এডিপি বাস্তবায়নের হার বেড়েছে

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বেড়েছে। বাস্তব অগ্রগতির হার ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৯৪ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর আর্থিক অগ্রগতির হার ১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৯৩ কোটি টাকা। যেখানে একই সময়ে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাস্তব অগ্রগতির হার ছিল ৯৪ দশমিক ১১ শতাংশ। আর আর্থিক অগ্রগতির হার ছিল ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩০৬ কোটি টাকা। গত মঙ্গলবার ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এডিপি অগ্রগতির এ চিত্র তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বাস্তব অগ্রগতি ও আর্থিক অগ্রগতি দুটোই বেড়েছে। টাকা তো বাড়বেই, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু বাস্তবায়নের হারও বেড়েছে। অঙ্কে সামান্য বাড়লেও কিন্তু বিশাল বড়। কারণ, আকারটা অনেক বড়। এটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৯৩ কোটি টাকার মধ্যে সরকার খরচ করেছে ১ লাখ ১১ হাজার ৩৩ কোটি, বিদেশি ঋণ ৪৭ হাজার ২৭৯ কোটি এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৮ হাজার ২৮২ কোটি টাকা। মাঠপর্যায়ে জোড়ালোভাবে কাজ করার জন্য এমনটা সম্ভব হয়েছে বলেও দাবি করেন এম এ মান্নান।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত অর্থবছরে যে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৯৩ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে তাতে সরকারের নিজস্ব তহবিলের নির্ধারিত অর্থের ৯৫ দশমিক ৭২ শতাংশ, প্রকল্প সহায়তা তহবিলের ৯২ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন তহবিলের ৯৫ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে। গত অর্থবছরের এ বাস্তবায়ন বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। আগের চার বছরের বাস্তবায়ন হার যথাক্রমে ৯৪ দশমিক ১১ শতাংশ, ৮৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ, ৯২ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং ৯১ দশমিক ৪০ শতাংশ। গত অর্থবছরের সংশোধিত এডিপির আকার ছিল ১ লাখ ৭৬ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। এরমধ্যে ১ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল, প্রকল্প সহায়তা খাতে ৫১ হাজার কোটি টাকা এবং স্বায়ত্ত শাসিত প্রতিষ্ঠানের তহবিলে ৯ হাজার ৬২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০১৯ , ২৭ আষাঢ় ১৪২৫, ৭ জ্বিলকদ ১৪৪০

এডিপি বাস্তবায়নের হার বেড়েছে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বেড়েছে। বাস্তব অগ্রগতির হার ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৯৪ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর আর্থিক অগ্রগতির হার ১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৯৩ কোটি টাকা। যেখানে একই সময়ে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাস্তব অগ্রগতির হার ছিল ৯৪ দশমিক ১১ শতাংশ। আর আর্থিক অগ্রগতির হার ছিল ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩০৬ কোটি টাকা। গত মঙ্গলবার ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এডিপি অগ্রগতির এ চিত্র তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বাস্তব অগ্রগতি ও আর্থিক অগ্রগতি দুটোই বেড়েছে। টাকা তো বাড়বেই, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু বাস্তবায়নের হারও বেড়েছে। অঙ্কে সামান্য বাড়লেও কিন্তু বিশাল বড়। কারণ, আকারটা অনেক বড়। এটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৯৩ কোটি টাকার মধ্যে সরকার খরচ করেছে ১ লাখ ১১ হাজার ৩৩ কোটি, বিদেশি ঋণ ৪৭ হাজার ২৭৯ কোটি এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৮ হাজার ২৮২ কোটি টাকা। মাঠপর্যায়ে জোড়ালোভাবে কাজ করার জন্য এমনটা সম্ভব হয়েছে বলেও দাবি করেন এম এ মান্নান।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত অর্থবছরে যে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৯৩ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে তাতে সরকারের নিজস্ব তহবিলের নির্ধারিত অর্থের ৯৫ দশমিক ৭২ শতাংশ, প্রকল্প সহায়তা তহবিলের ৯২ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন তহবিলের ৯৫ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে। গত অর্থবছরের এ বাস্তবায়ন বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। আগের চার বছরের বাস্তবায়ন হার যথাক্রমে ৯৪ দশমিক ১১ শতাংশ, ৮৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ, ৯২ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং ৯১ দশমিক ৪০ শতাংশ। গত অর্থবছরের সংশোধিত এডিপির আকার ছিল ১ লাখ ৭৬ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। এরমধ্যে ১ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল, প্রকল্প সহায়তা খাতে ৫১ হাজার কোটি টাকা এবং স্বায়ত্ত শাসিত প্রতিষ্ঠানের তহবিলে ৯ হাজার ৬২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।