শতক পেরিয়ে ‘নিত্যপুরাণ’

দুই যুগ পরে অভিনয় করলেন মাসুম রেজা

মাসুম রেজাকে ঘিরে চার দ্রৌপদীসর্বশেষ ১৯৯৫ সালে ‘দর্পণে শরৎশশী’ নাটকে মহিলা সমিতির মঞ্চে উঠেছিলেন অভিনেতা মাসুম রেজা। মাঝে কেটে গেছে ২৪ বছর। অবশেষে ১২ জুলাই আবার মঞ্চে উঠছেন, অভিনয় করছেন তারই সৃষ্ট একটি চরিত্রে। এদিন বিকাল ৪টা ও সন্ধ্যা ৭টায় শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ হল মঞ্চে দেশ নাটক ‘নিত্যপুরাণ’ নাটকের নিরানব্বই ও শততম প্রদর্শনী করে। মূলত এ আনন্দেই নাটকটির দ্রোণাচার্য চরিত্রে অভিনয় করছেন এর রচয়িতা ও নির্দেশক মাসুম রেজা। টানা দুই যুগ পর অভিনয়ে প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে মাসুম রেজা বলেন, ‘মঞ্চ নাটক আমি প্রচুর লিখেছি, নির্দেশনা দিয়েছি, অনেক শো হয়েছে। কিন্তু আমার কোন নাটকের শততম প্রদর্শনী হয়নি। লেখক-নির্দেশক হিসেবে সেটা অনেক বড় আনন্দের বিষয়। শুরু থেকেই আমার কাছে অভিনয় আর লেখার অভিজ্ঞতা একটু আলাদা। আমার কাছে মনে হয়, অভিনয় করে সহজে পরিচিতি পাওয়া যায়, দ্রুত দর্শকদের কাছে চলে যাওয়া যায়। যেটা লিখে বা নির্দেশনা দিয়ে সম্ভব নয়। এটাও ঠিক, অভিনয় বিষয়টা খুব কঠিন, তবে সবার কাছে পৌঁছানো ততটাই সহজ। তাই আমি সেই সহজ পথটা পরিহার করলাম ১৯৯৫ সালেই। চেয়েছিলাম, নাটকের পেছনে কাজ করে সবার সামনে হাজির হতে। এ বেলায় এসে, কতটা পেরেছি জানি না। তবে অপার আনন্দ নিয়ে আমি আবারও মঞ্চে উঠেছি ১২ জুলাই। এই আনন্দ-অভিনয় শুধু শততম উদযাপনের জন্য। এরপর আবার ফিরে যাব নিজের লেখালেখির টেবিলে।’

একই দিন একই মঞ্চে পরপর দু’বার মাসুম রেজার অভিনয় করেন। নাটকটির অন্যতম চরিত্র দ্রৌপদীরূপে একই মঞ্চে দেখা মিলে শিরিন খান মনি, নাজনীন হাসান চুমকী, বন্যা মির্জা ও সুষমা সরকারের। চরিত্র একজনের হলেও এ চারজনই গেল ৯৮টি প্রদর্শনীতে দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন দ্রৌপদী চরিত্রে অভিনয় করে।

এবার ৯৯ ও শততম দুটি বিশেষ পর্বে একই চরিত্রে বিভিন্ন দৃশ্যে পাওয়া যায় চারজনকেই। ২০০১ সালের ১৪ জানুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের মহিলা সমিতি মঞ্চে ‘নিত্যপুরাণ’-এর প্রথম প্রদর্শনী হয়। যেমনটি দেখা গিয়েছে গেল বছর নাটকটির ৭৫তম শো’তে।

এ প্রসঙ্গে ‘নিত্যপুরাণ’-এর অন্যতম কুশীলব বন্যা মির্জা বলেন, ‘দেশ নাটক এখন ৩৩ বছরের টগবগে তরুণ। গত ১ জুলাই ছিল আমাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। একই মাসে হচ্ছে আমাদের নিত্যপুরাণ নাটকের শততম প্রদর্শনী। সব মিলিয়ে একাকার আনন্দ আমাদের মধ্যে। এখন শুধু অপেক্ষা, আপনাদের জন্য। আপনারা আসবেন, পূর্ণ হবো আমরা।’

২০১২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর এ নাটকের অন্যতম চরিত্র একলব্য মারা গেলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘নিত্যপুরাণ’র শো বন্ধ থাকে।

রবিবার, ১৪ জুলাই ২০১৯ , ৩০ আষাঢ় ১৪২৫, ১০ জিলকদ ১৪৪০

শতক পেরিয়ে ‘নিত্যপুরাণ’

দুই যুগ পরে অভিনয় করলেন মাসুম রেজা

বিনোদন প্রতিবেদক

image

মাসুম রেজাকে ঘিরে চার দ্রৌপদীসর্বশেষ ১৯৯৫ সালে ‘দর্পণে শরৎশশী’ নাটকে মহিলা সমিতির মঞ্চে উঠেছিলেন অভিনেতা মাসুম রেজা। মাঝে কেটে গেছে ২৪ বছর। অবশেষে ১২ জুলাই আবার মঞ্চে উঠছেন, অভিনয় করছেন তারই সৃষ্ট একটি চরিত্রে। এদিন বিকাল ৪টা ও সন্ধ্যা ৭টায় শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ হল মঞ্চে দেশ নাটক ‘নিত্যপুরাণ’ নাটকের নিরানব্বই ও শততম প্রদর্শনী করে। মূলত এ আনন্দেই নাটকটির দ্রোণাচার্য চরিত্রে অভিনয় করছেন এর রচয়িতা ও নির্দেশক মাসুম রেজা। টানা দুই যুগ পর অভিনয়ে প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে মাসুম রেজা বলেন, ‘মঞ্চ নাটক আমি প্রচুর লিখেছি, নির্দেশনা দিয়েছি, অনেক শো হয়েছে। কিন্তু আমার কোন নাটকের শততম প্রদর্শনী হয়নি। লেখক-নির্দেশক হিসেবে সেটা অনেক বড় আনন্দের বিষয়। শুরু থেকেই আমার কাছে অভিনয় আর লেখার অভিজ্ঞতা একটু আলাদা। আমার কাছে মনে হয়, অভিনয় করে সহজে পরিচিতি পাওয়া যায়, দ্রুত দর্শকদের কাছে চলে যাওয়া যায়। যেটা লিখে বা নির্দেশনা দিয়ে সম্ভব নয়। এটাও ঠিক, অভিনয় বিষয়টা খুব কঠিন, তবে সবার কাছে পৌঁছানো ততটাই সহজ। তাই আমি সেই সহজ পথটা পরিহার করলাম ১৯৯৫ সালেই। চেয়েছিলাম, নাটকের পেছনে কাজ করে সবার সামনে হাজির হতে। এ বেলায় এসে, কতটা পেরেছি জানি না। তবে অপার আনন্দ নিয়ে আমি আবারও মঞ্চে উঠেছি ১২ জুলাই। এই আনন্দ-অভিনয় শুধু শততম উদযাপনের জন্য। এরপর আবার ফিরে যাব নিজের লেখালেখির টেবিলে।’

একই দিন একই মঞ্চে পরপর দু’বার মাসুম রেজার অভিনয় করেন। নাটকটির অন্যতম চরিত্র দ্রৌপদীরূপে একই মঞ্চে দেখা মিলে শিরিন খান মনি, নাজনীন হাসান চুমকী, বন্যা মির্জা ও সুষমা সরকারের। চরিত্র একজনের হলেও এ চারজনই গেল ৯৮টি প্রদর্শনীতে দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন দ্রৌপদী চরিত্রে অভিনয় করে।

এবার ৯৯ ও শততম দুটি বিশেষ পর্বে একই চরিত্রে বিভিন্ন দৃশ্যে পাওয়া যায় চারজনকেই। ২০০১ সালের ১৪ জানুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের মহিলা সমিতি মঞ্চে ‘নিত্যপুরাণ’-এর প্রথম প্রদর্শনী হয়। যেমনটি দেখা গিয়েছে গেল বছর নাটকটির ৭৫তম শো’তে।

এ প্রসঙ্গে ‘নিত্যপুরাণ’-এর অন্যতম কুশীলব বন্যা মির্জা বলেন, ‘দেশ নাটক এখন ৩৩ বছরের টগবগে তরুণ। গত ১ জুলাই ছিল আমাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। একই মাসে হচ্ছে আমাদের নিত্যপুরাণ নাটকের শততম প্রদর্শনী। সব মিলিয়ে একাকার আনন্দ আমাদের মধ্যে। এখন শুধু অপেক্ষা, আপনাদের জন্য। আপনারা আসবেন, পূর্ণ হবো আমরা।’

২০১২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর এ নাটকের অন্যতম চরিত্র একলব্য মারা গেলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘নিত্যপুরাণ’র শো বন্ধ থাকে।