কাজী সাইফের ‘বার ভোল্টের বারেক’

সম্প্রতি শুটিং শেষ হলো ‘বার ভোল্টের বারেক’ নামে একটি নাটকের কাজ। বিদ্যুৎ রায় এর রচনায় নাটকটি নির্মাণ করেছেন কাজী সাইফ আহমেদ। নাটকের নাম ভূমিকায় অর্থাৎ বারেক চরিত্রে অভিনয় করেছেন মীর সাব্বির। নাটকে আরও অভিনয় করেছেন, ইরা শিকদার, শম্পা, অবিদ রেহান, মনিরসহ আরও অনেকে।

কোরবানি ঈদে দেশের স্বনামধন্য একটি টিভি চ্যানেলে প্রচার হবে বলে নির্মাতা সূত্রে জানা যায়। আজ থেকে প্রায় ২০-২৫ বছর আগের একটি গ্রাম যেখানে তখনো বিদ্যুতের আলো এসে পৌঁছায়নি। এই গ্রামের চৌধুরি পরিবারের মেয়ে সুমীদের ঘরে শুক্রবারের বাংলা ছায়াছবি দেখার জন্য গ্রামের তরুণ-তরুণীরা ভিড় জমায়। যে কারণে সুমী গর্ববোধ করে। এদিকে এলাকায় একমাত্র ব্যাটারি চার্জ দেয়ার দোকান আছে বারেকের। ফলে সুমীকে ব্যাটারি চার্জ দিতে বারেকের দোকানে যেতে হয়। কিন্তু ব্যাটারির প্লেট নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চার্জ বেশিদিন থাকে না। সেটা সুমী মানতে নারাজ। তার ধারণা বারেকের দেয়া প্রেমের প্রস্তাবে সে রাজি হয়নি বলে ইচ্ছা করে বারেক তার সঙ্গে এমনটা করছে। অপরদিকে সুমী বারেকের প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে বারেক খুব ভেঙে পড়ে। সুমীর বান্ধবী লতা এসে বারেকের পাশে দাঁড়ায়। লতার পরামর্শে সুমীকে পাওয়ার প্ল্যান হিসেবে বারেক লতার সঙ্গে প্রেমের অভিনয় শুরু করে। আর নিজে টিভি কিনে গ্রামের সবাই তার ঘরেই এখন থেকে টিভি দেখবে বলে সুমীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় লতা। ফলে দুই বান্ধবীর সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। এই সম্পর্কে এসে আগুন ঢালে আব্বাস। বারেকের সবচেয়ে কাছের বন্ধু এবং তার দোকানের কর্মচারী আব্বাস। মনে মনে সে সুমীকে পছন্দ করে বলে, তার মন পাবার জন্য বারেকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে শুরু করে। ঘটনা মোড় নেয় অন্যদিকে- নির্মাতা কাজী সাইফ আহমেদ বলেন, ‘গতানুগতিক ঘরনার বাইরে এসে একটা ভিন্ন স্বাদের গল্পের দ্বায়বদ্ধতা থেকেই এ প্লটটি বেছে নেয়া। দর্শক নাটকটি দেখতে দেখতে নব্বই দশকের শেষ সময়ের গ্রামীন সেই পরিবেশে নিজেকে আবিষ্কার করবে।’ তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর ব্যতিক্রমী একটা গল্পে কাজ করতে পেরে ভাল লাগছে। আমরা যারা অভিনয় করি তারা মূলত ভিন্ন স্বাদের চরিত্র খুঁজে বেড়াই। সেই দিক থেকে বারেক চরিত্রটি খুবই ব্যতিক্রমী এবং অসাধারণ।’

শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০১৯ , ২৮ আষাঢ় ১৪২৫, ৮ জিলকদ ১৪৪০

কাজী সাইফের ‘বার ভোল্টের বারেক’

বিনোদন প্রতিবেদক

image

সম্প্রতি শুটিং শেষ হলো ‘বার ভোল্টের বারেক’ নামে একটি নাটকের কাজ। বিদ্যুৎ রায় এর রচনায় নাটকটি নির্মাণ করেছেন কাজী সাইফ আহমেদ। নাটকের নাম ভূমিকায় অর্থাৎ বারেক চরিত্রে অভিনয় করেছেন মীর সাব্বির। নাটকে আরও অভিনয় করেছেন, ইরা শিকদার, শম্পা, অবিদ রেহান, মনিরসহ আরও অনেকে।

কোরবানি ঈদে দেশের স্বনামধন্য একটি টিভি চ্যানেলে প্রচার হবে বলে নির্মাতা সূত্রে জানা যায়। আজ থেকে প্রায় ২০-২৫ বছর আগের একটি গ্রাম যেখানে তখনো বিদ্যুতের আলো এসে পৌঁছায়নি। এই গ্রামের চৌধুরি পরিবারের মেয়ে সুমীদের ঘরে শুক্রবারের বাংলা ছায়াছবি দেখার জন্য গ্রামের তরুণ-তরুণীরা ভিড় জমায়। যে কারণে সুমী গর্ববোধ করে। এদিকে এলাকায় একমাত্র ব্যাটারি চার্জ দেয়ার দোকান আছে বারেকের। ফলে সুমীকে ব্যাটারি চার্জ দিতে বারেকের দোকানে যেতে হয়। কিন্তু ব্যাটারির প্লেট নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চার্জ বেশিদিন থাকে না। সেটা সুমী মানতে নারাজ। তার ধারণা বারেকের দেয়া প্রেমের প্রস্তাবে সে রাজি হয়নি বলে ইচ্ছা করে বারেক তার সঙ্গে এমনটা করছে। অপরদিকে সুমী বারেকের প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে বারেক খুব ভেঙে পড়ে। সুমীর বান্ধবী লতা এসে বারেকের পাশে দাঁড়ায়। লতার পরামর্শে সুমীকে পাওয়ার প্ল্যান হিসেবে বারেক লতার সঙ্গে প্রেমের অভিনয় শুরু করে। আর নিজে টিভি কিনে গ্রামের সবাই তার ঘরেই এখন থেকে টিভি দেখবে বলে সুমীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় লতা। ফলে দুই বান্ধবীর সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। এই সম্পর্কে এসে আগুন ঢালে আব্বাস। বারেকের সবচেয়ে কাছের বন্ধু এবং তার দোকানের কর্মচারী আব্বাস। মনে মনে সে সুমীকে পছন্দ করে বলে, তার মন পাবার জন্য বারেকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে শুরু করে। ঘটনা মোড় নেয় অন্যদিকে- নির্মাতা কাজী সাইফ আহমেদ বলেন, ‘গতানুগতিক ঘরনার বাইরে এসে একটা ভিন্ন স্বাদের গল্পের দ্বায়বদ্ধতা থেকেই এ প্লটটি বেছে নেয়া। দর্শক নাটকটি দেখতে দেখতে নব্বই দশকের শেষ সময়ের গ্রামীন সেই পরিবেশে নিজেকে আবিষ্কার করবে।’ তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর ব্যতিক্রমী একটা গল্পে কাজ করতে পেরে ভাল লাগছে। আমরা যারা অভিনয় করি তারা মূলত ভিন্ন স্বাদের চরিত্র খুঁজে বেড়াই। সেই দিক থেকে বারেক চরিত্রটি খুবই ব্যতিক্রমী এবং অসাধারণ।’