প্রবৃদ্ধি আরও বেগবান হবে

প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শেখ হাসিনা দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য তার সরকারের যথাযথ প্রকল্প গ্রহণ এবং দক্ষ বাস্তবায়নকে মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, এমন প্রবৃদ্ধি সামনের দিনগুলোতে আরও বেগবান হবে।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ২০২৩-২৪ সালের মধ্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশে নিয়ে যাওয়া এবং দীর্ঘমেয়াদে তা ধরে রাখা। গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় (বাজেট) অধিবেশনে তার জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরপর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সার্বিকভাবে আমাদের অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। বিনিয়োগ ক্রমাগত বাড়ছে, রফতানি এবং প্রবাসী আয়ের উচ্চ প্রবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য বজায় রয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং বাজেট ঘাটতি ৫ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের সক্ষমতা এমন পর্যায়ে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি যে, পদ্মা সেতুর মতো বৃহৎ প্রকল্প নিজেদের অর্থায়নে বাস্তবায়ন করছি। তিনি বলেন, আমার চিন্তাপ্রসূত ১০টি বিশেষ উদ্যোগও বাস্তবায়ন করছি, যা শেখ হাসিনার ১০টি উদ্যোগ নামে পরিচিত। এগুলো হচ্ছে- আমার বাড়ি আমার খামার, আশ্রয়ণ প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, নারীর ক্ষমতায়ন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, বিনিয়োগ বিকাশ ও পরিবেশ সুরক্ষা।

শীর্ষ প্রবৃদ্ধি অর্জনের তালিকায় বাংলাদেশ : জাতিসংঘের বিশ্ব অর্থনীতির অবস্থা ও সম্ভাবনা-২০১৯ (ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক সিচুয়েশন অ্যান্ড প্রসপেক্টস-২০১৯) শীর্ষক প্রতিবেদনে শীর্ষ প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৮ সালের দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি এবং এশিয়া অঞ্চলে ভারতের পরই বাংলাদেশের অবস্থান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার পাঁচ বছর মেয়াদে ১২ দশমিক ৯ মিলিয়ন অতিরিক্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে, যার মধ্যে প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য ২ মিলিয়ন কর্মসংস্থান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ সময় ৯৯ লাখ শ্রমিক কাজে যোগ দেবে।

বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং : নওগাঁ-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শহিদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বিদেশে শ্রমিক পাঠানো হয়েছে আট লাখ ৮০ হাজার। শ্রমিকদের বৈদেশিক কর্মসংস্থান ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৫ থেকে ৫০ শতাংশে উন্নীত হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ তরুণ-তরুণী কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে দেশের শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে। এ বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। আমরা গত ১০ বছরে দেশের বিভিন্ন ইপিজেডে তিন লাখ পাঁচ হাজার ২৪২ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নিয়েছি। তিনি আরও জানান, বর্তমান সরকারের মেয়াদে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৬৫ হাজার ৫৪৬টি পদ সৃজনের সম্মতি দিয়েছে। এর মধ্যে ৫৯ হাজার ৬০৫টি পদের ছাড়পত্র দিয়েছে।

বিকেন্দ্রীকরণ হবে দেশের শাসনব্যবস্থা : চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। এ সময়ের মধ্যে দেশের শাসনব্যবস্থা বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে। সরকারি ব্যয়ের সিংহভাগ বাস্তবায়ন হবে স্থানীয় পর্যায়ে। স্থানীয় প্রশাসন এ দায়িত্ব পালন করবে। স্থানীয় প্রশাসন ও কেন্দ্রের সুস্পষ্ট সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিকল্পনা করা হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। বিনিয়োগ ক্রমাগত বাড়ছে, রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ে উচ্চ প্রবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য বজায় আছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বাজেট ঘাটতির পরিমাণ জিডিপির ৫ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। আশা করা যায়, বিদ্যমান পরিবেশে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন সামনের দিনগুলোতে আরও বেগবান হবে। বাংলাদেশ শীঘ্রই উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।

রুশেমার বক্তৃতা সংসদ সদস্যদের পড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর : আওয়ামী লীগ দলীয় সংরক্ষিত সংসদ সদস্য রুশেমা বেগমের মৃত্যুতে শোকার্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার (রুশেমার) স্নেহমাখা কথাগুলো আমি ভুলতে পারি না। সংসদে তিনি যে বক্তৃতা করেছেন সেটা আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে যারা মিথ্যাচার করছেন তাদের একটা উপযুক্ত জবাব, বেইমান-মোনাফেকদের উপযুক্ত জবাব। তাই সংসদ সদস্যদের বলব তার বক্তৃতাটা সংগ্রহ করে পড়তে, শুনতে। গতকাল সংসদ অধিবেশনে সংসদ সদস্য রুশেমা বেগমের মৃত্যুতে শোকপ্রস্তাব গৃহীত হয়। তার আগে সংসদ নেতাসহ আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা আলোচনা করেন। আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, বিরোধীদলীয় উপনেতা রওশন এরশাদ, বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা প্রমুখ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি (রুশেমা) অত্যন্ত নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। একটা যুগে মেয়েদের শিক্ষা অত্যন্ত কঠিন ছিল। সেই যুগে তিনি লেখাপড়া করেন, প্রথমে মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন, এরপর তিনি ইশান মেমোরিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন। তার স্বামী ওই স্কুলেই শিক্ষকতা করতেন। শেখ হাসিনা আরও বলেন, ১৯৮১ সালে আমি যখন দেশে ফিরে আসি। পরিবারের সব সদস্যকে হারিয়ে সেই স্বজন হারানো বেদনা নিয়েই ফিরে এসেছিলাম। কিন্তু ?আমি ভালোবাসা পেয়েছিলাম, স্নেহ পেয়েছিলাম তাদের কাছ থেকে যারা জাতির পিতার সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করেছেন।

বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০১৯ , ২৭ আষাঢ় ১৪২৫, ৭ জ্বিলকদ ১৪৪০

সংসদে প্রধানমন্ত্রী

প্রবৃদ্ধি আরও বেগবান হবে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শেখ হাসিনা দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য তার সরকারের যথাযথ প্রকল্প গ্রহণ এবং দক্ষ বাস্তবায়নকে মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, এমন প্রবৃদ্ধি সামনের দিনগুলোতে আরও বেগবান হবে।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ২০২৩-২৪ সালের মধ্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশে নিয়ে যাওয়া এবং দীর্ঘমেয়াদে তা ধরে রাখা। গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় (বাজেট) অধিবেশনে তার জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরপর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সার্বিকভাবে আমাদের অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। বিনিয়োগ ক্রমাগত বাড়ছে, রফতানি এবং প্রবাসী আয়ের উচ্চ প্রবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য বজায় রয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং বাজেট ঘাটতি ৫ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের সক্ষমতা এমন পর্যায়ে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি যে, পদ্মা সেতুর মতো বৃহৎ প্রকল্প নিজেদের অর্থায়নে বাস্তবায়ন করছি। তিনি বলেন, আমার চিন্তাপ্রসূত ১০টি বিশেষ উদ্যোগও বাস্তবায়ন করছি, যা শেখ হাসিনার ১০টি উদ্যোগ নামে পরিচিত। এগুলো হচ্ছে- আমার বাড়ি আমার খামার, আশ্রয়ণ প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, নারীর ক্ষমতায়ন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, বিনিয়োগ বিকাশ ও পরিবেশ সুরক্ষা।

শীর্ষ প্রবৃদ্ধি অর্জনের তালিকায় বাংলাদেশ : জাতিসংঘের বিশ্ব অর্থনীতির অবস্থা ও সম্ভাবনা-২০১৯ (ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক সিচুয়েশন অ্যান্ড প্রসপেক্টস-২০১৯) শীর্ষক প্রতিবেদনে শীর্ষ প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৮ সালের দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি এবং এশিয়া অঞ্চলে ভারতের পরই বাংলাদেশের অবস্থান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার পাঁচ বছর মেয়াদে ১২ দশমিক ৯ মিলিয়ন অতিরিক্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে, যার মধ্যে প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য ২ মিলিয়ন কর্মসংস্থান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ সময় ৯৯ লাখ শ্রমিক কাজে যোগ দেবে।

বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং : নওগাঁ-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শহিদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বিদেশে শ্রমিক পাঠানো হয়েছে আট লাখ ৮০ হাজার। শ্রমিকদের বৈদেশিক কর্মসংস্থান ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৫ থেকে ৫০ শতাংশে উন্নীত হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ তরুণ-তরুণী কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে দেশের শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে। এ বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। আমরা গত ১০ বছরে দেশের বিভিন্ন ইপিজেডে তিন লাখ পাঁচ হাজার ২৪২ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নিয়েছি। তিনি আরও জানান, বর্তমান সরকারের মেয়াদে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৬৫ হাজার ৫৪৬টি পদ সৃজনের সম্মতি দিয়েছে। এর মধ্যে ৫৯ হাজার ৬০৫টি পদের ছাড়পত্র দিয়েছে।

বিকেন্দ্রীকরণ হবে দেশের শাসনব্যবস্থা : চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। এ সময়ের মধ্যে দেশের শাসনব্যবস্থা বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে। সরকারি ব্যয়ের সিংহভাগ বাস্তবায়ন হবে স্থানীয় পর্যায়ে। স্থানীয় প্রশাসন এ দায়িত্ব পালন করবে। স্থানীয় প্রশাসন ও কেন্দ্রের সুস্পষ্ট সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিকল্পনা করা হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। বিনিয়োগ ক্রমাগত বাড়ছে, রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ে উচ্চ প্রবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য বজায় আছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বাজেট ঘাটতির পরিমাণ জিডিপির ৫ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। আশা করা যায়, বিদ্যমান পরিবেশে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন সামনের দিনগুলোতে আরও বেগবান হবে। বাংলাদেশ শীঘ্রই উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।

রুশেমার বক্তৃতা সংসদ সদস্যদের পড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর : আওয়ামী লীগ দলীয় সংরক্ষিত সংসদ সদস্য রুশেমা বেগমের মৃত্যুতে শোকার্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার (রুশেমার) স্নেহমাখা কথাগুলো আমি ভুলতে পারি না। সংসদে তিনি যে বক্তৃতা করেছেন সেটা আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে যারা মিথ্যাচার করছেন তাদের একটা উপযুক্ত জবাব, বেইমান-মোনাফেকদের উপযুক্ত জবাব। তাই সংসদ সদস্যদের বলব তার বক্তৃতাটা সংগ্রহ করে পড়তে, শুনতে। গতকাল সংসদ অধিবেশনে সংসদ সদস্য রুশেমা বেগমের মৃত্যুতে শোকপ্রস্তাব গৃহীত হয়। তার আগে সংসদ নেতাসহ আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা আলোচনা করেন। আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, বিরোধীদলীয় উপনেতা রওশন এরশাদ, বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা প্রমুখ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি (রুশেমা) অত্যন্ত নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। একটা যুগে মেয়েদের শিক্ষা অত্যন্ত কঠিন ছিল। সেই যুগে তিনি লেখাপড়া করেন, প্রথমে মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন, এরপর তিনি ইশান মেমোরিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন। তার স্বামী ওই স্কুলেই শিক্ষকতা করতেন। শেখ হাসিনা আরও বলেন, ১৯৮১ সালে আমি যখন দেশে ফিরে আসি। পরিবারের সব সদস্যকে হারিয়ে সেই স্বজন হারানো বেদনা নিয়েই ফিরে এসেছিলাম। কিন্তু ?আমি ভালোবাসা পেয়েছিলাম, স্নেহ পেয়েছিলাম তাদের কাছ থেকে যারা জাতির পিতার সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করেছেন।