দেখবেন, দুর্নীতির কারণে যেন অর্জনগুলো নষ্ট না হয়

ঘুষ দেয়া-নেয়া দুটোই অপরাধ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা দেখবেন দুর্নীতির কারণে আমাদের অর্জনগুলো যেন নষ্ট হয়ে না যায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সকালে তার তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। বাসস।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা (জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা) তৃণমূল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দুর্নীতি বন্ধে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করবেন। যাতে আমাদের এত কষ্টের অর্জনগুলো দুর্নীতির কারণে নষ্ট না হয়ে যায়।

প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আমরা এত খেটে, সারা দিন এত কাজের পরে যদি দুর্নীতির কারণে সব অর্জন নষ্ট হয়ে যায়; সেটা হবে খুব দুঃখজনক। এটা কোনভাবেই সহ্য করা হবে না। তিনি এ বিষয়ে সবাইকে দায়িত্বশীল হওয়ার পাশাপাশি যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনে আন্তরিক হওয়ারও আহ্বান জানান। তিনি বলেন, যে ঘুষ নেবে সেই কেবল অপরাধী নয়, যে ঘুষ দেবে সেও অপরাধী। কাজেই দুর্নীতির কারণে আমাদের উন্নয়নটা যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়ে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) মূলত প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি সমঝোতা দলিল।

একইভাবে মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবগণ সংযুক্ত দফতর/সংস্থাসমূহের সঙ্গে এবং দফতর/সংস্থাসমূহের প্রধানরা মাঠপর্যায়ের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের কৌশলগত উদ্দেশ্যগুলো, এসব উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য গৃহীত কার্যক্রমসমূহ এবং এ কার্যক্রমের ফলাফল পরিমাপের জন্য কর্মসম্পাদন সূচক ও লক্ষ্যমাত্রাসমূহ বর্ণনা করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট অর্থবছর সমাপ্ত হওয়ার পর ওই বছরের চুক্তিতে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রাগুলোর বিপরীতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের প্রকৃত অর্জন মূল্যায়ন করা হয়। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশে প্রথম বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বা এপিএ প্রবর্তন করা হয়। এবার ষষ্ঠ বছরের মতো এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের যে মানুষকে সব নাগরিক সুবিধাটা আমরা দিতে চাই। যাতে তাদের কাজ খোঁজার জন্য আর গ্রাম থেকে শহরে আসতে না হয়। নিজের গ্রামেই সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা তারা পেতে পারে।

তিনি বলেন, মানুষের আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য বাড়ার ফলে এবং যেহেতু আমরা ঘোষণা দিয়েছি ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ তাই যত্রতত্র দালানকোঠা ও স্থাপনা তৈরি হওয়ায় কৃষিজমি কমে যাওয়ার একটা আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে মাস্টার প্লান থাকা এবং তা যথাযথভাবে কার্যকরের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা বোধ হয় আমাদের একটু দেখা উচিত যে, কীভাবে আমাদের কৃষিজমিগুলোকে আমরা রক্ষা করব। পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষা করে উন্নয়ন যেন পরিকল্পিতভাবে করা যায়।

শিল্পায়নের জন্য সারাদেশে একশ’ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, যেখানে-সেখানে ঘরবাড়ি এবং কলকারখানা এভাবে যদি হতে থাকে তাহলে যেমন আমাদের আবাদি জমিও নষ্ট হবে তেমনি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য নাগরিক সুবিধা দেয়াটাও একটু কঠিন হয়ে যাবে।

তিনি এজন্য মানুষকে বোঝানোর এবং নির্দিষ্ট স্থানে স্থাপনা নির্মাণ করলে তারা যে সুবিধাগুলো পাবেন সেগুলো সম্পর্কে তাদের অবহিতকরণের জন্য প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

একই সঙ্গে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে একটি বৈশ্বিক সমস্যা আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী এই ব্যাধি নির্মূলে সরকারের সাফল্য তুলে ধরেন এবং এই ধারা অব্যাহত রাখা, যাতে কোনভাবেই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকারও আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং দফতরের সিনিয়র সচিব এবং সচিবরা একযোগে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে স্বাক্ষর করে একে একে প্রধানমন্ত্রীর হাতে তা তুলে দেন।

বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সম্পাদনের সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ অনুষ্ঠানে ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে সম্মাননাপত্র এবং ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

এর মধ্যে ২০১৭-১৮ সালের বার্ষিক কর্মসংস্থান চুক্তি সম্পাদনে সাফল্যের বিবেচনায় বিদ্যুৎ বিভাগ প্রথম, বাস্তবায়ন, পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ দ্বিতীয়, জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ বিভাগ তৃতীয় স্থান অর্জন করায় অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সচিবদের হাতে প্রধানমন্ত্রী ক্রেস্ট এবং সম্মাননাপত্র তুলে দেন।

শুদ্ধাচার চর্চা ও দুর্নীতি প্রতিরোধের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য এবং সরকারি কর্মচারীদের শুদ্ধাচার চর্চায় উৎসাহ প্রদানে সরকার প্রদত্ত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে শুদ্ধাচার পুরস্কার লাভ করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।

তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুল মালেক বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে তার মন্ত্রণালয়ের সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সম্মাননাপত্র গ্রহণ করেন।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রলালয়, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, সুরক্ষা বিভাগ এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবরাও প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এপিএর সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মাননাপত্র গ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম, মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান ও বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস বক্তৃতা করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা, বিভিন্ন সিনিয়র সচিব ও সচিবরা, বিভিন্ন বিভাগ এবং দফতরের প্রধানরা, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।

আরও খবর
শপথ নিলেন মন্ত্রী ইমরান প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা
ঢাকায় দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী লি
বারোভূতে লুটেপুটে খাচ্ছে খুলনা রেলওয়ের কোটি কোটি টাকার সম্পদ
হিন্দু পারিবারিক আইন বাতিল দাবি
নিজেকে বাঁচাতে ৫ জনকে দায়ী করেন বাছির
বেনাপোল-ঢাকা ১৭ জুলাই চালু হচ্ছে বিরতিহীন ট্রেন
তৃতীয় বর্ষে ফেল করে চতুর্থ বর্ষে পরীক্ষা দিচ্ছেন ঢাবি ছাত্রলীগ সা. সম্পাদক
ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড দাবি
পূর্ববিরোধের জেরে হত্যাকান্ড ঘটে
জিয়া হত্যায় বেশি লাভবান খালেদা
নভোথিয়েটারে মাসব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত
মির্জাপুরে রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী পালিত

রবিবার, ১৪ জুলাই ২০১৯ , ৩০ আষাঢ় ১৪২৫, ১০ জিলকদ ১৪৪০

সরকারি কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রী

দেখবেন, দুর্নীতির কারণে যেন অর্জনগুলো নষ্ট না হয়

ঘুষ দেয়া-নেয়া দুটোই অপরাধ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা দেখবেন দুর্নীতির কারণে আমাদের অর্জনগুলো যেন নষ্ট হয়ে না যায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সকালে তার তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। বাসস।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা (জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা) তৃণমূল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দুর্নীতি বন্ধে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করবেন। যাতে আমাদের এত কষ্টের অর্জনগুলো দুর্নীতির কারণে নষ্ট না হয়ে যায়।

প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আমরা এত খেটে, সারা দিন এত কাজের পরে যদি দুর্নীতির কারণে সব অর্জন নষ্ট হয়ে যায়; সেটা হবে খুব দুঃখজনক। এটা কোনভাবেই সহ্য করা হবে না। তিনি এ বিষয়ে সবাইকে দায়িত্বশীল হওয়ার পাশাপাশি যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনে আন্তরিক হওয়ারও আহ্বান জানান। তিনি বলেন, যে ঘুষ নেবে সেই কেবল অপরাধী নয়, যে ঘুষ দেবে সেও অপরাধী। কাজেই দুর্নীতির কারণে আমাদের উন্নয়নটা যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়ে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) মূলত প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি সমঝোতা দলিল।

একইভাবে মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবগণ সংযুক্ত দফতর/সংস্থাসমূহের সঙ্গে এবং দফতর/সংস্থাসমূহের প্রধানরা মাঠপর্যায়ের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের কৌশলগত উদ্দেশ্যগুলো, এসব উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য গৃহীত কার্যক্রমসমূহ এবং এ কার্যক্রমের ফলাফল পরিমাপের জন্য কর্মসম্পাদন সূচক ও লক্ষ্যমাত্রাসমূহ বর্ণনা করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট অর্থবছর সমাপ্ত হওয়ার পর ওই বছরের চুক্তিতে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রাগুলোর বিপরীতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের প্রকৃত অর্জন মূল্যায়ন করা হয়। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশে প্রথম বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বা এপিএ প্রবর্তন করা হয়। এবার ষষ্ঠ বছরের মতো এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের যে মানুষকে সব নাগরিক সুবিধাটা আমরা দিতে চাই। যাতে তাদের কাজ খোঁজার জন্য আর গ্রাম থেকে শহরে আসতে না হয়। নিজের গ্রামেই সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা তারা পেতে পারে।

তিনি বলেন, মানুষের আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য বাড়ার ফলে এবং যেহেতু আমরা ঘোষণা দিয়েছি ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ তাই যত্রতত্র দালানকোঠা ও স্থাপনা তৈরি হওয়ায় কৃষিজমি কমে যাওয়ার একটা আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে মাস্টার প্লান থাকা এবং তা যথাযথভাবে কার্যকরের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা বোধ হয় আমাদের একটু দেখা উচিত যে, কীভাবে আমাদের কৃষিজমিগুলোকে আমরা রক্ষা করব। পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষা করে উন্নয়ন যেন পরিকল্পিতভাবে করা যায়।

শিল্পায়নের জন্য সারাদেশে একশ’ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, যেখানে-সেখানে ঘরবাড়ি এবং কলকারখানা এভাবে যদি হতে থাকে তাহলে যেমন আমাদের আবাদি জমিও নষ্ট হবে তেমনি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য নাগরিক সুবিধা দেয়াটাও একটু কঠিন হয়ে যাবে।

তিনি এজন্য মানুষকে বোঝানোর এবং নির্দিষ্ট স্থানে স্থাপনা নির্মাণ করলে তারা যে সুবিধাগুলো পাবেন সেগুলো সম্পর্কে তাদের অবহিতকরণের জন্য প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

একই সঙ্গে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে একটি বৈশ্বিক সমস্যা আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী এই ব্যাধি নির্মূলে সরকারের সাফল্য তুলে ধরেন এবং এই ধারা অব্যাহত রাখা, যাতে কোনভাবেই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকারও আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং দফতরের সিনিয়র সচিব এবং সচিবরা একযোগে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে স্বাক্ষর করে একে একে প্রধানমন্ত্রীর হাতে তা তুলে দেন।

বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সম্পাদনের সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ অনুষ্ঠানে ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে সম্মাননাপত্র এবং ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

এর মধ্যে ২০১৭-১৮ সালের বার্ষিক কর্মসংস্থান চুক্তি সম্পাদনে সাফল্যের বিবেচনায় বিদ্যুৎ বিভাগ প্রথম, বাস্তবায়ন, পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ দ্বিতীয়, জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ বিভাগ তৃতীয় স্থান অর্জন করায় অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সচিবদের হাতে প্রধানমন্ত্রী ক্রেস্ট এবং সম্মাননাপত্র তুলে দেন।

শুদ্ধাচার চর্চা ও দুর্নীতি প্রতিরোধের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য এবং সরকারি কর্মচারীদের শুদ্ধাচার চর্চায় উৎসাহ প্রদানে সরকার প্রদত্ত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে শুদ্ধাচার পুরস্কার লাভ করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।

তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুল মালেক বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে তার মন্ত্রণালয়ের সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সম্মাননাপত্র গ্রহণ করেন।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রলালয়, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, সুরক্ষা বিভাগ এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবরাও প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এপিএর সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মাননাপত্র গ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম, মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান ও বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস বক্তৃতা করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা, বিভিন্ন সিনিয়র সচিব ও সচিবরা, বিভিন্ন বিভাগ এবং দফতরের প্রধানরা, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।