যুদ্ধ বাধলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে ইসরায়েল

হিজবুল্লাহ

হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধ বাধলে নিশ্চিহ্নের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাবে ইসরায়েল। সম্প্রতি লেবাননের শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সাইয়াদ হাসান নাসরাল্লাহ তেল আবিবকে এ হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন। এরআগে, ইসরায়েলের এক সামরিক প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়, হামাস ও তেল আবিবের মধ্যে আরেকটি যুদ্ধ খুব বেশি দূরে নয় । দেশটির সামরিক সংবাদমাধ্যম আনা আহরোনহেইমের বরাতে জেরুজালেম পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে।

নাসরাল্লাহ দাবি করেন, পুরো ইসরায়েল তাদের ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় রয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার পরও অতীতের যে কোনও সময়ের তুলনায় তাদের সংগঠন এখন শক্তিশালী। এক সময় আমরা বলতাম হাইফার দক্ষিণে আমরা আঘাত করতে পারি। এখন আমরা ইসরায়েলের যে কোনও অংশে আঘাত করতে পারব। পুরো ইসরায়েল আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় রয়েছে।’ হিজবুল্লাহর সামরিক সামর্থ্যরে প্রশংসা করে নাসরাল্লাহ জানান, ২০০৬ সালের যেসব ক্ষেপণাস্ত্রের অভাব ছিল, এখন তা নেই। এদিকে, আনা আহরোনহেইমের বিশ্লেষণী প্রতিবেদনে বলা হয়, হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েল মধ্যে যুদ্ধ হলে হলে তা আগের যে কোন যুদ্ধের চেয়ে সবচেয়ে বেশি প্রাণঘাতী ও ধ্বংসাত্মক হবে। ২০০৮ সালে জাতিসংঘের অনুমোদিত এক নির্বাচনে হামাস জয়লাভের পর থেকেই গাজার ওপর অবরোধ আরোপ করে রেখেছে ইসরায়েল ও মিসর। এতে চরম অর্থনৈতিক দুর্দশার মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছে সেখানকার প্রায় ২০ লাখ মানুষ। ২০১৪ সালে হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধে প্রায় আড়াই হাজার প্যলেস্টাইনি নিহত হন। মারা যায় ৬৮ জন ইসরায়েলি সেনা ও ছয় নাগরিক। এরই ধারবাহিকতায় গত মে মাসে দুই পক্ষের সর্বশেষ যুদ্ধে পাঁচ ইসরায়েলি নাগরিক ও ২০ প্যলেস্টাইনি নিহত হয়। শুক্রবার জেরুজালেম পোস্টের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বারবার বলেছেন, ভবিষ্যতে হামাসের সঙ্গে যে কোনও যুদ্ধে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সর্বাত্মক জয় পাবে যাতে অন্য পক্ষ ভবিষ্যতে আবারও যুদ্ধে জড়ানোর আগে দ্বিতীয়বার ভাবে। জেরুজালেম পোস্টের ওই প্রতিদেনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবিব কোচাভি ইতোমধ্যেই যুদ্ধকালীন অভিযান পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন। এছাড়াও যুদ্ধ শুরু হলে উপকূলীয় ভূখ-টির সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তুর তালিকা বানাতে সম্প্রতি একটি প্রশাসনিক ইউনিট গঠন করেছেন সেনাপ্রধান। আগের যুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদের চেয়ে চার গুণ বেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ প্রস্তুত রাখা হয়েছে আর সামরিক গোয়েন্দারা শত শত লক্ষ্যবস্তু প্রস্তুত করে রেখেছে বলে জানিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমটির প্রতিনিধি।

সামরিক প্রতিবেদক আনা আহরোনহেইমের মতে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানে যে পরবর্তী যুদ্ধের অন্তর্ভুক্ত থাকবে ভূমিতে সর্বাত্মক হামলা। আর সে কারণে কয়েক হাজার সেনা সদস্য ট্যাঙ্ক, সামরিক গাড়ি নিয়ে গাজায় প্রবেশ করবে। তাদের সুরক্ষা দেবে আকাশে যুদ্ধবিমান ও নৌবাহিনীর জাহাজ। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত দশ বছরে তিনটি বড় যুদ্ধে গাজা চরমভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে স্বীকার করেছেন জেরুজালেম পোস্টের এ বিশ্লেষক। তিনি বলেন, ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞা শিথিল বা অবরোধের অবসান ঘটানোর জন্য মরিয়া হয়ে আছে হামাস। ওই বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের প্রতি দীর্ঘমেয়াদে গাজা উপত্যকাকে চুপ রাখতে সম্ভাব্য কম সময়ের মধ্যে পরবর্তী যুদ্ধ জয়ের প্রয়োজন।

সোমবার, ১৫ জুলাই ২০১৯ , ১ শ্রাবন ১৪২৫, ১১ জিলকদ ১৪৪০

যুদ্ধ বাধলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে ইসরায়েল

হিজবুল্লাহ

সংবাদ ডেস্ক

হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধ বাধলে নিশ্চিহ্নের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাবে ইসরায়েল। সম্প্রতি লেবাননের শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সাইয়াদ হাসান নাসরাল্লাহ তেল আবিবকে এ হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন। এরআগে, ইসরায়েলের এক সামরিক প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়, হামাস ও তেল আবিবের মধ্যে আরেকটি যুদ্ধ খুব বেশি দূরে নয় । দেশটির সামরিক সংবাদমাধ্যম আনা আহরোনহেইমের বরাতে জেরুজালেম পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে।

নাসরাল্লাহ দাবি করেন, পুরো ইসরায়েল তাদের ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় রয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার পরও অতীতের যে কোনও সময়ের তুলনায় তাদের সংগঠন এখন শক্তিশালী। এক সময় আমরা বলতাম হাইফার দক্ষিণে আমরা আঘাত করতে পারি। এখন আমরা ইসরায়েলের যে কোনও অংশে আঘাত করতে পারব। পুরো ইসরায়েল আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় রয়েছে।’ হিজবুল্লাহর সামরিক সামর্থ্যরে প্রশংসা করে নাসরাল্লাহ জানান, ২০০৬ সালের যেসব ক্ষেপণাস্ত্রের অভাব ছিল, এখন তা নেই। এদিকে, আনা আহরোনহেইমের বিশ্লেষণী প্রতিবেদনে বলা হয়, হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েল মধ্যে যুদ্ধ হলে হলে তা আগের যে কোন যুদ্ধের চেয়ে সবচেয়ে বেশি প্রাণঘাতী ও ধ্বংসাত্মক হবে। ২০০৮ সালে জাতিসংঘের অনুমোদিত এক নির্বাচনে হামাস জয়লাভের পর থেকেই গাজার ওপর অবরোধ আরোপ করে রেখেছে ইসরায়েল ও মিসর। এতে চরম অর্থনৈতিক দুর্দশার মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছে সেখানকার প্রায় ২০ লাখ মানুষ। ২০১৪ সালে হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধে প্রায় আড়াই হাজার প্যলেস্টাইনি নিহত হন। মারা যায় ৬৮ জন ইসরায়েলি সেনা ও ছয় নাগরিক। এরই ধারবাহিকতায় গত মে মাসে দুই পক্ষের সর্বশেষ যুদ্ধে পাঁচ ইসরায়েলি নাগরিক ও ২০ প্যলেস্টাইনি নিহত হয়। শুক্রবার জেরুজালেম পোস্টের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বারবার বলেছেন, ভবিষ্যতে হামাসের সঙ্গে যে কোনও যুদ্ধে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সর্বাত্মক জয় পাবে যাতে অন্য পক্ষ ভবিষ্যতে আবারও যুদ্ধে জড়ানোর আগে দ্বিতীয়বার ভাবে। জেরুজালেম পোস্টের ওই প্রতিদেনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবিব কোচাভি ইতোমধ্যেই যুদ্ধকালীন অভিযান পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন। এছাড়াও যুদ্ধ শুরু হলে উপকূলীয় ভূখ-টির সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তুর তালিকা বানাতে সম্প্রতি একটি প্রশাসনিক ইউনিট গঠন করেছেন সেনাপ্রধান। আগের যুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদের চেয়ে চার গুণ বেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ প্রস্তুত রাখা হয়েছে আর সামরিক গোয়েন্দারা শত শত লক্ষ্যবস্তু প্রস্তুত করে রেখেছে বলে জানিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমটির প্রতিনিধি।

সামরিক প্রতিবেদক আনা আহরোনহেইমের মতে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানে যে পরবর্তী যুদ্ধের অন্তর্ভুক্ত থাকবে ভূমিতে সর্বাত্মক হামলা। আর সে কারণে কয়েক হাজার সেনা সদস্য ট্যাঙ্ক, সামরিক গাড়ি নিয়ে গাজায় প্রবেশ করবে। তাদের সুরক্ষা দেবে আকাশে যুদ্ধবিমান ও নৌবাহিনীর জাহাজ। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত দশ বছরে তিনটি বড় যুদ্ধে গাজা চরমভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে স্বীকার করেছেন জেরুজালেম পোস্টের এ বিশ্লেষক। তিনি বলেন, ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞা শিথিল বা অবরোধের অবসান ঘটানোর জন্য মরিয়া হয়ে আছে হামাস। ওই বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের প্রতি দীর্ঘমেয়াদে গাজা উপত্যকাকে চুপ রাখতে সম্ভাব্য কম সময়ের মধ্যে পরবর্তী যুদ্ধ জয়ের প্রয়োজন।