মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আর নেই

বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আর নেই। গতকাল ভোররাতে তিনি ঢাকার গেন্ডারিয়ার আসগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘদিন থেকে এই সাংবাদিক মাইলো ফাইব্রোসেসে (রক্তের ক্যানসার) আক্রান্ত ছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।

বেলা ১১টায় তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় প্রেসক্লাবে। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বাদ আসর তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় শান্তিনগরের চামেলিবাগ জামে মসজিদে। জানাজা শেষে তার লাশ মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের দাফন করা হয়।

মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের ছেলে অপূর্ব জাহাঙ্গীর জানান, ৮ জুলাই বেলা ১১টা থেকে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন বাবা। মঙ্গলবার রাত ১২টা ৪০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তিনি বলেন, বাবার মরদেহ হিমঘরে রাখা হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টায় রাজধানীর শান্তিনগরের কুলসুম টাওয়ারের নিজ বাসভবনে নেয়া হয়।

এদিকে মৃত্যুর খবর শুনে মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের শান্তিনগরের বাসায় আসতে শুরু করেছেন তার আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাক্সক্ষীরা। তার মরদেহ বর্তমানে বাসার নিচেই রাখা হয়েছে। তাকে দেখতে সকাল ৯টার দিকে শান্তিনগরের বাসায় আসেন বড় ভাই প্রফেসর ড. ইউনূস।

প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর ১৯৭০-এর দশকের প্রথম দিকে প্রিন্ট মিডিয়ায় সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরে তিনি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় যুক্ত হন। এছাড়া সাংস্কৃতিক পরিম-লেও যুক্ত ছিলেন তিনি। নাচের সংগঠন নৃত্যাঞ্চল ড্যান্স কোম্পানির সমন্বয়কের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক থিয়েটার ইনস্টিটিউট (আইটিআই) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। নৃত্যাঞ্চল ড্যান্স কোম্পানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর রাজধানীর দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা গণযোগাযোগ বিষয়ে পড়াতেন। তার লেখা ও সম্পাদিত বইয়ের সংখ্যা ২৫টি। তিনি ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউট (আইটিআই)-এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। এছাড়াও তিনি নৃত্যাঞ্চল ড্যান্স কোম্পানির একজন সমন্বয়কের দায়িত্বে ছিলেন। মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর দেশের প্রথম লাইভ টেলিভিশন টকশো ‘অভিমত’-এর সঞ্চালক ছিলেন। অনুষ্ঠানটি ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছিল।

আরও খবর
জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকির মুখে বাংলাদেশ
জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় বিশ্ব সম্প্রদায়কে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান
বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার স্বাধীনতার প্রতীক
বাংলাদেশে বৈশ্বিক অভিযোজন কেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব বান কি মুনের
ভিকারুননিসার দুই শিক্ষিকার বিচার শুরুর আদেশ
১৩ জুলাই গণঅবস্থান বাম ঐক্যের
ভবন ভাঙচুর ও ৫ কোটি টাকার সম্পদ লুট
প্রবীণ সাংবাদিক অজয় বড়ুয়ার সুস্থতা কামনায় প্রার্থনা
তড়িঘড়ি করে নিয়োগ দেয়ার হিড়িক!
শিশু নির্যাতন বন্ধে স্কুলে অভিযোগ বক্স রাখার নির্দেশ
ধর্ষণ মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন : শিক্ষক বরখাস্ত
মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট হাসান রেজা নিখোঁজ

বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০১৯ , ২৭ আষাঢ় ১৪২৫, ৭ জ্বিলকদ ১৪৪০

মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আর নেই

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আর নেই। গতকাল ভোররাতে তিনি ঢাকার গেন্ডারিয়ার আসগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘদিন থেকে এই সাংবাদিক মাইলো ফাইব্রোসেসে (রক্তের ক্যানসার) আক্রান্ত ছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।

বেলা ১১টায় তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় প্রেসক্লাবে। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বাদ আসর তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় শান্তিনগরের চামেলিবাগ জামে মসজিদে। জানাজা শেষে তার লাশ মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের দাফন করা হয়।

মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের ছেলে অপূর্ব জাহাঙ্গীর জানান, ৮ জুলাই বেলা ১১টা থেকে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন বাবা। মঙ্গলবার রাত ১২টা ৪০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তিনি বলেন, বাবার মরদেহ হিমঘরে রাখা হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টায় রাজধানীর শান্তিনগরের কুলসুম টাওয়ারের নিজ বাসভবনে নেয়া হয়।

এদিকে মৃত্যুর খবর শুনে মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের শান্তিনগরের বাসায় আসতে শুরু করেছেন তার আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাক্সক্ষীরা। তার মরদেহ বর্তমানে বাসার নিচেই রাখা হয়েছে। তাকে দেখতে সকাল ৯টার দিকে শান্তিনগরের বাসায় আসেন বড় ভাই প্রফেসর ড. ইউনূস।

প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর ১৯৭০-এর দশকের প্রথম দিকে প্রিন্ট মিডিয়ায় সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরে তিনি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় যুক্ত হন। এছাড়া সাংস্কৃতিক পরিম-লেও যুক্ত ছিলেন তিনি। নাচের সংগঠন নৃত্যাঞ্চল ড্যান্স কোম্পানির সমন্বয়কের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক থিয়েটার ইনস্টিটিউট (আইটিআই) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। নৃত্যাঞ্চল ড্যান্স কোম্পানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর রাজধানীর দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা গণযোগাযোগ বিষয়ে পড়াতেন। তার লেখা ও সম্পাদিত বইয়ের সংখ্যা ২৫টি। তিনি ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউট (আইটিআই)-এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। এছাড়াও তিনি নৃত্যাঞ্চল ড্যান্স কোম্পানির একজন সমন্বয়কের দায়িত্বে ছিলেন। মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর দেশের প্রথম লাইভ টেলিভিশন টকশো ‘অভিমত’-এর সঞ্চালক ছিলেন। অনুষ্ঠানটি ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছিল।