সাক্ষাৎকার

চলচ্চিত্রের জন্যই নিজেকে প্রস্তুত করছি

১৯ জুলাই মুক্তি পেতে যাচ্ছে মাহমুদ হাসান সিকদারের পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘অবতার’। এ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটতে যাচ্ছে তরুণ অভিনেতা সোহেল রানার। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নিথর মাহবুব

চলচ্চিত্রে অভিনয়ের স্বপ্নটা কখন থেকে?

পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ার সময় প্রথম মঞ্চ নাটকে অভিনয় করার পর থেকেই স্বপ্ন দেখতাম একদিন চলচ্চিত্রে অভিনয় করব। একজন অভিনেতাকে সার্বক্ষণিক ভাবে বাঁচিয়ে রাখার জন্য মঞ্চ, বিনোদন ও অনলাইন পত্রিকা, টেলিভিশন এসবের বিকল্প নেই। তবে চলচ্চিত্র হলো শিল্পের সর্বোচ্চ মাধ্যম। অভিয়ে আরণ্যকের মতো একটি নাট্যদল এবং মামুনুর রশীদের মতো এত বড়মাপের গুণী মানুষের ছায়ায় কাজ করছি বলেই আমার সেই স্বপ্ন পূরণের অগ্রযাত্রা গতিশীল হয়েছে।

এটাইতো আপনার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র

১৯ জুলাই আমার চলচ্চিত্রে অভিষেক হতে যাচ্ছে। সবার দোয়া প্রত্যাশা করছি। ছবিটির পরিচালক মাহমুদ হাসান সিকদারের কাছে কৃতজ্ঞ আমার স্বপ্ন পূরণের প্রথম সারথী হবার জন্য। ‘অবতার’ সিনেমার গল্প, নির্মাণ, সঙ্গীত ও অভিনয় শৈলী খুবই ভালো হয়েছে।

চলচ্চিত্রে প্রথম শট দেয়ার অভিজ্ঞতা কেমন?

পাবনা এডওয়ার্ড কলেজে ‘অবতার’ চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্যে প্রথম শট দেয়ার পর ছাত্রছাত্রী ও দর্শনার্থীরা সেলফি তোলার জন্য ঘিরে ধরেছিলেন। একজন অভিনেতার জন্য এ এক অন্যরকম অনুভূতি।

শ্রদ্ধেয় অভিনেতা মিশা সওদাগর ও আমি অবতার সিনেমায় বাবা-ছেলে। মিশা ভাইয়ের সঙ্গে শট দেয়ার পর তার রুমে ডেকে খেজুর দিয়ে বলেছিল ‘বাবা তুমিতো খুব ভালো অভিনয় কর।’

চলচ্চিত্রে নতুন হিসেবে সহকর্মীদের সহযোগিতা কেমন ছিল?

‘অবতার’ চলচ্চিত্রে টিমের প্রতিটি সদস্য আমাকে সহযোগিতা করেছে। মিশা ভাই, রুশো ভাই, আমিন ভাই, মাহিয়া মাহি, পরিচালক-হাসান ভাই, চিত্রগ্রাহক-রনি ভাই, পৃথ্বী ভাবি ও মেকআপ আর্টিস্টসহ সবাই খুব আন্তরিক ছিল আমার প্রতি।

চলচ্চিত্রের জন্য প্রস্তুতি কেমন ছিল?

নিজের চরিত্রটিতে মগ্ন থাকার চেষ্টা করেছি। যেহেতু আমি মঞ্চে ও টিভিতে নিয়মিত অভিনয় করছি সেহেতু অভিনয়ের জন্য প্রস্তুতিটা দীর্ঘদিনেরই বলা চলে। তবে প্রত্যেকটি মাধ্যমেরই কিছু আলাদা বৈশিষ্ট্য থাকে। সেগুলো সম্পর্কে যথাসম্ভব ধারণা নেয়ার চেষ্টা করেছি। তারপরেও কাজ করতে গিয়ে অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হয়েছে। যা ভাবিষ্যতে চলচ্চিত্রে কাজ করার জন্য সহায়ক হবে। ভালো সুযোগ পেলে চলচ্চিত্রেই নিয়মিত হতে চাই। ‘অবতার’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পর গত আড়াই বছর কোনো নাটক করা হয়নি, চলচ্চিত্রের জন্যই নিজেকে প্রস্তুত করছি। আশা করি ১৯ জুলাই দর্শক একটি ভালো চলচ্চিত্র পেতে যাচ্ছে। সবাই হলে গিয়ে ছবিটি দেখলেই আমাদের কষ্ট সার্থক হবে, চলচ্চিত্র শিল্প বাঁচবে।

বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০১৯ , ২৭ আষাঢ় ১৪২৫, ৭ জ্বিলকদ ১৪৪০

সাক্ষাৎকার

চলচ্চিত্রের জন্যই নিজেকে প্রস্তুত করছি

image

১৯ জুলাই মুক্তি পেতে যাচ্ছে মাহমুদ হাসান সিকদারের পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘অবতার’। এ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটতে যাচ্ছে তরুণ অভিনেতা সোহেল রানার। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নিথর মাহবুব

চলচ্চিত্রে অভিনয়ের স্বপ্নটা কখন থেকে?

পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ার সময় প্রথম মঞ্চ নাটকে অভিনয় করার পর থেকেই স্বপ্ন দেখতাম একদিন চলচ্চিত্রে অভিনয় করব। একজন অভিনেতাকে সার্বক্ষণিক ভাবে বাঁচিয়ে রাখার জন্য মঞ্চ, বিনোদন ও অনলাইন পত্রিকা, টেলিভিশন এসবের বিকল্প নেই। তবে চলচ্চিত্র হলো শিল্পের সর্বোচ্চ মাধ্যম। অভিয়ে আরণ্যকের মতো একটি নাট্যদল এবং মামুনুর রশীদের মতো এত বড়মাপের গুণী মানুষের ছায়ায় কাজ করছি বলেই আমার সেই স্বপ্ন পূরণের অগ্রযাত্রা গতিশীল হয়েছে।

এটাইতো আপনার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র

১৯ জুলাই আমার চলচ্চিত্রে অভিষেক হতে যাচ্ছে। সবার দোয়া প্রত্যাশা করছি। ছবিটির পরিচালক মাহমুদ হাসান সিকদারের কাছে কৃতজ্ঞ আমার স্বপ্ন পূরণের প্রথম সারথী হবার জন্য। ‘অবতার’ সিনেমার গল্প, নির্মাণ, সঙ্গীত ও অভিনয় শৈলী খুবই ভালো হয়েছে।

চলচ্চিত্রে প্রথম শট দেয়ার অভিজ্ঞতা কেমন?

পাবনা এডওয়ার্ড কলেজে ‘অবতার’ চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্যে প্রথম শট দেয়ার পর ছাত্রছাত্রী ও দর্শনার্থীরা সেলফি তোলার জন্য ঘিরে ধরেছিলেন। একজন অভিনেতার জন্য এ এক অন্যরকম অনুভূতি।

শ্রদ্ধেয় অভিনেতা মিশা সওদাগর ও আমি অবতার সিনেমায় বাবা-ছেলে। মিশা ভাইয়ের সঙ্গে শট দেয়ার পর তার রুমে ডেকে খেজুর দিয়ে বলেছিল ‘বাবা তুমিতো খুব ভালো অভিনয় কর।’

চলচ্চিত্রে নতুন হিসেবে সহকর্মীদের সহযোগিতা কেমন ছিল?

‘অবতার’ চলচ্চিত্রে টিমের প্রতিটি সদস্য আমাকে সহযোগিতা করেছে। মিশা ভাই, রুশো ভাই, আমিন ভাই, মাহিয়া মাহি, পরিচালক-হাসান ভাই, চিত্রগ্রাহক-রনি ভাই, পৃথ্বী ভাবি ও মেকআপ আর্টিস্টসহ সবাই খুব আন্তরিক ছিল আমার প্রতি।

চলচ্চিত্রের জন্য প্রস্তুতি কেমন ছিল?

নিজের চরিত্রটিতে মগ্ন থাকার চেষ্টা করেছি। যেহেতু আমি মঞ্চে ও টিভিতে নিয়মিত অভিনয় করছি সেহেতু অভিনয়ের জন্য প্রস্তুতিটা দীর্ঘদিনেরই বলা চলে। তবে প্রত্যেকটি মাধ্যমেরই কিছু আলাদা বৈশিষ্ট্য থাকে। সেগুলো সম্পর্কে যথাসম্ভব ধারণা নেয়ার চেষ্টা করেছি। তারপরেও কাজ করতে গিয়ে অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হয়েছে। যা ভাবিষ্যতে চলচ্চিত্রে কাজ করার জন্য সহায়ক হবে। ভালো সুযোগ পেলে চলচ্চিত্রেই নিয়মিত হতে চাই। ‘অবতার’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পর গত আড়াই বছর কোনো নাটক করা হয়নি, চলচ্চিত্রের জন্যই নিজেকে প্রস্তুত করছি। আশা করি ১৯ জুলাই দর্শক একটি ভালো চলচ্চিত্র পেতে যাচ্ছে। সবাই হলে গিয়ে ছবিটি দেখলেই আমাদের কষ্ট সার্থক হবে, চলচ্চিত্র শিল্প বাঁচবে।