শেয়ারবাজার টানা দরপতনে ডিএসইর সামনে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

শেয়ারবাজারে টানা দরপতনের কারণে বিক্ষোভ করেছেন পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সামনে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এ বিক্ষোভ করেন। বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত এ বিক্ষোভ থেকে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি জানান।

বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ সভাপতি মিজান উর রশিদ চৌধুরী বলেন, বিএসইসির এ চেয়ারম্যানকে দায়িত্বে রেখে শেয়ারবাজার ভালো করা যাবে না। আমরা বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ চায়। দরপতনের প্রতিবাদে আমরা রোজার ঈদের আগেও মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও প্রতীকী গণঅশন করেছি। এছাড়া শেয়ারবাজারের জন্য বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরেছি। কিন্তু পতন ঠেকাতে কেউ কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আমরা যে দাবিগুলো জানিয়েছি, তা বাস্তবায়ন করতে হবে। না হলে লাগাতার কঠোর আন্দোলন করতে বাধ্য হব।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২২২ পয়েন্টে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৫৭ পয়েন্টে নেমে গেছে। আর শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৯৪ পয়েন্টে। সব সূচকের পতনের পাশাপাশি বাজারে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ১০৮ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার বিপরীতে কমেছে ২১৯টি। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির। এদিকে মূল্য সূচকের পতন এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। ১১ কার্যদিবস পর বাজারে আবারও লেনদেনের পরিমাণ ৩০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে। দিনভর বাজারে ৩৫১ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪০৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ লেনদেন কমেছে ৫৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের। কোম্পানিটির ১৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফেডারেল ইনস্যুরেন্সের ১০ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে গ্রামীণফোন। এছাড়া বাজারে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে রূপালী ইন্স্যুরেন্স, মুন্নু সিরামিক, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, এশিয়ার টাইগার সন্ধানী লাইফ গ্রোথ ফান্ড, রানার অটোমোবাইল, সিঙ্গার বাংলাদেশ ও ন্যাশনাল টিউবস। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৯৭২ পয়েন্টে। বাজারে হাতবদল হওয়া ২৬৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৬টির, কমেছে ১৭৩টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির। লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ২২ লাখ টাকা।

শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০১৯ , ২৮ আষাঢ় ১৪২৫, ৮ জিলকদ ১৪৪০

শেয়ারবাজার টানা দরপতনে ডিএসইর সামনে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

image

বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে গতকাল ডিএসই’র সামনে বিক্ষোভ করে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা

শেয়ারবাজারে টানা দরপতনের কারণে বিক্ষোভ করেছেন পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সামনে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এ বিক্ষোভ করেন। বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত এ বিক্ষোভ থেকে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি জানান।

বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ সভাপতি মিজান উর রশিদ চৌধুরী বলেন, বিএসইসির এ চেয়ারম্যানকে দায়িত্বে রেখে শেয়ারবাজার ভালো করা যাবে না। আমরা বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ চায়। দরপতনের প্রতিবাদে আমরা রোজার ঈদের আগেও মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও প্রতীকী গণঅশন করেছি। এছাড়া শেয়ারবাজারের জন্য বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরেছি। কিন্তু পতন ঠেকাতে কেউ কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আমরা যে দাবিগুলো জানিয়েছি, তা বাস্তবায়ন করতে হবে। না হলে লাগাতার কঠোর আন্দোলন করতে বাধ্য হব।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২২২ পয়েন্টে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৫৭ পয়েন্টে নেমে গেছে। আর শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৯৪ পয়েন্টে। সব সূচকের পতনের পাশাপাশি বাজারে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ১০৮ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার বিপরীতে কমেছে ২১৯টি। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির। এদিকে মূল্য সূচকের পতন এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। ১১ কার্যদিবস পর বাজারে আবারও লেনদেনের পরিমাণ ৩০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে। দিনভর বাজারে ৩৫১ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪০৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ লেনদেন কমেছে ৫৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের। কোম্পানিটির ১৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফেডারেল ইনস্যুরেন্সের ১০ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে গ্রামীণফোন। এছাড়া বাজারে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে রূপালী ইন্স্যুরেন্স, মুন্নু সিরামিক, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, এশিয়ার টাইগার সন্ধানী লাইফ গ্রোথ ফান্ড, রানার অটোমোবাইল, সিঙ্গার বাংলাদেশ ও ন্যাশনাল টিউবস। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৯৭২ পয়েন্টে। বাজারে হাতবদল হওয়া ২৬৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৬টির, কমেছে ১৭৩টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির। লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ২২ লাখ টাকা।