মামলা করে বাদী বিপাকে

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় সুমি বেগম (২২) নামে এক গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টায় পুলিশের এক এসআইয়ের বাবার বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে পড়েছে বাদী ও তার পরিবার। মামলা করার পর থেকেই প্রতিনিয়ত আসামি বাদীকে মামলা তুলে নিতে হুমকি প্রদান করে আসছে। মামলা তুলে না নেয়ায় গতকাল বাদীর স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ দিয়ে তাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল উপজেলার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের বহরাবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে গেলে বাদী সুমি বেগম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, আমাদের একই বাড়ির সম্পর্কে চাচাশশুর মৃত মালেক মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান হাবিব (৪৫) দীর্ঘদিন ধরে আমাকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল, বিষয়টি আমার স্বামীর মাধ্যমে তার অভিভাবকদের জানানো হয়। এতে আসামি আরও ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৭ জুলাই রাতে আমাকে ঘরের বাইরে একা পেয়ে মুখ বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। এ সময় অনেক ধস্তাধস্তি করে মুখের গামছা ফেলে চিৎকার করলে স্বামী, শাশুড়িসহ বাড়ির অন্যান্য লোকজন ছুটে এলে লম্পট হাবিব পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর গোপালগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তার বিরুদ্ধে আমি বাদী হয়ে একটি মামলা করি।

এরপর থেকে হাবিব এবং তার লোকজন মামলা তুলে আনতে হুমকি দিতে থাকে। মামলা তুলে না আনায় উল্টো আমার স্বামী সওকতের বিরুদ্ধে কোটালীপাড়া থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ করে পুলিশ দিয়ে তাকে ধরে নিয়ে যায়।

কোটালীপাড়া থানার এসআই শেখ শহিদুল ইসলাম জানান সওকত মিয়ার বিরুদ্ধে হাবিব বাদী হয়ে তার মেয়েকে মারপিট করা হয়েছে মর্মে একটি অভিযোগ করেছেন। সেই অভিযোগ এর ভিত্তিতে সওকতকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে হাবিবুর রহমান হাবিবের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পরিকল্পিতভাবে এ মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।

সোমবার, ১৫ জুলাই ২০১৯ , ১ শ্রাবন ১৪২৫, ১১ জিলকদ ১৪৪০

ধর্ষণচেষ্টা পুলিশের বাবার

মামলা করে বাদী বিপাকে

প্রতিনিধি কোটালীপাড়া

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় সুমি বেগম (২২) নামে এক গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টায় পুলিশের এক এসআইয়ের বাবার বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে পড়েছে বাদী ও তার পরিবার। মামলা করার পর থেকেই প্রতিনিয়ত আসামি বাদীকে মামলা তুলে নিতে হুমকি প্রদান করে আসছে। মামলা তুলে না নেয়ায় গতকাল বাদীর স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ দিয়ে তাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল উপজেলার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের বহরাবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে গেলে বাদী সুমি বেগম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, আমাদের একই বাড়ির সম্পর্কে চাচাশশুর মৃত মালেক মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান হাবিব (৪৫) দীর্ঘদিন ধরে আমাকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল, বিষয়টি আমার স্বামীর মাধ্যমে তার অভিভাবকদের জানানো হয়। এতে আসামি আরও ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৭ জুলাই রাতে আমাকে ঘরের বাইরে একা পেয়ে মুখ বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। এ সময় অনেক ধস্তাধস্তি করে মুখের গামছা ফেলে চিৎকার করলে স্বামী, শাশুড়িসহ বাড়ির অন্যান্য লোকজন ছুটে এলে লম্পট হাবিব পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর গোপালগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তার বিরুদ্ধে আমি বাদী হয়ে একটি মামলা করি।

এরপর থেকে হাবিব এবং তার লোকজন মামলা তুলে আনতে হুমকি দিতে থাকে। মামলা তুলে না আনায় উল্টো আমার স্বামী সওকতের বিরুদ্ধে কোটালীপাড়া থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ করে পুলিশ দিয়ে তাকে ধরে নিয়ে যায়।

কোটালীপাড়া থানার এসআই শেখ শহিদুল ইসলাম জানান সওকত মিয়ার বিরুদ্ধে হাবিব বাদী হয়ে তার মেয়েকে মারপিট করা হয়েছে মর্মে একটি অভিযোগ করেছেন। সেই অভিযোগ এর ভিত্তিতে সওকতকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে হাবিবুর রহমান হাবিবের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পরিকল্পিতভাবে এ মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।