ইঙ্গমার বার্গম্যান

জন্ম : ১৪ জুলাই, ১৯১৮, উপসালা, সুইডেন

মৃত্যু : ৩০ জুলাই, ২০০৭, ফারো, সুইডেন

আর্নেস্ট ইঙ্গমার বার্গম্যান সুয়েডিশ চলচ্চিত্র ও মঞ্চ পরিচালক, নির্দেশক এবং নাট্যকার। তার কাজের বিষয় ছিল মানুষের জীবনের শূন্যতা ও অর্থহীনতা এবং একই সাথে জীবনের আশা ও কৌতুক। তাকে বিশ্ব চলচ্চিত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পরিচালক বলা হয়।

শৈশবে তার চিন্তা-চেতনা ও আদর্শ বিনির্মাণে চার্চ সংস্কৃতি অনেকটা অবদান রেখেছিল। বিশেষত বাইবেলের গল্প বা ঘটনা এবং সেগুলোর উপস্থাপনার দিকে তিনি উৎসাহ বোধ করেছেন, সেগুলোকে ভিজুয়াল উপস্থাপনা হিসেবে তুলে ধরার তাড়া অনুভব করেছেন। সুয়েডীয় চার্চের নীতিগর্ভ রূপক কাহিনীও তাকে অনুপ্রাণিত করেছে। শয়তানের মধ্যে যে অশুভ উপস্থিত সেটাকে রূপায়িত করার দিকে তার আগ্রহ ছিল। তার ছবির চরিত্রগুলোর মধ্যে যে ভোগান্তির ছাপ থাকে তা পুরোপুরি ধর্মীয় না হলেও নৈতিক বিচারের একটি মানদন্ডের সন্ধান তাদের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়।

ইঙ্গমার স্টকহোম ইউনিভার্সিটিতে শিল্প, ইতিহাস এবং সাহিত্য বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। সেখান থেকেই তার মঞ্চ জীবনের সূচনা ঘটে। অভিনয়, রচনা এবং পরিচালনা সব দিকেই তার ঝোঁক ছিল। তার মূল কর্মজীবন শুরু হয় স্টকহোমের Mäster Olofsgärden Theatre ও Sagas Theatre নামক দুটি মঞ্চ দলে নবিস পরিচালক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে। ১৯৪৪ সালে Helsingborg-এর মিউনিসিপ্যাল মঞ্চে পুরোদস্তুর পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন।

Sommarnattens leende (Smiles of a Summer Night), Det sjunde inseglet (The Seventh Seal), Smultronstället (Wild Strawberries)ইত্যাদি তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র।

ইন্টারনেট

আরও খবর

রবিবার, ১৪ জুলাই ২০১৯ , ৩০ আষাঢ় ১৪২৫, ১০ জিলকদ ১৪৪০

ইঙ্গমার বার্গম্যান

জন্ম : ১৪ জুলাই, ১৯১৮, উপসালা, সুইডেন

মৃত্যু : ৩০ জুলাই, ২০০৭, ফারো, সুইডেন

আর্নেস্ট ইঙ্গমার বার্গম্যান সুয়েডিশ চলচ্চিত্র ও মঞ্চ পরিচালক, নির্দেশক এবং নাট্যকার। তার কাজের বিষয় ছিল মানুষের জীবনের শূন্যতা ও অর্থহীনতা এবং একই সাথে জীবনের আশা ও কৌতুক। তাকে বিশ্ব চলচ্চিত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পরিচালক বলা হয়।

শৈশবে তার চিন্তা-চেতনা ও আদর্শ বিনির্মাণে চার্চ সংস্কৃতি অনেকটা অবদান রেখেছিল। বিশেষত বাইবেলের গল্প বা ঘটনা এবং সেগুলোর উপস্থাপনার দিকে তিনি উৎসাহ বোধ করেছেন, সেগুলোকে ভিজুয়াল উপস্থাপনা হিসেবে তুলে ধরার তাড়া অনুভব করেছেন। সুয়েডীয় চার্চের নীতিগর্ভ রূপক কাহিনীও তাকে অনুপ্রাণিত করেছে। শয়তানের মধ্যে যে অশুভ উপস্থিত সেটাকে রূপায়িত করার দিকে তার আগ্রহ ছিল। তার ছবির চরিত্রগুলোর মধ্যে যে ভোগান্তির ছাপ থাকে তা পুরোপুরি ধর্মীয় না হলেও নৈতিক বিচারের একটি মানদন্ডের সন্ধান তাদের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়।

ইঙ্গমার স্টকহোম ইউনিভার্সিটিতে শিল্প, ইতিহাস এবং সাহিত্য বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। সেখান থেকেই তার মঞ্চ জীবনের সূচনা ঘটে। অভিনয়, রচনা এবং পরিচালনা সব দিকেই তার ঝোঁক ছিল। তার মূল কর্মজীবন শুরু হয় স্টকহোমের Mäster Olofsgärden Theatre ও Sagas Theatre নামক দুটি মঞ্চ দলে নবিস পরিচালক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে। ১৯৪৪ সালে Helsingborg-এর মিউনিসিপ্যাল মঞ্চে পুরোদস্তুর পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন।

Sommarnattens leende (Smiles of a Summer Night), Det sjunde inseglet (The Seventh Seal), Smultronstället (Wild Strawberries)ইত্যাদি তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র।

ইন্টারনেট