আজিজ কো-অপারেটিভের চেয়ারম্যান গ্রেফতার

অর্থ আত্মসাতের মামলায় আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্সের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল ধানমন্ডি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করলে আদালত দুদিনের রিমান্ড হেফাজতে পাঠায় তাজুলকে।

সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) শারমিন জাহান জানান, প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ১৬ লাখ টাকা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বংশাল থানায় আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্সের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। প্রাথমিকভাবে অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ মেলায় গতকাল ধানমন্ডি থেকে তাজুল ইসলামকে গ্রেফতার করে সিআইডির একটি দল। তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বংশাল থানায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মিল্লাত হোসেন দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সিআইডি জানায়, সুফিয়া আক্তার নামে এক নারী ভুক্তভোগী অর্থ আত্মসাৎ ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদানের অভিযোগে বংশাল থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামিরা হলেন- আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম (৬২), ব্রাঞ্চ কন্ট্রোলার ও ব্যবস্থাপক লাকী খাতুন (৩২), শাখা ব্যবস্থাপক দ্বীন মোহাম্মদ (৪২), নবাবপুর শাখা ব্যবস্থাপক ইকবাল হোসেন (৩৫) এবং উপদেষ্টা মো. নুরুন্নবী (৬৫)।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১০ সালের ২০ অক্টোবর থেকে আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স ব্যাংক লিমিটেডের নবাবপুর শাখা অফিসে বিভিন্ন মেয়াদে সুফিয়া আক্তার ১৬ লাখ ৬৩ হাজার ৩৩৫ টাকা জমা রাখেন। সুফিয়া আক্তার একাধিকবার টাকা উত্তোলনের জন্য গেলেও টাকা পাননি। নবাবপুর শাখা ব্যবস্থাপক ইকবাল হোসেন সুফিয়া আক্তারকে টাকা নেই জানিযে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেন। পরে ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম ও ব্রাঞ্চ ব্যবস্থাপক লাকী খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আশ্বাস দিয়ে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন তারা। শাখা ব্যবস্থাপক দ্বীন মোহাম্মদ ও উপদেষ্টা নুরুন্নবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেও টাকা পাননি তিনি। উল্টো গত ৬ মার্চ মামলার আসামিরা সুফিয়া আক্তারকে প্রাণনাশের হুমকি দেন এবং টাকা ফেরত দেবে না বলে জানান।

আরও খবর
ইসলামী পর্যটনকে বিকশিত করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
আর্থিক খাতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে সহযোগিতার আশ্বাস
শপথ নিলেন বগুড়ার এমপি সিরাজ
‘বিকল্প ব্যবস্থা ছাড়া রিকশা বন্ধে প্রাইভেটকার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা’
শিবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত
৪৪ দেশে ৮৮৪৮ জন বাংলাদেশি কারাগারে
বুড়িগঙ্গা তীরে স্থাপনা উচ্ছেদকালে হামলা ম্যাজিস্ট্রেটসহ আহত ৫
তথ্য গোপন করে মামলা বাতিলের আবেদনকারীকে গ্রেফতারের নির্দেশ
শিক্ষকদের দলাদলিতে ছাত্রলীগকে না জড়ানোর নির্দেশ শিক্ষামন্ত্রীর
প্রতিবন্ধী ধর্ষণ ঘটনায় মামলা, ধর্ষক ও এক সালিশকারী গ্রেফতার
৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ
ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার
নির্ধারিত তারিখের একদিন আগেই সিন্ডিকেট সভা করলেন উপাচার্য

শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০১৯ , ২৮ আষাঢ় ১৪২৫, ৮ জিলকদ ১৪৪০

অর্থ আত্মসাৎ

আজিজ কো-অপারেটিভের চেয়ারম্যান গ্রেফতার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

অর্থ আত্মসাতের মামলায় আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্সের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল ধানমন্ডি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করলে আদালত দুদিনের রিমান্ড হেফাজতে পাঠায় তাজুলকে।

সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) শারমিন জাহান জানান, প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ১৬ লাখ টাকা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বংশাল থানায় আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্সের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। প্রাথমিকভাবে অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ মেলায় গতকাল ধানমন্ডি থেকে তাজুল ইসলামকে গ্রেফতার করে সিআইডির একটি দল। তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বংশাল থানায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মিল্লাত হোসেন দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সিআইডি জানায়, সুফিয়া আক্তার নামে এক নারী ভুক্তভোগী অর্থ আত্মসাৎ ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদানের অভিযোগে বংশাল থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামিরা হলেন- আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম (৬২), ব্রাঞ্চ কন্ট্রোলার ও ব্যবস্থাপক লাকী খাতুন (৩২), শাখা ব্যবস্থাপক দ্বীন মোহাম্মদ (৪২), নবাবপুর শাখা ব্যবস্থাপক ইকবাল হোসেন (৩৫) এবং উপদেষ্টা মো. নুরুন্নবী (৬৫)।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১০ সালের ২০ অক্টোবর থেকে আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স ব্যাংক লিমিটেডের নবাবপুর শাখা অফিসে বিভিন্ন মেয়াদে সুফিয়া আক্তার ১৬ লাখ ৬৩ হাজার ৩৩৫ টাকা জমা রাখেন। সুফিয়া আক্তার একাধিকবার টাকা উত্তোলনের জন্য গেলেও টাকা পাননি। নবাবপুর শাখা ব্যবস্থাপক ইকবাল হোসেন সুফিয়া আক্তারকে টাকা নেই জানিযে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেন। পরে ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম ও ব্রাঞ্চ ব্যবস্থাপক লাকী খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আশ্বাস দিয়ে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন তারা। শাখা ব্যবস্থাপক দ্বীন মোহাম্মদ ও উপদেষ্টা নুরুন্নবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেও টাকা পাননি তিনি। উল্টো গত ৬ মার্চ মামলার আসামিরা সুফিয়া আক্তারকে প্রাণনাশের হুমকি দেন এবং টাকা ফেরত দেবে না বলে জানান।