আটক ইরানি নাবিকদের মুক্তি দিল জিব্রাল্টার

শর্তসাপেক্ষে চারজনকে জামিন দেয়া হলেও তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে

যুক্তরাজ্য অধিকৃত জিব্রাল্টারে আটক চার ইরানি নাবিককে মুক্তি দিয়েছে দেশটি। পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার তাদের জামিনে মুক্তি দেয়া হয়। সিরিয়ায় তেল সরবরাহের চেষ্টায় তাদের আটক করা হয়েছিল।

সপ্তাহ ধরেই ইরানি ট্যাংকার আটকের প্রতিশোধের হুমকি দিয়ে আসছিল তেহরান। সে সময় ব্রিটিশ রয়েল মেরিন জিব্রাল্টার কর্তৃপক্ষকে একটি ইরানি তেল ট্যাংকার জব্দে সহায়তা করেছিল। তাদের দাবি, ওই ট্যাংকারটি ইইউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সিরিয়ার দিকে এগোচ্ছিল। জবাবে এক ইরানি কর্মকর্তা বলেন, তাদের জাহাজ ছেড়ে না দিলে ব্রিটিশ জাহাজ জব্দ করা উচিত।

এছাড়া ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে তলব করে তারা। পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার সকালে তারা ট্যাংকার থেকে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল। একদিন আগেই ক্যাপ্টেন ও প্রধান কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, শর্তসাপেক্ষে চারজনকে জামিন দেয়া হয়েছে। তবে ঘটনার তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। গত ৪ জুলাই তেল ট্যাংকারটি আটক করার পর থেকে ইরান ও ব্রিটেনের মধ্যে কূটনৈতিক অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ব্রিটেন দাবি করছে- অপরিশোধিত তেল নিয়ে সিরিয়ার উদ্দেশে যাওয়ার সময় জাহাজটি আটক করা হয়। তবে ইরান বলছে জাহাজটি সিরিয়ায় যাচ্ছিল না এবং সিরিয়ার কোন বন্দরেই এ ধরনের জাহাজ ভিড়তে পারে না।

এরপর বৃহস্পতিবার সকালে ওমান ও পারস্য উপসাগরের মাঝামাঝি স্ট্রেইট অব হরমুজে একটি ব্রিটিশ তেল ট্যাংকার প্রতিহতের চেষ্টা করায় একটি ইরানি নৌকাকে সরিয়ে দিয়েছে রয়্যাল নৌবাহিনীর একটি জাহাজ। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ইরানি বিপ্লবী বাহিনীর পাঁচটি নৌকা ব্রিটিশ হেরিটেজ ট্যাংকারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। পরে একটি ব্রিটিশ জাহাজ চলে এলে নৌকাগুলো সরে যায়।

সোমবার, ১৫ জুলাই ২০১৯ , ১ শ্রাবন ১৪২৫, ১১ জিলকদ ১৪৪০

আটক ইরানি নাবিকদের মুক্তি দিল জিব্রাল্টার

শর্তসাপেক্ষে চারজনকে জামিন দেয়া হলেও তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে

সংবাদ ডেস্ক

যুক্তরাজ্য অধিকৃত জিব্রাল্টারে আটক চার ইরানি নাবিককে মুক্তি দিয়েছে দেশটি। পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার তাদের জামিনে মুক্তি দেয়া হয়। সিরিয়ায় তেল সরবরাহের চেষ্টায় তাদের আটক করা হয়েছিল।

সপ্তাহ ধরেই ইরানি ট্যাংকার আটকের প্রতিশোধের হুমকি দিয়ে আসছিল তেহরান। সে সময় ব্রিটিশ রয়েল মেরিন জিব্রাল্টার কর্তৃপক্ষকে একটি ইরানি তেল ট্যাংকার জব্দে সহায়তা করেছিল। তাদের দাবি, ওই ট্যাংকারটি ইইউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সিরিয়ার দিকে এগোচ্ছিল। জবাবে এক ইরানি কর্মকর্তা বলেন, তাদের জাহাজ ছেড়ে না দিলে ব্রিটিশ জাহাজ জব্দ করা উচিত।

এছাড়া ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে তলব করে তারা। পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার সকালে তারা ট্যাংকার থেকে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল। একদিন আগেই ক্যাপ্টেন ও প্রধান কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, শর্তসাপেক্ষে চারজনকে জামিন দেয়া হয়েছে। তবে ঘটনার তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। গত ৪ জুলাই তেল ট্যাংকারটি আটক করার পর থেকে ইরান ও ব্রিটেনের মধ্যে কূটনৈতিক অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ব্রিটেন দাবি করছে- অপরিশোধিত তেল নিয়ে সিরিয়ার উদ্দেশে যাওয়ার সময় জাহাজটি আটক করা হয়। তবে ইরান বলছে জাহাজটি সিরিয়ায় যাচ্ছিল না এবং সিরিয়ার কোন বন্দরেই এ ধরনের জাহাজ ভিড়তে পারে না।

এরপর বৃহস্পতিবার সকালে ওমান ও পারস্য উপসাগরের মাঝামাঝি স্ট্রেইট অব হরমুজে একটি ব্রিটিশ তেল ট্যাংকার প্রতিহতের চেষ্টা করায় একটি ইরানি নৌকাকে সরিয়ে দিয়েছে রয়্যাল নৌবাহিনীর একটি জাহাজ। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ইরানি বিপ্লবী বাহিনীর পাঁচটি নৌকা ব্রিটিশ হেরিটেজ ট্যাংকারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। পরে একটি ব্রিটিশ জাহাজ চলে এলে নৌকাগুলো সরে যায়।