“যুক্তরাজ্যকে ট্যাংকার জব্দের ‘পরিণতি’ ভোগ করতে হবে”

জিব্রাল্টার প্রণালীতে ইরানি তেল ট্যাংকার জব্দের জন্য যুক্তরাজ্যকে পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। গত সপ্তাহে ব্রিটিশ রাজকীয় নৌবাহিনীর মেরিন ইউনিটের সদস্যদের সহায়তায় জিব্রাল্টারের কর্মকর্তারা একটি সুপার-ট্যাংকার গ্রেস ১ জব্দ করে। যুক্তরাজ্যকে অবিলম্বে ট্যাংকারটি ছেড়ে দেয়ার দাবিও জানিয়েছে ইরান।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে ওই ট্যাংকারটিতে ইরান থেকে সিরিয়ায় অপরিশোধিত তেল নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইরান ওই ট্যাংকার জব্দের ঘটনায় তেহরানে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এবং ট্যাংকারটি অবৈধভাবে আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগও করে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার ইরানি মন্ত্রিসভার এক বৈঠক শেষে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, ‘আপনারাই (ব্রিটেন) অনিরাপদ পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটিয়েছেন এবং পরে আপনারা এর পরিণতি বুঝতে পারবেন।’ ‘এখন আপনারা এতটাই নিরাশ যে নিজেদের কোন তেলের ট্যাংকার এ অঞ্চল দিয়ে যেতে চাইলে আপনাদের সেটি পাহারা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যুদ্ধজাহাজ আনতে হয়। কারণ, আপনারা ভয় পাচ্ছেন। তাহলে কেন আপনারা ট্যাংকার জব্দ করার মতো কাজ করছেন? আপনাদের বরং নৌপথে চলাচল নির্বিঘœ করা উচিত।’

২০১৫ সালের যুক্তরাষ্ট্রসহ ছয় বিশ্বশক্তির (যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন ও জার্মানি) সঙ্গে পরমাণু চুক্তি সই করে ইরান। গত বছর এ চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। পরমাণু চুক্তির শর্তানুযায়ী ইরান তাদের ইউরেনিয়াম মজুদ হ্রাস করে নির্দিষ্ট মাত্রার নিচে রাখার প্রতিশ্রুতি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ওই প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধি বাড়িয়েছে তেহরান। এ বিষয়ে রুহানি বলেন, ‘পাওয়ার প্ল্যান্টের জ্বালানি এবং অন্য শান্তিপূর্ণ প্রকল্পে’ ব্যবহারের জন্য ইউরেনিয়ামের মজুদ বাড়ানো হয়েছে। ‘এটি পরমাণু চুক্তির লঙ্ঘন নয়। বরং চুক্তির কাঠামোর মধ্যে থেকেই আমরা এটা করছি।’ এদিকে ইরানকে চুক্তি লঙ্ঘন না করার আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০১৯ , ২৮ আষাঢ় ১৪২৫, ৮ জিলকদ ১৪৪০

“যুক্তরাজ্যকে ট্যাংকার জব্দের ‘পরিণতি’ ভোগ করতে হবে”

সংবাদ ডেস্ক |

image

জিব্রাল্টার প্রণালীতে ইরানি তেল ট্যাংকার জব্দের জন্য যুক্তরাজ্যকে পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। গত সপ্তাহে ব্রিটিশ রাজকীয় নৌবাহিনীর মেরিন ইউনিটের সদস্যদের সহায়তায় জিব্রাল্টারের কর্মকর্তারা একটি সুপার-ট্যাংকার গ্রেস ১ জব্দ করে। যুক্তরাজ্যকে অবিলম্বে ট্যাংকারটি ছেড়ে দেয়ার দাবিও জানিয়েছে ইরান।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে ওই ট্যাংকারটিতে ইরান থেকে সিরিয়ায় অপরিশোধিত তেল নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইরান ওই ট্যাংকার জব্দের ঘটনায় তেহরানে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এবং ট্যাংকারটি অবৈধভাবে আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগও করে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার ইরানি মন্ত্রিসভার এক বৈঠক শেষে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, ‘আপনারাই (ব্রিটেন) অনিরাপদ পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটিয়েছেন এবং পরে আপনারা এর পরিণতি বুঝতে পারবেন।’ ‘এখন আপনারা এতটাই নিরাশ যে নিজেদের কোন তেলের ট্যাংকার এ অঞ্চল দিয়ে যেতে চাইলে আপনাদের সেটি পাহারা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যুদ্ধজাহাজ আনতে হয়। কারণ, আপনারা ভয় পাচ্ছেন। তাহলে কেন আপনারা ট্যাংকার জব্দ করার মতো কাজ করছেন? আপনাদের বরং নৌপথে চলাচল নির্বিঘœ করা উচিত।’

২০১৫ সালের যুক্তরাষ্ট্রসহ ছয় বিশ্বশক্তির (যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন ও জার্মানি) সঙ্গে পরমাণু চুক্তি সই করে ইরান। গত বছর এ চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। পরমাণু চুক্তির শর্তানুযায়ী ইরান তাদের ইউরেনিয়াম মজুদ হ্রাস করে নির্দিষ্ট মাত্রার নিচে রাখার প্রতিশ্রুতি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ওই প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধি বাড়িয়েছে তেহরান। এ বিষয়ে রুহানি বলেন, ‘পাওয়ার প্ল্যান্টের জ্বালানি এবং অন্য শান্তিপূর্ণ প্রকল্পে’ ব্যবহারের জন্য ইউরেনিয়ামের মজুদ বাড়ানো হয়েছে। ‘এটি পরমাণু চুক্তির লঙ্ঘন নয়। বরং চুক্তির কাঠামোর মধ্যে থেকেই আমরা এটা করছি।’ এদিকে ইরানকে চুক্তি লঙ্ঘন না করার আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।