ভারতকে সতর্কবার্তা ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করায় ভারতের ওপর আবারও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। গত মঙ্গলবার এক টুইটার বার্তায় তিনি বলেন, মার্কিন পণ্যে বাড়তি শুল্ক বন্ধ করতে দিল্লিকে প্রচুর সময় দেয়া হয়েছে। অতএব দেশটির শুল্ক আরোপ আর মেনে নেয়া হবে না বলে সতর্ক বার্তা দেন তিনি।

ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই বাড়ছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বাণিজ্য বৈষম্য। ২০১৬ সালে দেশ দুটির দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ দাঁড়ায় ১১ হাজার ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার। তবে ট্রাম্প প্রশাসন চায় তাদের সঙ্গে বাণিজ্যের পরিমাণ ৩ হাজার ১০০ কোটি মার্কিন ডলারে নেমে আসুক। আর ঘাটতিতে পড়ুক ভারত। গত ৫ জুন ভারতের বিশেষ বাণিজ্য সুবিধা জিএসপি বাতিল করে যুক্তরাষ্ট্র। এ সুবিধার আওতায় ৫৬০ কোটি ডলার পর্যন্ত শুল্কমুক্ত রফতানি সুবিধা পেত ভারত। জিএসপি বাতিলের সিদ্ধান্তকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ উল্লেখ করে জাতীয় স্বার্থ অক্ষুণ্ন রাখার ঘোষণা দেয় দেশটি। এর ধারাবাহিকতায় ২৮টি মার্কিন পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করে দিল্লি। এ শুল্ক প্রত্যাহার করে নিতে গত মাসে ভারতকে আহ্বান জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পরে জাপানে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনের পার্শ্ববৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আলোচনা আবারও শুরু করতে সম্মত হন ট্রাম্প। সেই ধারাবাহিকতায় আগামী সপ্তাহে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ভারত সফরের কথা রয়েছে। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার টুইটার বার্তায় ভারতের শুল্ক আরোপের কড়া সমালোচনা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘মার্কিন পণ্যে শুল্ক আরোপ নিয়ে ভারত পর্যাপ্ত সময় পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০১৯ , ২৭ আষাঢ় ১৪২৫, ৭ জ্বিলকদ ১৪৪০

মার্কিন পণ্যে শুল্ক আরোপ

ভারতকে সতর্কবার্তা ট্রাম্পের

সংবাদ ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করায় ভারতের ওপর আবারও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। গত মঙ্গলবার এক টুইটার বার্তায় তিনি বলেন, মার্কিন পণ্যে বাড়তি শুল্ক বন্ধ করতে দিল্লিকে প্রচুর সময় দেয়া হয়েছে। অতএব দেশটির শুল্ক আরোপ আর মেনে নেয়া হবে না বলে সতর্ক বার্তা দেন তিনি।

ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই বাড়ছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বাণিজ্য বৈষম্য। ২০১৬ সালে দেশ দুটির দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ দাঁড়ায় ১১ হাজার ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার। তবে ট্রাম্প প্রশাসন চায় তাদের সঙ্গে বাণিজ্যের পরিমাণ ৩ হাজার ১০০ কোটি মার্কিন ডলারে নেমে আসুক। আর ঘাটতিতে পড়ুক ভারত। গত ৫ জুন ভারতের বিশেষ বাণিজ্য সুবিধা জিএসপি বাতিল করে যুক্তরাষ্ট্র। এ সুবিধার আওতায় ৫৬০ কোটি ডলার পর্যন্ত শুল্কমুক্ত রফতানি সুবিধা পেত ভারত। জিএসপি বাতিলের সিদ্ধান্তকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ উল্লেখ করে জাতীয় স্বার্থ অক্ষুণ্ন রাখার ঘোষণা দেয় দেশটি। এর ধারাবাহিকতায় ২৮টি মার্কিন পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করে দিল্লি। এ শুল্ক প্রত্যাহার করে নিতে গত মাসে ভারতকে আহ্বান জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পরে জাপানে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনের পার্শ্ববৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আলোচনা আবারও শুরু করতে সম্মত হন ট্রাম্প। সেই ধারাবাহিকতায় আগামী সপ্তাহে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ভারত সফরের কথা রয়েছে। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার টুইটার বার্তায় ভারতের শুল্ক আরোপের কড়া সমালোচনা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘মার্কিন পণ্যে শুল্ক আরোপ নিয়ে ভারত পর্যাপ্ত সময় পেয়েছে।