শিশু নির্যাতন রোধে দেশের প্রতিটি স্কুলে অভিযোগ বক্স রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার এবং বিবাদী পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক।
অরিত্রীর আত্মহত্যা মামলার শুনানিতে আদালত বলেন, প্রতিটি স্কুলে শিশুদের নির্যাতনের অভিযোগ শোনার জন্য একটি অভিযোগ বক্স রাখতে হবে। শিশুরা তাদের অভিযোগগুলো মা-বাবা অথবা স্কুলের শিক্ষক, কারও কাছেই বলতে পারে না। এক্ষেত্রে স্কুলে একটি অভিযোগ বক্স থাকলে সেখানে অভিযোগ লিখে নির্ভয়ে দিতে পারবে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের উদ্দেশে আদালত বলেন, এই অভিযোগ বক্সের বিষয়টি প্রচার করতে হবে। তাই তথ্য মন্ত্রণালয়কে এই মামলায় বিবাদী করা যায় কি না, এ বিষয়টি খতিয়ে দেখুন। একই সঙ্গে বুলিং (নির্যাতন) প্রতিরোধে যে কমিটি থাকবে, ওই কমিটির প্রধান যদি স্কুলপ্রধান হন এবং তার বিরুদ্ধেই যদি নির্যাতনের অভিযোগ আসে, তাহলে কমিটি তদন্ত করবে কীভাবে? এ জন্য জেলা প্রশাসন পর্যায়ের কোন কর্মকর্তাকে ওই কমিটিতে যুক্ত করা যায় কি না, এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ নিন। এরপর অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় বুলিং নিরোধ কমিটির অগ্রগতি প্রতিবেদন আগামী ২২ অক্টোবরের মধ্যে জমা দেয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে অরিত্রীর আত্মহত্যার খবর প্রকাশের পর তা সুপ্রিম কোর্টের চার আইনজীবীর নজরে আনা হয়। এরপর ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন।
বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০১৯ , ২৭ আষাঢ় ১৪২৫, ৭ জ্বিলকদ ১৪৪০
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
শিশু নির্যাতন রোধে দেশের প্রতিটি স্কুলে অভিযোগ বক্স রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার এবং বিবাদী পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক।
অরিত্রীর আত্মহত্যা মামলার শুনানিতে আদালত বলেন, প্রতিটি স্কুলে শিশুদের নির্যাতনের অভিযোগ শোনার জন্য একটি অভিযোগ বক্স রাখতে হবে। শিশুরা তাদের অভিযোগগুলো মা-বাবা অথবা স্কুলের শিক্ষক, কারও কাছেই বলতে পারে না। এক্ষেত্রে স্কুলে একটি অভিযোগ বক্স থাকলে সেখানে অভিযোগ লিখে নির্ভয়ে দিতে পারবে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের উদ্দেশে আদালত বলেন, এই অভিযোগ বক্সের বিষয়টি প্রচার করতে হবে। তাই তথ্য মন্ত্রণালয়কে এই মামলায় বিবাদী করা যায় কি না, এ বিষয়টি খতিয়ে দেখুন। একই সঙ্গে বুলিং (নির্যাতন) প্রতিরোধে যে কমিটি থাকবে, ওই কমিটির প্রধান যদি স্কুলপ্রধান হন এবং তার বিরুদ্ধেই যদি নির্যাতনের অভিযোগ আসে, তাহলে কমিটি তদন্ত করবে কীভাবে? এ জন্য জেলা প্রশাসন পর্যায়ের কোন কর্মকর্তাকে ওই কমিটিতে যুক্ত করা যায় কি না, এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ নিন। এরপর অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় বুলিং নিরোধ কমিটির অগ্রগতি প্রতিবেদন আগামী ২২ অক্টোবরের মধ্যে জমা দেয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে অরিত্রীর আত্মহত্যার খবর প্রকাশের পর তা সুপ্রিম কোর্টের চার আইনজীবীর নজরে আনা হয়। এরপর ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন।