গ্রিসে ঝড়ে ৬ বিদেশির মৃত্যু : আহত শতাধিক

গ্রিসে তীব্র ঝড়ে ছয় বিদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও শতাধিক মানুষ। গত বুধবার স্থানীয় সময় রাতে গ্রিসের উত্তরাঞ্চলে প্রবল বাতাস, বৃষ্টি ও শিলাঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে ও ছাদ ধসে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে কর্তৃপক্ষের বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, গ্রিসের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হালকিদিকি উপদ্বীপের একটি রেস্তোরাঁর ভেতরে দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রবল বাতাস সবকিছু উড়িয়ে নিচ্ছে। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আসা ছবিতে ওই এলাকার শহরগুলোর রাস্তায় উপড়ে পড়া পাইন গাছ ও মোটরসাইকেল পড়ে থাকতে দেখা গেছে। অনেক আহতকে চিকিৎসার জন্য যেখানে নিয়ে যাওয়া হয় সেই নেয়া মুদানিয়া মেডিকেল সেন্টারের পরিচালক আথানসিওস কালজাস গ্রিক টেলিভিশনকে বলেন, আমার ২৫ বছরের ক্যারিয়ারে এ প্রথম এ ধরনের কোন কিছুর অভিজ্ঞতা হলো। হঠাৎ আকস্মিকভাবেই এমন ঝড় হলো। তাদের ক্লিনিকে নিয়ে আসা আঘাতপ্রাপ্তদের বয়স আট মাস থেকে ৭০ বছরের ঊর্ধ্বে বলে জানিয়েছেন তিনি। এদের অনেকে ঝড়ে ভেঙে পড়া গাছ ও অন্যান্য জিনিসে মাথায় আঘাত পেয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, ঝড়ে ও পানির তোড়ে একটি ট্রাভেল ট্রেইলার ভেসে গিয়ে দুই চেক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। ওই অঞ্চলের নেয়া প্লাগিয়া শহরে একটি রেস্তোরাঁর ছাদ ধসে রোমানিয়ার নাগরিক এক নারী ও আট বছরের একটি শিশু নিহত হয়। সাগরতীরবর্তী শহর পোতিদেয়ায় নিজেদের হোটেলের কাছে উপড়ে পড়া গাছের নিচে পড়ে রাশিয়ার এক ব্যক্তি ও একটি বালক নিহত হয়, জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গ্রীষ্মে গ্রিসে এ ধরনের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া অস্বাভাবিক। এখানে গ্রীষ্মকাল সাধারণত উষ্ণ ও শুষ্ক। এই এলাকায় স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। বছরের এ সময়ে এ ধরনের পরিস্থিতিকে ‘অত্যন্ত অস্বাভাবিক’ বলে বর্ণনা করেছেন আবহাওয়াবিদ ক্লেরসোস মারুসাকিস।

শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০১৯ , ২৮ আষাঢ় ১৪২৫, ৮ জিলকদ ১৪৪০

গ্রিসে ঝড়ে ৬ বিদেশির মৃত্যু : আহত শতাধিক

সংবাদ ডেস্ক |

গ্রিসে তীব্র ঝড়ে ছয় বিদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও শতাধিক মানুষ। গত বুধবার স্থানীয় সময় রাতে গ্রিসের উত্তরাঞ্চলে প্রবল বাতাস, বৃষ্টি ও শিলাঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে ও ছাদ ধসে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে কর্তৃপক্ষের বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, গ্রিসের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হালকিদিকি উপদ্বীপের একটি রেস্তোরাঁর ভেতরে দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রবল বাতাস সবকিছু উড়িয়ে নিচ্ছে। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আসা ছবিতে ওই এলাকার শহরগুলোর রাস্তায় উপড়ে পড়া পাইন গাছ ও মোটরসাইকেল পড়ে থাকতে দেখা গেছে। অনেক আহতকে চিকিৎসার জন্য যেখানে নিয়ে যাওয়া হয় সেই নেয়া মুদানিয়া মেডিকেল সেন্টারের পরিচালক আথানসিওস কালজাস গ্রিক টেলিভিশনকে বলেন, আমার ২৫ বছরের ক্যারিয়ারে এ প্রথম এ ধরনের কোন কিছুর অভিজ্ঞতা হলো। হঠাৎ আকস্মিকভাবেই এমন ঝড় হলো। তাদের ক্লিনিকে নিয়ে আসা আঘাতপ্রাপ্তদের বয়স আট মাস থেকে ৭০ বছরের ঊর্ধ্বে বলে জানিয়েছেন তিনি। এদের অনেকে ঝড়ে ভেঙে পড়া গাছ ও অন্যান্য জিনিসে মাথায় আঘাত পেয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, ঝড়ে ও পানির তোড়ে একটি ট্রাভেল ট্রেইলার ভেসে গিয়ে দুই চেক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। ওই অঞ্চলের নেয়া প্লাগিয়া শহরে একটি রেস্তোরাঁর ছাদ ধসে রোমানিয়ার নাগরিক এক নারী ও আট বছরের একটি শিশু নিহত হয়। সাগরতীরবর্তী শহর পোতিদেয়ায় নিজেদের হোটেলের কাছে উপড়ে পড়া গাছের নিচে পড়ে রাশিয়ার এক ব্যক্তি ও একটি বালক নিহত হয়, জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গ্রীষ্মে গ্রিসে এ ধরনের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া অস্বাভাবিক। এখানে গ্রীষ্মকাল সাধারণত উষ্ণ ও শুষ্ক। এই এলাকায় স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। বছরের এ সময়ে এ ধরনের পরিস্থিতিকে ‘অত্যন্ত অস্বাভাবিক’ বলে বর্ণনা করেছেন আবহাওয়াবিদ ক্লেরসোস মারুসাকিস।