শিশু দারিদ্র্য কমাতে বাংলাদেশ কার্যকরি ভূমিকা রাখছে

পৃথিবীর ১০১টি দেশের মারাত্মক বহুমাত্রিক দারিদ্র্যতার মধ্যে বসবাস করছে প্রায় ১৩০ কোটি মানুষ। এসব দেশের মধ্যে বাংলাদেশসহ ৪টি দেশ দ্রুতগতিতে শিশু দারিদ্র্যতা কমানোর জন্য কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। গত বৃহস্পতিবার বহুমাত্রিক দারিদ্র্যতা সূচকে (এমপিআই) জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এ তথ্য জানায়।

এ বছরের এমপিআই সূচকে দেখা গেছে, ১০টি দেশের ২০০ কোটি মানুষ এসডিজি-১ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে পরিসংখ্যানগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছে। এদের মধ্যে আটটি দেশের এমপিআই মান কমেছে। তবে সামগ্রিকভাবে এসব দেশের বহুমাত্রিক দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমেছে।

এমপিআই প্রতিবেদনে বিশ্বের ১০১টি দেশের মারাত্মক বহুমাত্রিক দারিদ্র্যতা বিবেচনা করা হয়। এসব দেশের মধ্যে ৩১টি নিম্ন আয়ের, ৬৮টি মধ্য আয়ের আর দুটি উচ্চ আয়ের দেশ। এসব দেশের প্রায় ১৩০ কোটি মানুষ বহুমাত্রিকভাবে দরিদ্র। এমপিআই প্রতিবেদন দারিদ্র্যতার তুলনা করে আর ১০টি সূচকের মাধ্যমে পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এসব সূচকের মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কাজের মান এবং জীবনযাপনের মান।

প্রতিবেদন অনুসারে বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া এবং ভারতে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে দারিদ্র্যতা কমছে। এসব দেশের অন্তত নয়টি সূচকে উন্নতি হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাপ্তবয়স্কদের চেয়ে শিশু দারিদ্র্যতা আরও দ্রুতগতিতে কমেছে বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, হাইতি, ভারত ও পেরুতে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দরিদ্র হিসেবে চিহ্নিত ১৩০ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় অর্ধেক, ৬৬ কোটি ৩০ লাখ মানুষের বয়স ১৮ বছরের নিচে। আর ৪২ কোটি ৮০ লাখ মানুষের বয়স ১০ বছরের নিচে। এসব শিশুদের প্রায় ৮৫ শতাংশই বাস করে দক্ষিণ এশিয়া ও সাব-সাহারা আফ্রিকা অঞ্চলে।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের এমপিআই মান একই (শূন্য দশমিক ১৯৮)। যদিও পকিস্তানে বৈষম্যের পরিমাণ বাংলাদেশের চেয়ে বেশি।

শনিবার, ১৩ জুলাই ২০১৯ , ২৯ আষাঢ় ১৪২৫, ৯ জিলকদ ১৪৪০

শিশু দারিদ্র্য কমাতে বাংলাদেশ কার্যকরি ভূমিকা রাখছে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

পৃথিবীর ১০১টি দেশের মারাত্মক বহুমাত্রিক দারিদ্র্যতার মধ্যে বসবাস করছে প্রায় ১৩০ কোটি মানুষ। এসব দেশের মধ্যে বাংলাদেশসহ ৪টি দেশ দ্রুতগতিতে শিশু দারিদ্র্যতা কমানোর জন্য কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। গত বৃহস্পতিবার বহুমাত্রিক দারিদ্র্যতা সূচকে (এমপিআই) জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এ তথ্য জানায়।

এ বছরের এমপিআই সূচকে দেখা গেছে, ১০টি দেশের ২০০ কোটি মানুষ এসডিজি-১ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে পরিসংখ্যানগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছে। এদের মধ্যে আটটি দেশের এমপিআই মান কমেছে। তবে সামগ্রিকভাবে এসব দেশের বহুমাত্রিক দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমেছে।

এমপিআই প্রতিবেদনে বিশ্বের ১০১টি দেশের মারাত্মক বহুমাত্রিক দারিদ্র্যতা বিবেচনা করা হয়। এসব দেশের মধ্যে ৩১টি নিম্ন আয়ের, ৬৮টি মধ্য আয়ের আর দুটি উচ্চ আয়ের দেশ। এসব দেশের প্রায় ১৩০ কোটি মানুষ বহুমাত্রিকভাবে দরিদ্র। এমপিআই প্রতিবেদন দারিদ্র্যতার তুলনা করে আর ১০টি সূচকের মাধ্যমে পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এসব সূচকের মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কাজের মান এবং জীবনযাপনের মান।

প্রতিবেদন অনুসারে বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া এবং ভারতে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে দারিদ্র্যতা কমছে। এসব দেশের অন্তত নয়টি সূচকে উন্নতি হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাপ্তবয়স্কদের চেয়ে শিশু দারিদ্র্যতা আরও দ্রুতগতিতে কমেছে বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, হাইতি, ভারত ও পেরুতে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দরিদ্র হিসেবে চিহ্নিত ১৩০ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় অর্ধেক, ৬৬ কোটি ৩০ লাখ মানুষের বয়স ১৮ বছরের নিচে। আর ৪২ কোটি ৮০ লাখ মানুষের বয়স ১০ বছরের নিচে। এসব শিশুদের প্রায় ৮৫ শতাংশই বাস করে দক্ষিণ এশিয়া ও সাব-সাহারা আফ্রিকা অঞ্চলে।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের এমপিআই মান একই (শূন্য দশমিক ১৯৮)। যদিও পকিস্তানে বৈষম্যের পরিমাণ বাংলাদেশের চেয়ে বেশি।