জিয়া হত্যায় বেশি লাভবান খালেদা

হাসান মাহমুদ

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জিয়াউর রহমানের হত্যাকান্ডে সবচেয়ে বেশি বেনিফিসিয়ারি হয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি আরও বলেন, ঐ হত্যাকান্ডের সঙ্গে বিএনপির নেতারা জড়িত কিনা সেটাও দেখা দরকার। গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দী দিবস’ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক

শাহে আলম মুরাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান হত্যার পর খালেদা জিয়া দুই মেয়াদে দশ বছর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ক্ষমতায় থেকেও জিয়ার হত্যাকান্ড নিয়ে তিনি মামলা করলেন না কেন, মামলাটা চালালেন না কেন? তথ্যমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সেনাবাহিনীর কয়েক হাজার অফিসারকে ধরে এনে বিনা বিচারে হত্যা করেন। সেই হত্যাকান্ডেরও বিচার হওয়া দরকার। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যারা জড়িত ছিল তদন্ত কমিশন করে জিয়াসহ তাদেরও বিচার হওয়া দরকার। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, রাজনীতিবিদ হতে হলে জেলের ভয় পেলে হয় না। গ্রেফতার হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। ভয় পেলে রাজনীতিবিদ হওয়া যায় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দী হওয়ার সময়ে কথা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত ৩৮ বছরে শেখ হাসিনা সমস্ত প্রতিবন্ধকতা, দুর্বিপাক উপেক্ষা করে বাঙালি জাতির পাশে ছিলেন, আছেন। আজ তিনি শুধু আওয়ামী লীগের নেতা নন, বাংলাদেশের নেতা নন, বিশ্ব নেতায় পরিণত হয়েছেন।

নারী ও শিশু নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে অ্যাড. কামরুল ইসলাম বলেন, সামাজিক অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত সরকার তাদের বিচার করছে। কিন্তু চূড়ান্ত বিচার সমাপ্ত করতে সময় লাগছে। নারী নির্যাতন ও ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এই সব পাপিষ্টদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলে এদের নির্মূল করতে হবে।

আরও খবর
শপথ নিলেন মন্ত্রী ইমরান প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা
দেখবেন, দুর্নীতির কারণে যেন অর্জনগুলো নষ্ট না হয়
ঢাকায় দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী লি
বারোভূতে লুটেপুটে খাচ্ছে খুলনা রেলওয়ের কোটি কোটি টাকার সম্পদ
হিন্দু পারিবারিক আইন বাতিল দাবি
নিজেকে বাঁচাতে ৫ জনকে দায়ী করেন বাছির
বেনাপোল-ঢাকা ১৭ জুলাই চালু হচ্ছে বিরতিহীন ট্রেন
তৃতীয় বর্ষে ফেল করে চতুর্থ বর্ষে পরীক্ষা দিচ্ছেন ঢাবি ছাত্রলীগ সা. সম্পাদক
ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড দাবি
পূর্ববিরোধের জেরে হত্যাকান্ড ঘটে
নভোথিয়েটারে মাসব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত
মির্জাপুরে রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী পালিত

রবিবার, ১৪ জুলাই ২০১৯ , ৩০ আষাঢ় ১৪২৫, ১০ জিলকদ ১৪৪০

জিয়া হত্যায় বেশি লাভবান খালেদা

হাসান মাহমুদ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জিয়াউর রহমানের হত্যাকান্ডে সবচেয়ে বেশি বেনিফিসিয়ারি হয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি আরও বলেন, ঐ হত্যাকান্ডের সঙ্গে বিএনপির নেতারা জড়িত কিনা সেটাও দেখা দরকার। গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দী দিবস’ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক

শাহে আলম মুরাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান হত্যার পর খালেদা জিয়া দুই মেয়াদে দশ বছর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ক্ষমতায় থেকেও জিয়ার হত্যাকান্ড নিয়ে তিনি মামলা করলেন না কেন, মামলাটা চালালেন না কেন? তথ্যমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সেনাবাহিনীর কয়েক হাজার অফিসারকে ধরে এনে বিনা বিচারে হত্যা করেন। সেই হত্যাকান্ডেরও বিচার হওয়া দরকার। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যারা জড়িত ছিল তদন্ত কমিশন করে জিয়াসহ তাদেরও বিচার হওয়া দরকার। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, রাজনীতিবিদ হতে হলে জেলের ভয় পেলে হয় না। গ্রেফতার হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। ভয় পেলে রাজনীতিবিদ হওয়া যায় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দী হওয়ার সময়ে কথা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত ৩৮ বছরে শেখ হাসিনা সমস্ত প্রতিবন্ধকতা, দুর্বিপাক উপেক্ষা করে বাঙালি জাতির পাশে ছিলেন, আছেন। আজ তিনি শুধু আওয়ামী লীগের নেতা নন, বাংলাদেশের নেতা নন, বিশ্ব নেতায় পরিণত হয়েছেন।

নারী ও শিশু নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে অ্যাড. কামরুল ইসলাম বলেন, সামাজিক অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত সরকার তাদের বিচার করছে। কিন্তু চূড়ান্ত বিচার সমাপ্ত করতে সময় লাগছে। নারী নির্যাতন ও ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এই সব পাপিষ্টদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলে এদের নির্মূল করতে হবে।