নারীরা কোথায় নিরাপদ?

আমান আল মাহ্‌মুদ

আজ থেকে শত বছর পূর্বে ভারতীয় উপমহাদেশে নারীদের অবস্থা ছিল চরম শোচনীয়। বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিক থেকেই এ দেশের নারীরা পরাধীনতার শিকল থেকে মুক্ত হতে শুরু করে। কালের পালা বদলে বর্তমানে নারীদের জীবনযাত্রার মান বেশ উন্নত। আজ গৃহস্থালি থেকে দেশ পরিচালনায় পুরুষের পাশাপাশি সমান অবদান নারীদের। কিন্তু এখনও পুরুষের লোলুপ দৃষ্টিতে অসহায় নারী সমাজ। শিশু থেকে বৃদ্ধা, ঘর থেকে কর্মস্থল কোথাও নিরাপদ নয় নারী। ইভটিজিং, যৌন হয়রানি, ধর্ষণ কিংবা ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় নারী সমাজের নিরাপত্তার বিষয়টি যেন আটকে আছে শুধু সভা-সেমিনারেই।

গেল দুই যুগে যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কয়েক হাজার নারী। এই তালিকায় রয়েছে শিশু, কিশোরী, তরুণী, যুবতী, মধ্যে বয়সী এমন কি শত বছরের বৃদ্ধা। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস কোথায় নিরাপদ নারী? বর্তমানে ধর্ষণ আমাদের দেশে খুবই সাধারণ ঘটনায় রূপ নিয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষিত হয়েছেন বেশ কিছু নারী, যার অধিকাংশই স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী।

ধর্ষণ কতটা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে-এ বিষয়ে নূন্যতম একটি ধারণা দেয়ার জন্য পাঠকদের উদ্দেশ্যে গত এক সপ্তাহের তথ্য তুলে ধরা হলো।

গত ২৫ জুন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের স্কুলশিক্ষক আরিফুল ইসলাম এক ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেন। এরপর ২৭ জুন মেয়েটির পরিবার ও এলাকার লোকজন আরিফুলকে পিটুনি দিয়ে র‌্যাবের হাতে তুলে দেন। সে সময় জিজ্ঞাসাবাদে আরিফুল র‌্যাবকে জানায়, তিনি ছাত্রীদের বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে গত ৫ বছরে ২০ ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছেন।

২৭ জুন বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় চতুর্থ শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে (১২) ধর্ষণের অভিযোগে আলী মাতুব্বর (৫২) নামের এক মুদি দোকানদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গত ৩ জুলাই বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণীর এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ নিজ ঘরে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠে। ঐ শিশুটির নাম হীরা আক্তার (১২)। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন যুবককে আটক করে। একইদিনে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় গণধর্ষণের স্বীকার হয় জুতা তৈরির কারখানার এক নারী শ্রমিক (১৯)। এছাড়া ওই দিন শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় চার পরিবহণ শ্রমিকের বিরুদ্ধে একাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে (১৬) কয়েক দফা ধর্ষণের অভিযোগ উঠে। অভিযুক্ত একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

৪ জুলাই আবারো নারায়ণগজ্ঞের বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আল আমিন (৪৫) বারো জন ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে গ্রেফতার হয়েছে। এবং তিনি নিজেই মিডিয়ার সামনে তার দোষ স্বীকার করে নিজের মৃত্যুদন্ড দাবি করেন।

এ শুধু এক সপ্তাহের চিত্র। এমন ধর্ষণ ঘটে চলেছে পুরো মাস সারা বছর ধরে। উপরে যে তথ্যগুলো তুলে ধরেছি-তা সবই পত্রিকার পাতায় প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু পত্রিকার পাতার আড়ালে এমন ঘটনা যে ঘটছে না- সেই নিশ্চয়তা কে দেবে? নারী নির্যাতনের এই চিত্র দেখে আজ বলতে ইচ্ছে করছে নারীরা কোথায় নিরাপদ? এই প্রশ্নের জবাব রাষ্ট্রকে দিতেই হবে।

যতটুকু জানা যায় প্রাচীন যুগে ভারতীয় নারীরা ছিল শক্ত অবস্থানে। বৈদিক যুগের আদি পর্বে নারীরা জীবনের সব ক্ষেত্রেই পুরুষের সঙ্গে সমানাধিকার ভোগ করেছে। ঋক বেদের অনেক শ্লোক থেকে এমন ইঙ্গিতই পাওয়া যায়। সে সময় নারীরা পরিণত বয়সে বিবাহ করতেন এবং স্বাধীন জীবনযাপন করতেন। প্রাচীন যুগের ভারতীয় নারীরা যৌন নির্যাতন মুক্ত ছিলেন।

মধ্যযুগের ভারতীয় সমাজে নারীদের অবস্থার অবনতি ঘটে। সে সময়ে ভারতের কিছু অংশে দেবদাসীরা কখনো কখনো যৌন নির্যাতনের স্বীকার হতেন।

তবে হ্যাঁ, পাক ইসলামী আরবে আইয়ামে জাহিলিয়াতের যুগে নারীদের জীবন ছিল বর্বর ও ঘৃণ্য। সে সময়ে নারীরা ছিল পুরুষের হাতের পুতুল তাদের ভোগের পণ্য। তৎকালীন আরব সমাজে কন্যা সন্তানকে জীবন্ত হত্যা করা হতো।

আধুনিক যুগে নারীরা আবারও তাঁদের হারানো মর্যাদা ফিরে পায়। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে ভারতীয় নারীরা পাঠশালায় আসতে শুরু করে। এরফলে, আস্তে আস্তে নারীদের জীবন মান বাড়তে থাকে। বর্তমানে যা পুরুষের সমপরিমাণ। ইংরেজ শাসন আমল থেকে উনিশ শতকের শেষ পর্যন্ত নারীরা তেমন ভাবে যৌন হয়রানি বা ধর্ষণের স্বীকার হয়নি বর্তমানে যেমনটা হচ্ছে। অবশ্য ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় প্রায় দুই লাখ মা-বোন নির্যাতনের শিকার হন।

সমকালীন সময়ে এসে যৌন নির্যাতন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। আজ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছোট্ট শিশুটিও ধর্ষণের ভয়ে আতঙ্কিত। শত বছরের বৃদ্ধা যৌন নির্যাতনের জ্বালায় পিষ্ঠ। আর এর মাঝামাঝি বয়সী নারীরা সম্মান হারানোর ভয়ে কম্পিত।

আমরা বলে থাকি পিতামাতার পরের স্থানে রয়েছে শিক্ষক। কিন্তু সেই শিক্ষক যদি আরিফুল কিংবা আলামিনের মতো হয়? মূল কথা, রক্ষকই যদি ভক্ষক হয় তবে আমাদের নারীদের নিরাপত্তা কোথায়? কোন না কোন নারীর গর্ভেই পুরষের জন্ম। সেই নারীর হৃদস্পন্দনেই পুরুষের বেড়ে উঠা। কিন্তু সেই নারীই পুরুষের কামনা বাসনার কাছে অসহায় নিরাপত্তাহীন। অথচ এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে আমাদের দেশের নারী সমাজ আজ যেভাবে সামনের দিকে ধাবিত হয়েছে, সেই ধারা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এমনটা হলে এর প্রভাব যেমন দেশের মূল অর্থনীতির উপর পড়বে- একই ভাবে বীরের জাতি বাঙালি পরিণত হবে নিম্নশ্রেণীতে। তাই সমস্যা সমাধানে ধর্ষণ বা নারী হয়রানির সব অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে অপরাধীকে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। প্রয়োজনে এ সংক্রান্ত সব মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালে স্থানান্তর করে বিচারের রায় কার্যকর করতে হবে। তা না হলে আবারও নারী সমাজ চলে যাবে হাজার বছর পেছনে আইয়ামে জাহিলিয়াতের বর্বর যুগে।

[লেখক : শিক্ষার্থী, দর্শন শেষ বর্ষ, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় ]

বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০১৯ , ২৭ আষাঢ় ১৪২৫, ৭ জ্বিলকদ ১৪৪০

নারীরা কোথায় নিরাপদ?

আমান আল মাহ্‌মুদ

আজ থেকে শত বছর পূর্বে ভারতীয় উপমহাদেশে নারীদের অবস্থা ছিল চরম শোচনীয়। বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিক থেকেই এ দেশের নারীরা পরাধীনতার শিকল থেকে মুক্ত হতে শুরু করে। কালের পালা বদলে বর্তমানে নারীদের জীবনযাত্রার মান বেশ উন্নত। আজ গৃহস্থালি থেকে দেশ পরিচালনায় পুরুষের পাশাপাশি সমান অবদান নারীদের। কিন্তু এখনও পুরুষের লোলুপ দৃষ্টিতে অসহায় নারী সমাজ। শিশু থেকে বৃদ্ধা, ঘর থেকে কর্মস্থল কোথাও নিরাপদ নয় নারী। ইভটিজিং, যৌন হয়রানি, ধর্ষণ কিংবা ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় নারী সমাজের নিরাপত্তার বিষয়টি যেন আটকে আছে শুধু সভা-সেমিনারেই।

গেল দুই যুগে যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কয়েক হাজার নারী। এই তালিকায় রয়েছে শিশু, কিশোরী, তরুণী, যুবতী, মধ্যে বয়সী এমন কি শত বছরের বৃদ্ধা। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস কোথায় নিরাপদ নারী? বর্তমানে ধর্ষণ আমাদের দেশে খুবই সাধারণ ঘটনায় রূপ নিয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষিত হয়েছেন বেশ কিছু নারী, যার অধিকাংশই স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী।

ধর্ষণ কতটা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে-এ বিষয়ে নূন্যতম একটি ধারণা দেয়ার জন্য পাঠকদের উদ্দেশ্যে গত এক সপ্তাহের তথ্য তুলে ধরা হলো।

গত ২৫ জুন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের স্কুলশিক্ষক আরিফুল ইসলাম এক ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেন। এরপর ২৭ জুন মেয়েটির পরিবার ও এলাকার লোকজন আরিফুলকে পিটুনি দিয়ে র‌্যাবের হাতে তুলে দেন। সে সময় জিজ্ঞাসাবাদে আরিফুল র‌্যাবকে জানায়, তিনি ছাত্রীদের বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে গত ৫ বছরে ২০ ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছেন।

২৭ জুন বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় চতুর্থ শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে (১২) ধর্ষণের অভিযোগে আলী মাতুব্বর (৫২) নামের এক মুদি দোকানদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গত ৩ জুলাই বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণীর এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ নিজ ঘরে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠে। ঐ শিশুটির নাম হীরা আক্তার (১২)। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন যুবককে আটক করে। একইদিনে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় গণধর্ষণের স্বীকার হয় জুতা তৈরির কারখানার এক নারী শ্রমিক (১৯)। এছাড়া ওই দিন শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় চার পরিবহণ শ্রমিকের বিরুদ্ধে একাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে (১৬) কয়েক দফা ধর্ষণের অভিযোগ উঠে। অভিযুক্ত একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

৪ জুলাই আবারো নারায়ণগজ্ঞের বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আল আমিন (৪৫) বারো জন ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে গ্রেফতার হয়েছে। এবং তিনি নিজেই মিডিয়ার সামনে তার দোষ স্বীকার করে নিজের মৃত্যুদন্ড দাবি করেন।

এ শুধু এক সপ্তাহের চিত্র। এমন ধর্ষণ ঘটে চলেছে পুরো মাস সারা বছর ধরে। উপরে যে তথ্যগুলো তুলে ধরেছি-তা সবই পত্রিকার পাতায় প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু পত্রিকার পাতার আড়ালে এমন ঘটনা যে ঘটছে না- সেই নিশ্চয়তা কে দেবে? নারী নির্যাতনের এই চিত্র দেখে আজ বলতে ইচ্ছে করছে নারীরা কোথায় নিরাপদ? এই প্রশ্নের জবাব রাষ্ট্রকে দিতেই হবে।

যতটুকু জানা যায় প্রাচীন যুগে ভারতীয় নারীরা ছিল শক্ত অবস্থানে। বৈদিক যুগের আদি পর্বে নারীরা জীবনের সব ক্ষেত্রেই পুরুষের সঙ্গে সমানাধিকার ভোগ করেছে। ঋক বেদের অনেক শ্লোক থেকে এমন ইঙ্গিতই পাওয়া যায়। সে সময় নারীরা পরিণত বয়সে বিবাহ করতেন এবং স্বাধীন জীবনযাপন করতেন। প্রাচীন যুগের ভারতীয় নারীরা যৌন নির্যাতন মুক্ত ছিলেন।

মধ্যযুগের ভারতীয় সমাজে নারীদের অবস্থার অবনতি ঘটে। সে সময়ে ভারতের কিছু অংশে দেবদাসীরা কখনো কখনো যৌন নির্যাতনের স্বীকার হতেন।

তবে হ্যাঁ, পাক ইসলামী আরবে আইয়ামে জাহিলিয়াতের যুগে নারীদের জীবন ছিল বর্বর ও ঘৃণ্য। সে সময়ে নারীরা ছিল পুরুষের হাতের পুতুল তাদের ভোগের পণ্য। তৎকালীন আরব সমাজে কন্যা সন্তানকে জীবন্ত হত্যা করা হতো।

আধুনিক যুগে নারীরা আবারও তাঁদের হারানো মর্যাদা ফিরে পায়। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে ভারতীয় নারীরা পাঠশালায় আসতে শুরু করে। এরফলে, আস্তে আস্তে নারীদের জীবন মান বাড়তে থাকে। বর্তমানে যা পুরুষের সমপরিমাণ। ইংরেজ শাসন আমল থেকে উনিশ শতকের শেষ পর্যন্ত নারীরা তেমন ভাবে যৌন হয়রানি বা ধর্ষণের স্বীকার হয়নি বর্তমানে যেমনটা হচ্ছে। অবশ্য ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় প্রায় দুই লাখ মা-বোন নির্যাতনের শিকার হন।

সমকালীন সময়ে এসে যৌন নির্যাতন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। আজ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছোট্ট শিশুটিও ধর্ষণের ভয়ে আতঙ্কিত। শত বছরের বৃদ্ধা যৌন নির্যাতনের জ্বালায় পিষ্ঠ। আর এর মাঝামাঝি বয়সী নারীরা সম্মান হারানোর ভয়ে কম্পিত।

আমরা বলে থাকি পিতামাতার পরের স্থানে রয়েছে শিক্ষক। কিন্তু সেই শিক্ষক যদি আরিফুল কিংবা আলামিনের মতো হয়? মূল কথা, রক্ষকই যদি ভক্ষক হয় তবে আমাদের নারীদের নিরাপত্তা কোথায়? কোন না কোন নারীর গর্ভেই পুরষের জন্ম। সেই নারীর হৃদস্পন্দনেই পুরুষের বেড়ে উঠা। কিন্তু সেই নারীই পুরুষের কামনা বাসনার কাছে অসহায় নিরাপত্তাহীন। অথচ এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে আমাদের দেশের নারী সমাজ আজ যেভাবে সামনের দিকে ধাবিত হয়েছে, সেই ধারা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এমনটা হলে এর প্রভাব যেমন দেশের মূল অর্থনীতির উপর পড়বে- একই ভাবে বীরের জাতি বাঙালি পরিণত হবে নিম্নশ্রেণীতে। তাই সমস্যা সমাধানে ধর্ষণ বা নারী হয়রানির সব অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে অপরাধীকে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। প্রয়োজনে এ সংক্রান্ত সব মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালে স্থানান্তর করে বিচারের রায় কার্যকর করতে হবে। তা না হলে আবারও নারী সমাজ চলে যাবে হাজার বছর পেছনে আইয়ামে জাহিলিয়াতের বর্বর যুগে।

[লেখক : শিক্ষার্থী, দর্শন শেষ বর্ষ, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় ]