৫ আসামি ধরতে সাহায্য চেয়েছে পুলিশ

রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় ৫ আসমি ধরতে জনগণের সাহায্য চেয়েছে পুলিশ। এ মামলায় এজাহারভুক্ত ৭ আসামি গ্রেফতার করা হলেও এখনও গুরুত্বপূর্ণ ৫ আসামি গ্রেফতার হয়নি। বরগুনার পুলিশ সুপারের কার্য়ালয় থেকে এ অনুরোধ জানান হয়।

বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন জানান, রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। এ মামলায় এজাহারভুক্ত গুরুত্বপূর্ণ ৭ আসামিসহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এখনও এজাহারভুক্ত ৫ আসামি ধরা যায়নি। তাদের ধরতে জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন। এরা হলো রিশান ফরাজী, মহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রায়হান, রিফাত ও মুসা বন্ড। এদের গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন থানা, গুরুত্বপূর্ণ বাজারসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ছবি পাঠানো হয়েছে, যাতে তাদের সম্পর্কে বরগুনার পুলিশ তথ্য পায়। পুলিশ সুপার জানান, যত শীঘ্র এদের ধরা যাবে তত শীঘ্র রিফাত শরীফ হত্যা মামলার চার্জশিট দেয়া সম্ভব হবে।

রিশান ফরাজী

রিফাত ফরাজী হত্যা মামলার ৩নং আসামি রিশান ফরাজী রিফাত ফরাজীর ভাই। রিফাত শরীফের বাবা আ. হালিম দুলাল শরীফ গত ২৬ জুন বরগুনা থানায় দায়েরকৃত মামলায় বলেন, নয়ন বন্ড রিফাত ফরাজীর সঙ্গে রিফাত শরীফ হত্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রিফাত শরীফ হত্যার সময় সে আহত হবার পর রাব্বি আকন তাকে কলেজের দিকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে রিশান ফরাজীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯) মামলার সাত নম্বর আসামি। তার বাড়ি বরগুনার কলেজিয়েট স্কুল সড়কে। রিফাত শরীফ হত্যার ঘটনায় সে প্রত্যক্ষ অংশ নেয়। ঘটনার পর থেকেই সে পলাতক রয়েছে। নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীর সঙ্গে সে এলাকায় ঘোরাফেরা করতো বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।

রায়হান (১৯) মামলার আট নম্বর আসামি। রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণকারী রায়হান। বরগুনা কেজি স্কুল সড়কে তার বাসা। ঘটনার পর থেকেই সে পলাতক।

রিফাত (২০) রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় ১০ নম্বর আসামি। তার বাড়ি সোনালী পাড়ায় সোনালী পাড়ায় মাদক সাম্রাজ্য গড়ে তোলে সে। তার দাপটে সোনালী পাড়া ছিল সন্ত্রস্ত। তবে ঘটনার পর থেকেই সে এলাকা ছাড়া।

মো. মুসা মামলার পাঁচ নম্বর আসামি। তার বাড়ি বরগুনা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে। তবে মামলায় তার বাবার নাম উল্লেখ করা হয়নি। রিফাতকে হত্যার পর থেকেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে সে। বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে সে জড়িত ছিল বিধায় বিভিন্ন সময় জনগণের হাতে ধরা খেয়ে এখন শিরোনামে চলে এসেছে।

বরগুনা নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ স¤পাদক মনির হোসেন কামাল বলেন, এরা এলাকায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন সময় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় আইনে ফাঁকফোকর দিয়ে মুক্ত হয়ে যায়। বার বার এ ধরনের সুযোগ পাওয়ার ফলে এরা আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে ওঠে।

বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেন, আমরা আসামিদের চিহ্নিত করতে পেরেছি। ইতোমধ্যে এজাহারভুক্ত ৭ ও অন্য ৭ জনসহ ১৪ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হবো।

আরিয়ান শ্রাবণ আরও ৫ দিনের রিমান্ডে

রিফাত শরীফ হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি আরিয়ান শ্রাবণকে আরও ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বরগুনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, শনিবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে আরিয়ান শ্রাবণকে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করার জন্য আবেদন করেছিলেন। বিকেল ৫টার দিকে বিচারক তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। গত ৮ জুলাই ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে বরগুনা শহর থেকে আরিয়ান শ্রাবণকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওইদিন বিকেলে শ্রাবণকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিল আদালত। শনিবার তাকে আবার ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়া হলো।

বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন জানিয়েছেন, শনিবার বিকেল পর্যন্ত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৬ জনসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, অন্য আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত আছে।

বরগুনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, গত পহেলা জুলাই মামলার এজাহারভুক্ত ১১ নম্বর আসামি অলি ও তানভীর, ৪ জুলাই রাতে মামলার ৪ নম্বর আসামি চন্দন ও ৯ নম্বর আসামি মো. হাসান, ৫ জুলাই রাতে মো. সাগর ও নাজমুল হাসান এবং ১০ জুলাই রাতে রাফিউল ইসলাম রাব্বী আদালতে হাজির হয়ে বিচারকের সামনে রিফাত শরীফ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। এখন পর্যন্ত ৭ জন আসামি হত্যার দায় স্বীকার করেছে।

প্রধান আসামি নয়ন বন্ড গত ২ জুলাই ভোররাতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। দ্বিতীয় আসামি রিফাত ফরাজীকে ৩ জুলাই রাতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। রিফাত ফরাজীকে হত্যা মামলায় ৭ দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অস্ত্র মামলায় আরও ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। আগামী মঙ্গলবার তার রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হবে। এছাড়াও টিকটক হৃদয়কে ৫ দিন ও রাতুল সিকদারকে ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তাদের রিমান্ডের মেয়াদ আগামীকাল শেষ হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

রবিবার, ১৪ জুলাই ২০১৯ , ৩০ আষাঢ় ১৪২৫, ১০ জিলকদ ১৪৪০

রিফাত হত্যা

৫ আসামি ধরতে সাহায্য চেয়েছে পুলিশ

প্রতিনিধি, বরগুনা

রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় ৫ আসমি ধরতে জনগণের সাহায্য চেয়েছে পুলিশ। এ মামলায় এজাহারভুক্ত ৭ আসামি গ্রেফতার করা হলেও এখনও গুরুত্বপূর্ণ ৫ আসামি গ্রেফতার হয়নি। বরগুনার পুলিশ সুপারের কার্য়ালয় থেকে এ অনুরোধ জানান হয়।

বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন জানান, রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। এ মামলায় এজাহারভুক্ত গুরুত্বপূর্ণ ৭ আসামিসহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এখনও এজাহারভুক্ত ৫ আসামি ধরা যায়নি। তাদের ধরতে জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন। এরা হলো রিশান ফরাজী, মহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রায়হান, রিফাত ও মুসা বন্ড। এদের গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন থানা, গুরুত্বপূর্ণ বাজারসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ছবি পাঠানো হয়েছে, যাতে তাদের সম্পর্কে বরগুনার পুলিশ তথ্য পায়। পুলিশ সুপার জানান, যত শীঘ্র এদের ধরা যাবে তত শীঘ্র রিফাত শরীফ হত্যা মামলার চার্জশিট দেয়া সম্ভব হবে।

রিশান ফরাজী

রিফাত ফরাজী হত্যা মামলার ৩নং আসামি রিশান ফরাজী রিফাত ফরাজীর ভাই। রিফাত শরীফের বাবা আ. হালিম দুলাল শরীফ গত ২৬ জুন বরগুনা থানায় দায়েরকৃত মামলায় বলেন, নয়ন বন্ড রিফাত ফরাজীর সঙ্গে রিফাত শরীফ হত্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রিফাত শরীফ হত্যার সময় সে আহত হবার পর রাব্বি আকন তাকে কলেজের দিকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে রিশান ফরাজীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯) মামলার সাত নম্বর আসামি। তার বাড়ি বরগুনার কলেজিয়েট স্কুল সড়কে। রিফাত শরীফ হত্যার ঘটনায় সে প্রত্যক্ষ অংশ নেয়। ঘটনার পর থেকেই সে পলাতক রয়েছে। নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীর সঙ্গে সে এলাকায় ঘোরাফেরা করতো বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।

রায়হান (১৯) মামলার আট নম্বর আসামি। রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণকারী রায়হান। বরগুনা কেজি স্কুল সড়কে তার বাসা। ঘটনার পর থেকেই সে পলাতক।

রিফাত (২০) রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় ১০ নম্বর আসামি। তার বাড়ি সোনালী পাড়ায় সোনালী পাড়ায় মাদক সাম্রাজ্য গড়ে তোলে সে। তার দাপটে সোনালী পাড়া ছিল সন্ত্রস্ত। তবে ঘটনার পর থেকেই সে এলাকা ছাড়া।

মো. মুসা মামলার পাঁচ নম্বর আসামি। তার বাড়ি বরগুনা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে। তবে মামলায় তার বাবার নাম উল্লেখ করা হয়নি। রিফাতকে হত্যার পর থেকেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে সে। বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে সে জড়িত ছিল বিধায় বিভিন্ন সময় জনগণের হাতে ধরা খেয়ে এখন শিরোনামে চলে এসেছে।

বরগুনা নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ স¤পাদক মনির হোসেন কামাল বলেন, এরা এলাকায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন সময় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় আইনে ফাঁকফোকর দিয়ে মুক্ত হয়ে যায়। বার বার এ ধরনের সুযোগ পাওয়ার ফলে এরা আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে ওঠে।

বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেন, আমরা আসামিদের চিহ্নিত করতে পেরেছি। ইতোমধ্যে এজাহারভুক্ত ৭ ও অন্য ৭ জনসহ ১৪ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হবো।

আরিয়ান শ্রাবণ আরও ৫ দিনের রিমান্ডে

রিফাত শরীফ হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি আরিয়ান শ্রাবণকে আরও ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বরগুনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, শনিবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে আরিয়ান শ্রাবণকে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করার জন্য আবেদন করেছিলেন। বিকেল ৫টার দিকে বিচারক তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। গত ৮ জুলাই ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে বরগুনা শহর থেকে আরিয়ান শ্রাবণকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওইদিন বিকেলে শ্রাবণকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিল আদালত। শনিবার তাকে আবার ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়া হলো।

বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন জানিয়েছেন, শনিবার বিকেল পর্যন্ত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৬ জনসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, অন্য আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত আছে।

বরগুনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, গত পহেলা জুলাই মামলার এজাহারভুক্ত ১১ নম্বর আসামি অলি ও তানভীর, ৪ জুলাই রাতে মামলার ৪ নম্বর আসামি চন্দন ও ৯ নম্বর আসামি মো. হাসান, ৫ জুলাই রাতে মো. সাগর ও নাজমুল হাসান এবং ১০ জুলাই রাতে রাফিউল ইসলাম রাব্বী আদালতে হাজির হয়ে বিচারকের সামনে রিফাত শরীফ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। এখন পর্যন্ত ৭ জন আসামি হত্যার দায় স্বীকার করেছে।

প্রধান আসামি নয়ন বন্ড গত ২ জুলাই ভোররাতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। দ্বিতীয় আসামি রিফাত ফরাজীকে ৩ জুলাই রাতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। রিফাত ফরাজীকে হত্যা মামলায় ৭ দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অস্ত্র মামলায় আরও ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। আগামী মঙ্গলবার তার রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হবে। এছাড়াও টিকটক হৃদয়কে ৫ দিন ও রাতুল সিকদারকে ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তাদের রিমান্ডের মেয়াদ আগামীকাল শেষ হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।