বজ্রপাতে চার জেলায় নিহত ১২

বজ্রপাতে এক দিনে ৪ জেলায় ১২ জন নিহত হয়েছে। এরমধ্যে পাবনায় একই পরিবারের তিন জনসহ ৪, চুয়াডাঙ্গায় ৩, ময়মনসিংহের তিনটি পৃথক এলাকায় ৪ এবং নেত্রকোনায় এক জন প্রাণ হারায়। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে এ তথ্য জানা গেছে।

পাবনা : পাবনার বেড়া উপজেলায় বজ্রপাতে একই পরিবারের ৩ জনসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

নিহতরা হলেন বেড়া উপজেলার চাকলা ইউনিয়নের পাচুরিয়া গ্রামের মোতালেব সরদার (৫৫), তার দুই ছেলে ফরিদ সরদার (২২) ও শরিফ সরদার (১৮) এবং একই গ্রামের রহম আলী (৫২)।

বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আনাম সিদ্দিকী জানান, গতকাল বেলা সাড়ে তিনটার দিকে নিহতরা পাচুরিয়া স্কুল মাঠের পাশে ডোবায় পাট জাগ দিচ্ছিলেন। এ সময় মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যে তাদের ওপর বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরও জানান, সরকারের পক্ষে নিহতদের পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়তা দেয়া হবে।

চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় বজ্রপাতে ৩ জন নিহত হয়েছে। গতকাল বিকেলে আলমডাঙ্গার খোরদ গ্রামের মাঠে কলার বাগানে কাজ করার সময় বজ্রপাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, মেহেরপুর জেলার বাড়াদী ইউনিয়নের কলাইডাঙ্গা গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে আলামিন হোসেন (৩২),একই গ্রামের বরকত আলীর ছেলে হামিদুল ইসলাম (৩৪) ও মৃত গোলাম হোসেনের ছেলে হুদা মিয়া (৩১)। একই সময় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হায়দারপুর গ্রামের শুকুর আলীর স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন (২৮) বজ্রপাতে আহত হয়।

ফুলপুর (ময়মনসিংহ) : ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলায় বজ্রপাতে দুজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন উপজেলার পয়ারী ইউনিয়নের কৃষক জামাল উদ্দিন (৪০) ও বওলা ইউনিয়নের রামসোনা গ্রামের খামার ব্যবসায়ী সোহাগ মিয়া (১৭)।

জানা যায়, উপজেলার পয়ারী গ্রামের কৃষক জামাল উদ্দিন বাড়ির পাশের জমিতে ধানের চারা নিয়ে জমিতে রোপন করতে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে সে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ফুলপুর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে পৃথক ঘটনায় উপজেলার বওলা ইউনিয়নের রামসোনা গ্রামের আবদুল মজিদের ছেলে খামার ব্যবসায়ী সোহাগ মিয়া তার পালিত হাঁস বিলে নিয়ে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে মারা যায়।

এদিকে তারাকান্দা উপজেলার ধলীরকান্দা গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে চাঁন মিয়া সরকার (৫৫) গতকাল বিকেল ৫ টায় বজ্রপাতে মারা যান।

ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) : গতকাল দুপুর উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নের বড়বিলার বিলে দুই সহোদর মাছ শিকারের সময় বজ্রপাতে ছোট ভাই চৈইত বর্মণ (২২) মারা যায়। এ সময় বড় ভাই মনু বর্মন আহত হয়। নিহত চৈইত বর্মণ হাতীলেইট গ্রামের মলিন বর্মনের ছেলে।

নেত্রকোনা : নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের সন্ন্যাসীপাড়া গ্রামে গতকাল সকাল ১০টার দিকে বজ্রপাতে এনামুল হক (২২) নামের এক কৃষকের করুণ মৃত্যু হয়েছে।

রংছাতি ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক জানান, সন্ন্যাসী পাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে এনামুল হক গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিপাত চলাকালে বাড়ির পাশের পতিত জমিতে গরুকে ঘাস খাওয়ানোর জন্য যাওয়ার পথে সকাল ১০টার দিকে হঠাৎ বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রবিবার, ১৪ জুলাই ২০১৯ , ৩০ আষাঢ় ১৪২৫, ১০ জিলকদ ১৪৪০

বজ্রপাতে চার জেলায় নিহত ১২

সংবাদ ডেস্ক

বজ্রপাতে এক দিনে ৪ জেলায় ১২ জন নিহত হয়েছে। এরমধ্যে পাবনায় একই পরিবারের তিন জনসহ ৪, চুয়াডাঙ্গায় ৩, ময়মনসিংহের তিনটি পৃথক এলাকায় ৪ এবং নেত্রকোনায় এক জন প্রাণ হারায়। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে এ তথ্য জানা গেছে।

পাবনা : পাবনার বেড়া উপজেলায় বজ্রপাতে একই পরিবারের ৩ জনসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

নিহতরা হলেন বেড়া উপজেলার চাকলা ইউনিয়নের পাচুরিয়া গ্রামের মোতালেব সরদার (৫৫), তার দুই ছেলে ফরিদ সরদার (২২) ও শরিফ সরদার (১৮) এবং একই গ্রামের রহম আলী (৫২)।

বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আনাম সিদ্দিকী জানান, গতকাল বেলা সাড়ে তিনটার দিকে নিহতরা পাচুরিয়া স্কুল মাঠের পাশে ডোবায় পাট জাগ দিচ্ছিলেন। এ সময় মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যে তাদের ওপর বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরও জানান, সরকারের পক্ষে নিহতদের পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়তা দেয়া হবে।

চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় বজ্রপাতে ৩ জন নিহত হয়েছে। গতকাল বিকেলে আলমডাঙ্গার খোরদ গ্রামের মাঠে কলার বাগানে কাজ করার সময় বজ্রপাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, মেহেরপুর জেলার বাড়াদী ইউনিয়নের কলাইডাঙ্গা গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে আলামিন হোসেন (৩২),একই গ্রামের বরকত আলীর ছেলে হামিদুল ইসলাম (৩৪) ও মৃত গোলাম হোসেনের ছেলে হুদা মিয়া (৩১)। একই সময় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হায়দারপুর গ্রামের শুকুর আলীর স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন (২৮) বজ্রপাতে আহত হয়।

ফুলপুর (ময়মনসিংহ) : ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলায় বজ্রপাতে দুজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন উপজেলার পয়ারী ইউনিয়নের কৃষক জামাল উদ্দিন (৪০) ও বওলা ইউনিয়নের রামসোনা গ্রামের খামার ব্যবসায়ী সোহাগ মিয়া (১৭)।

জানা যায়, উপজেলার পয়ারী গ্রামের কৃষক জামাল উদ্দিন বাড়ির পাশের জমিতে ধানের চারা নিয়ে জমিতে রোপন করতে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে সে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ফুলপুর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে পৃথক ঘটনায় উপজেলার বওলা ইউনিয়নের রামসোনা গ্রামের আবদুল মজিদের ছেলে খামার ব্যবসায়ী সোহাগ মিয়া তার পালিত হাঁস বিলে নিয়ে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে মারা যায়।

এদিকে তারাকান্দা উপজেলার ধলীরকান্দা গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে চাঁন মিয়া সরকার (৫৫) গতকাল বিকেল ৫ টায় বজ্রপাতে মারা যান।

ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) : গতকাল দুপুর উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নের বড়বিলার বিলে দুই সহোদর মাছ শিকারের সময় বজ্রপাতে ছোট ভাই চৈইত বর্মণ (২২) মারা যায়। এ সময় বড় ভাই মনু বর্মন আহত হয়। নিহত চৈইত বর্মণ হাতীলেইট গ্রামের মলিন বর্মনের ছেলে।

নেত্রকোনা : নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের সন্ন্যাসীপাড়া গ্রামে গতকাল সকাল ১০টার দিকে বজ্রপাতে এনামুল হক (২২) নামের এক কৃষকের করুণ মৃত্যু হয়েছে।

রংছাতি ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক জানান, সন্ন্যাসী পাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে এনামুল হক গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিপাত চলাকালে বাড়ির পাশের পতিত জমিতে গরুকে ঘাস খাওয়ানোর জন্য যাওয়ার পথে সকাল ১০টার দিকে হঠাৎ বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।