ইউপি চেয়ারম্যানসহ দু’জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলার ২নং চরবাটা ইউনিয়নের বিচারপ্রার্থী নারীকে আটকে রেখে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় হাতিয়া সার্কেল পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ চেয়ারম্যানসহ দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছেন। পুলিশের হাতিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার গোলাম ফারুক জানান, ২০১৭ সালের ৪ অক্টোবর এক নারী বিচারপ্রার্থী হয়ে চরবাটা ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেনের কাছে যায়। চেয়ারম্যান কৌশলে তার সহযোগী রবিউল হোসেনের মাধ্যমে ওই নারীকে আটক রেখে রাতভর দুজনে তাকে ধর্ষণ করে। পরদিন ধর্ষণের শিকার নারী চরজব্বর থানায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করে। থানা পুলিশের গাফিলতি পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার মামলাটি জেলা ডিবি পুলিশে হস্তান্তর করে। কিন্তু ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান ২০১৮ সালের ২৬ মার্চ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চূড়ান্ত রিপোর্ট গ্রহণের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ প্রেরণ করলে মামলার কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আদালত মামলাটি পুনঃতদন্ত করার জন্য হাতিয়া সার্কেল পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপারকে নির্দেশনা দেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে সহকারী পুলিশ সুপার গোলাম ফারুক মামলার সত্যতা পেয়ে চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন ও তার সহযোগী রবিউল হোসেনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। গতকাল আদালত তা গ্রহণ করে পরবর্তীতে শুনানির পর আদেশের জন্য রাখেন। এদিকে মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য চেয়ারম্যান ও তার লোকজন মামলার বাদী ও তার আত্মীয়স্বজনকে এলাকাছাড়া করার হুমকি দিচ্ছে।

উল্লেখ্য, দুই আসামি বর্তমানে জামিনে রয়েছে।

সোমবার, ১৫ জুলাই ২০১৯ , ১ শ্রাবন ১৪২৫, ১১ জিলকদ ১৪৪০

সুবর্ণচরে ধর্ষণ মামলা

ইউপি চেয়ারম্যানসহ দু’জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

প্রতিনিধি, নোয়াখালী

নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলার ২নং চরবাটা ইউনিয়নের বিচারপ্রার্থী নারীকে আটকে রেখে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় হাতিয়া সার্কেল পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ চেয়ারম্যানসহ দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছেন। পুলিশের হাতিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার গোলাম ফারুক জানান, ২০১৭ সালের ৪ অক্টোবর এক নারী বিচারপ্রার্থী হয়ে চরবাটা ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেনের কাছে যায়। চেয়ারম্যান কৌশলে তার সহযোগী রবিউল হোসেনের মাধ্যমে ওই নারীকে আটক রেখে রাতভর দুজনে তাকে ধর্ষণ করে। পরদিন ধর্ষণের শিকার নারী চরজব্বর থানায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করে। থানা পুলিশের গাফিলতি পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার মামলাটি জেলা ডিবি পুলিশে হস্তান্তর করে। কিন্তু ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান ২০১৮ সালের ২৬ মার্চ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চূড়ান্ত রিপোর্ট গ্রহণের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ প্রেরণ করলে মামলার কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আদালত মামলাটি পুনঃতদন্ত করার জন্য হাতিয়া সার্কেল পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপারকে নির্দেশনা দেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে সহকারী পুলিশ সুপার গোলাম ফারুক মামলার সত্যতা পেয়ে চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন ও তার সহযোগী রবিউল হোসেনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। গতকাল আদালত তা গ্রহণ করে পরবর্তীতে শুনানির পর আদেশের জন্য রাখেন। এদিকে মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য চেয়ারম্যান ও তার লোকজন মামলার বাদী ও তার আত্মীয়স্বজনকে এলাকাছাড়া করার হুমকি দিচ্ছে।

উল্লেখ্য, দুই আসামি বর্তমানে জামিনে রয়েছে।