোটদের ছড়া ও কবিতার বই সব মিলিয়ে আহসান হাবীবের বইয়ের সংখ্যা ২৫টির মতো। তার কবিতার বই আটটি। কাব্যগ্রন্থগুলো হলো : রাত্রিশেষ (১৯৪৮), ছায়াহরিণ (১৯৬২), সারা দুপুর (১৯৬৪), আশায় বসতি (১৯৭৪), মেঘ বলে চৈত্রে যাবো (১৯৭৬), দু’হাতে দুই আদিম পাথর (১৯৮০), প্রেমের কবিতা (১৯৮১), বিদীর্ণ দর্পণে মুখ (১৯৮৫)।
স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার, একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ বাংলাদেশের সব উল্লেখযোগ্য পুরস্কার তিনি পেয়েছেন।
ইন্টারনেট
বুধবার, ১০ জুলাই ২০১৯ , ২৬ আষাঢ় ১৪২৫, ৬ জ্বিলকদ ১৪৪০
জন্ম: ২ ফেব্রুয়ারি, ১৯১৭, শঙ্করপাশা, পিরোজপুর
মৃত্যু : ১০ জুলাই, ১৯৮৫
আহসান হাবীব পিরোজপুর সরকারি বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। পরবর্তীতে বরিশালের ব্রজমোহন কলেজে ভর্তি হন। কিন্তু কিছুটা পিতার সাথে মনোমালিন্য, বাকিটা কবি হওয়ার ইচ্ছা- এই দুইয়ে মিলে লেখাপড়ায় ইস্তফা দিয়ে তিনি ১৯৩৬ সালের দিকে পাড়ি জমান কলকাতায়। আহসান হাবীব সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। তিনি কলকাতায় এসে দৈনিক তকবির পত্রিকার সহ-সম্পাদকের কাজে নিযুক্ত হন। এ সময় থেকেই নানা পত্রপত্রিকায় তার কবিতা প্রকাশ হতে থাকে।
তিনি কিছুদিন আকাশবাণী কলকাতায় কাজ করেছেন। ১৯৫০ সালে ঢাকায় ফিরে আসার পর কিছুদিন ফ্রাঙ্কলিন প্রোগ্রামসে কাজ করেন। ১৯৬৪ সালে তিনি দৈনিক বাংলা (তখনকার দৈনিক পাকিস্তান) পত্রিকায় যোগ দেন। সেই থেকে ১৯৮৫ সালে মৃত্যুর সময় পর্যন্ত তিনি দৈনিক বাংলায় কর্মরত ছিলেন। তিনি ছিলেন দৈনিক বাংলার সাহিত্য সম্পাদক। এই পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে তিনি বাংলাদেশে সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে বিপুল খ্যাতি অর্জন করেন। সহকর্মী ও সতীর্থ কবি-লেখকরা তাকে প্রায়শই শ্রেষ্ঠ সাহিত্য-সম্পাদক হিসেবে চিহ্নিত করেন।
কাব্যগ্রন্থ, বড়দের উপন্যাস, গল্প, প্রবন্ধ-নিবন্ধ, ছোটদের ছড়া ও কবিতার বই সব মিলিয়ে আহসান হাবীবের বইয়ের সংখ্যা ২৫টির মতো। তার কবিতার বই আটটি। কাব্যগ্রন্থগুলো হলো : রাত্রিশেষ (১৯৪৮), ছায়াহরিণ (১৯৬২), সারা দুপুর (১৯৬৪), আশায় বসতি (১৯৭৪), মেঘ বলে চৈত্রে যাবো (১৯৭৬), দু’হাতে দুই আদিম পাথর (১৯৮০), প্রেমের কবিতা (১৯৮১), বিদীর্ণ দর্পণে মুখ (১৯৮৫)।
স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার, একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ বাংলাদেশের সব উল্লেখযোগ্য পুরস্কার তিনি পেয়েছেন।
ইন্টারনেট