জেলা প্রশাসক সম্মেলন এবার ৫ দিনব্যাপী রোববার শুরু

দু’দিন বাড়িয়ে এবার পাঁচ দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের আয়োজন করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এটি শুরু হবে ১৪ জুলাই। সম্মেলনটি শেষ হবে ১৮ জুলাই। বরাবরের মতো এ বছরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে ওইদিন সকাল ৯টায় ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে।

সচিবালয়ে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০১৯’ আয়োজনের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। এর আগে সাধারণত তিন দিনব্যাপী ডিসি সম্মেলন হতো। সরকারের নীতিনির্ধারক ও ডিসিদের মধ্যে সরাসরি মতবিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেয়ার জন্য প্রতি বছর এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, এবার ডিসি সম্মেলনে প্রথমবারের মতো প্রধান বিচারপতি, তিন বাহিনী প্রধান, জাতীয় সংসদের স্পিকারের সঙ্গে ডিসিদের বৈঠক হবে। এবার সম্মেলনে মোট ২৯টি অধিবেশন হবে। এর মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে কার্যঅধিবেশন ২৪টি। এছাড়া একটি উদ্বোধন অনুষ্ঠান, একটি মুক্ত আলোচনা, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, স্পিকারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও সমাপনী অনুষ্ঠান হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, এবারের ডিসি সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ছাড়া মোট ৫৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ অংশগ্রহণ করবে। কার্যঅধিবেশনগুলোয় মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব ও সচিবরা উপস্থিত থাকবেন। অধিবেশনগুলো হবে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে। কার্যঅধিবেশনগুলোয় সভাপতিত্ব করবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

এবার জেলা প্রশাসন সম্মেলন উপলক্ষে ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে ৩৩৩টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এর বাইরেও জেলা প্রশাসকদের তাৎক্ষণিক যদি কোন প্রস্তাব থাকে, তাহলে সেটিও অধিবেশনে উপস্থাপন হতে পারে। এ বছর সবচেয়ে বেশিসংখ্যক প্রস্তাব পাওয়া গেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ সংক্রান্ত। এ বিভাগ সংক্রান্ত প্রস্তাব ২৯টি। এরপর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত ২৬টি ও ভূমি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত ২০টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে।

শফিউল আলম ডিসি সম্মেলনের প্রধান আলোচ্য বিষয়গুলো তুলে ধরে বলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম, স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসৃজন, দারিদ্র্য বিমোচন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কার্যক্রম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার, শিক্ষার মানোন্নয়ন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ রোধ, ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন এবং উন্নয়ন কার্যক্রমের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও সমন্বয়। এ বিষয়গুলো মূলত আলোচনায় স্থান পাবে। তিনি জানান, ১৬ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত প্রধান বিচারপতির কার্যভার পালনরত বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে দিকনির্দেশনা গ্রহণ করবেন ডিসিরা। এরপর ১৮ জুলাই বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ডেপুটি স্পিকারের (স্পিকার না থাকায়) সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ডিসিরা দিকনির্দেশনা গ্রহণ করবেন। ১৭ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সকাল পৌনে ৯টা থেকে পৌনে ১০টা পর্যন্ত তিন বাহিনী প্রধানের সঙ্গে ডিসিরা বৈঠক করবেন। ডিসি সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হারের বিষয়ে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে বাস্তবায়ন হার ছিল প্রায় ৯৩ শতাংশ।

শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০১৯ , ২৮ আষাঢ় ১৪২৫, ৮ জিলকদ ১৪৪০

জেলা প্রশাসক সম্মেলন এবার ৫ দিনব্যাপী রোববার শুরু

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

দু’দিন বাড়িয়ে এবার পাঁচ দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের আয়োজন করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এটি শুরু হবে ১৪ জুলাই। সম্মেলনটি শেষ হবে ১৮ জুলাই। বরাবরের মতো এ বছরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে ওইদিন সকাল ৯টায় ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে।

সচিবালয়ে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০১৯’ আয়োজনের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। এর আগে সাধারণত তিন দিনব্যাপী ডিসি সম্মেলন হতো। সরকারের নীতিনির্ধারক ও ডিসিদের মধ্যে সরাসরি মতবিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেয়ার জন্য প্রতি বছর এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, এবার ডিসি সম্মেলনে প্রথমবারের মতো প্রধান বিচারপতি, তিন বাহিনী প্রধান, জাতীয় সংসদের স্পিকারের সঙ্গে ডিসিদের বৈঠক হবে। এবার সম্মেলনে মোট ২৯টি অধিবেশন হবে। এর মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে কার্যঅধিবেশন ২৪টি। এছাড়া একটি উদ্বোধন অনুষ্ঠান, একটি মুক্ত আলোচনা, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, স্পিকারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও সমাপনী অনুষ্ঠান হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, এবারের ডিসি সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ছাড়া মোট ৫৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ অংশগ্রহণ করবে। কার্যঅধিবেশনগুলোয় মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব ও সচিবরা উপস্থিত থাকবেন। অধিবেশনগুলো হবে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে। কার্যঅধিবেশনগুলোয় সভাপতিত্ব করবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

এবার জেলা প্রশাসন সম্মেলন উপলক্ষে ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে ৩৩৩টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এর বাইরেও জেলা প্রশাসকদের তাৎক্ষণিক যদি কোন প্রস্তাব থাকে, তাহলে সেটিও অধিবেশনে উপস্থাপন হতে পারে। এ বছর সবচেয়ে বেশিসংখ্যক প্রস্তাব পাওয়া গেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ সংক্রান্ত। এ বিভাগ সংক্রান্ত প্রস্তাব ২৯টি। এরপর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত ২৬টি ও ভূমি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত ২০টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে।

শফিউল আলম ডিসি সম্মেলনের প্রধান আলোচ্য বিষয়গুলো তুলে ধরে বলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম, স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসৃজন, দারিদ্র্য বিমোচন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কার্যক্রম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার, শিক্ষার মানোন্নয়ন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ রোধ, ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন এবং উন্নয়ন কার্যক্রমের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও সমন্বয়। এ বিষয়গুলো মূলত আলোচনায় স্থান পাবে। তিনি জানান, ১৬ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত প্রধান বিচারপতির কার্যভার পালনরত বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে দিকনির্দেশনা গ্রহণ করবেন ডিসিরা। এরপর ১৮ জুলাই বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ডেপুটি স্পিকারের (স্পিকার না থাকায়) সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ডিসিরা দিকনির্দেশনা গ্রহণ করবেন। ১৭ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সকাল পৌনে ৯টা থেকে পৌনে ১০টা পর্যন্ত তিন বাহিনী প্রধানের সঙ্গে ডিসিরা বৈঠক করবেন। ডিসি সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হারের বিষয়ে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে বাস্তবায়ন হার ছিল প্রায় ৯৩ শতাংশ।