সীতাকুন্ডে ৩৮ কি.মি. খানা-খন্দে ভরা
টানা এক সপ্তাহের ভারী বর্ষণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুন্ডু অংশে ছোট-বড় হাজারো খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক যানবাহন গর্তের মধ্যে পড়ে বিকল হয়ে মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এছাড়া মহাসড়কের অর্ধশতাধিক স্থানে পিচঢালাই উঠে গেছে। অনেক স্থানে দেবে গেছে সড়ক। ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনের তুলনায় ঢাকামুখী লেনে খানা-খন্দকের সংখ্যা বেশি। তবে সওজের কর্মকর্তারা বলেন, চট্টগ্রাম নগর থেকে বারৈয়ারহাট পর্যন্ত সৃষ্ট হওয়া খানা-খন্দক বৃষ্টি কমে এলে সংস্কার শুরু হবে।
সরেজমিন দেখা যায়, মহাসড়কের সীতাকুন্ডু অংশে (৩৮ কিলোমিটার) বেশিরভাগ কংক্রিটের ঢালায় ও বিটুমিনাসের সংযোগস্থলে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ফৌজদারহাট, বানুরবাজার, ভাটিয়ারী, মাদামবিবিরহাট, শাহ আমিনুল্লাহ পেট্রোল পাম্প, কুমিরা, বাঁশবাড়িয়া, বাড়বকুন্ডু, শুকলালহাট, ফকিরহাট, ইকোপার্ক গেটসহ অন্তত অর্ধশত স্থানে খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সৃষ্ট হওয়া গর্তের পরিধি। বড় দারোগারহাট এলাকায় অবস্থিত স্কেলের ইজারাদারের কর্মীরা বলেন, সড়কে খানা-খন্দের কারণে বড় দারোগারহাট ওজন স্কেলের অনেক গাড়ি ঢুকতে চায় না। ফলে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বড় দারোগারহাট এলাকার বাসিন্দা ইউনুছ বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পৌর সদর থেকে বড় দারোগারহাট পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ওই গর্তগুলোয় গাড়ির চাকা পড়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। ভোগান্তিতে পড়ছেন দূরপাল্লার যাত্রী।
সীতাকুন্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বাসিন্দা নন্দন রায় বলেন, ছলিমপুর থেকে ভাটিয়ারী পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সড়কের দুই শতাধিক ছোট-বড় গর্ত ও খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে শত শত গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। ওই এলাকার কয়েকটি দুর্ঘটনার কারণে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
ঢাকামুখী কাভার্ড ভ্যানচালক আবুল কালাম জানান, তার কাভার্ড ভ্যানটির চাকা গর্তের মধ্যে পড়ে পাংচার হয়ে যায়। পরে হাইওয়ে পুলিশের টিম এসে গাড়িটি উদ্ধার করে।
সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার আহমেদ বলেন, মহাসড়কের কিছু অংশে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া ঠিক হলে সংস্কার কাজ শুরু হবে।
শনিবার, ১৩ জুলাই ২০১৯ , ২৯ আষাঢ় ১৪২৫, ৯ জিলকদ ১৪৪০
সীতাকুন্ডে ৩৮ কি.মি. খানা-খন্দে ভরা
প্রতিনিধি, সীতাকুন্ডু (চট্টগ্রাম)
টানা এক সপ্তাহের ভারী বর্ষণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুন্ডু অংশে ছোট-বড় হাজারো খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক যানবাহন গর্তের মধ্যে পড়ে বিকল হয়ে মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এছাড়া মহাসড়কের অর্ধশতাধিক স্থানে পিচঢালাই উঠে গেছে। অনেক স্থানে দেবে গেছে সড়ক। ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনের তুলনায় ঢাকামুখী লেনে খানা-খন্দকের সংখ্যা বেশি। তবে সওজের কর্মকর্তারা বলেন, চট্টগ্রাম নগর থেকে বারৈয়ারহাট পর্যন্ত সৃষ্ট হওয়া খানা-খন্দক বৃষ্টি কমে এলে সংস্কার শুরু হবে।
সরেজমিন দেখা যায়, মহাসড়কের সীতাকুন্ডু অংশে (৩৮ কিলোমিটার) বেশিরভাগ কংক্রিটের ঢালায় ও বিটুমিনাসের সংযোগস্থলে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ফৌজদারহাট, বানুরবাজার, ভাটিয়ারী, মাদামবিবিরহাট, শাহ আমিনুল্লাহ পেট্রোল পাম্প, কুমিরা, বাঁশবাড়িয়া, বাড়বকুন্ডু, শুকলালহাট, ফকিরহাট, ইকোপার্ক গেটসহ অন্তত অর্ধশত স্থানে খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সৃষ্ট হওয়া গর্তের পরিধি। বড় দারোগারহাট এলাকায় অবস্থিত স্কেলের ইজারাদারের কর্মীরা বলেন, সড়কে খানা-খন্দের কারণে বড় দারোগারহাট ওজন স্কেলের অনেক গাড়ি ঢুকতে চায় না। ফলে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বড় দারোগারহাট এলাকার বাসিন্দা ইউনুছ বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পৌর সদর থেকে বড় দারোগারহাট পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ওই গর্তগুলোয় গাড়ির চাকা পড়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। ভোগান্তিতে পড়ছেন দূরপাল্লার যাত্রী।
সীতাকুন্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বাসিন্দা নন্দন রায় বলেন, ছলিমপুর থেকে ভাটিয়ারী পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সড়কের দুই শতাধিক ছোট-বড় গর্ত ও খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে শত শত গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। ওই এলাকার কয়েকটি দুর্ঘটনার কারণে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
ঢাকামুখী কাভার্ড ভ্যানচালক আবুল কালাম জানান, তার কাভার্ড ভ্যানটির চাকা গর্তের মধ্যে পড়ে পাংচার হয়ে যায়। পরে হাইওয়ে পুলিশের টিম এসে গাড়িটি উদ্ধার করে।
সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার আহমেদ বলেন, মহাসড়কের কিছু অংশে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া ঠিক হলে সংস্কার কাজ শুরু হবে।