মায়ানমারকে অবশ্যই রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য মায়ানমারের প্রতি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, মায়ানমারকে অবশ্যই তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশ থেকে ফেরত নিতে হবে। বাসস।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি-এনিক বুর্দিন গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘ সংস্থাগুলো বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে তাদের জন্য ঘরবাড়ি নির্মাণসহ মায়ানমারের ভেতরে কাজ করতে হবে। কক্সবাজারে ১১ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের সংখ্যা স্থানীয়দের সংখ্যা থেকে ছাড়িয়ে গেছে। ইতিমধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ৪০ হাজার রোহিঙ্গা শিশু জন্ম নিয়েছে।

জবাবে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত তার দেশ রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সহায়তা অব্যাহত রাখবে উল্লেখ করে বলেন, আমরা এই ইস্যুতে শুরু থেকেই বাংলাদেশকে সহায়তা শুরু করেছি এবং এটি অব্যাহত থাকবে।

তবে মারি-এনিক বুর্দিন বলেন, বর্তমানে মায়ানমারের অবস্থা রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার অনুকূল নয়।

রাষ্ট্রদূত জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে ফ্রান্সের ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলেও উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়ন হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ কার্বন নিঃসরণে খুবই দায়ী হলেও দেশটি জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অন্যতম।

তিনি বলেন, ‘দেশের উপকূলীয় জেলাগুলো জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে তার সরকার জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এক হাজার কোটি টাকা দিয়ে একটি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ট্রাস্ট তহবিল গঠন করেছে।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আমরা উপকূলীয় একটি সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলব।

প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করেন যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে প্রথম বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ শুরু করেছিলেন।

শেখ হাসিনা বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে সফলভাবে তার দায়িত্বের মেয়াদ সম্পন্ন করার জন্য অভিনন্দন জানান এবং দু’দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার ও সম্প্রসারিত করার ক্ষেত্রে তার প্রচেষ্টা ও পরিশ্রমের প্রশংসা করেন।

রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন বাংলাদেশের জনগণ ও কর্মকর্তারা খুবই আন্তরিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য মো. নজিবুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর
কুমিল্লায় বিচারকের কক্ষে হত্যাকান্ড
আইসিসির বিশ্বকাপ একাদশে সাকিব
বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণের নিয়ম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ
এইচএসসির ফল প্রকাশ কাল
ট্রেন-মাইক্রো সংঘর্ষে বর-কনেসহ নিহত ১০
নতুন এলাকা প্লাবিত
অধ্যাপক ফারুকের পক্ষে ৬৬ জন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের বিবৃতি
ডেঙ্গু আক্রান্তদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়ার ঘোষণা মেয়র খোকনের
অনুমোদন ছাড়া স্কুল-কলেজ মাদ্রাসা চালু করলে ব্যবস্থা
ভুয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে স্বামী-স্ত্রীর কোটি কোটি টাকা বাণিজ্য
সাভারে ময়লার স্তুপে তরুণীর ৬ টুকরা লাশ
রাজধানীতে নিউ নাইন স্টার গ্যাং গ্রুপের ১১ সদস্য অস্ত্রসহ আটক
ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ

মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০১৯ , ২ শ্রাবন ১৪২৫, ১২ জিলকদ ১৪৪০

মায়ানমারকে অবশ্যই রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য মায়ানমারের প্রতি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, মায়ানমারকে অবশ্যই তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশ থেকে ফেরত নিতে হবে। বাসস।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি-এনিক বুর্দিন গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘ সংস্থাগুলো বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে তাদের জন্য ঘরবাড়ি নির্মাণসহ মায়ানমারের ভেতরে কাজ করতে হবে। কক্সবাজারে ১১ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের সংখ্যা স্থানীয়দের সংখ্যা থেকে ছাড়িয়ে গেছে। ইতিমধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ৪০ হাজার রোহিঙ্গা শিশু জন্ম নিয়েছে।

জবাবে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত তার দেশ রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সহায়তা অব্যাহত রাখবে উল্লেখ করে বলেন, আমরা এই ইস্যুতে শুরু থেকেই বাংলাদেশকে সহায়তা শুরু করেছি এবং এটি অব্যাহত থাকবে।

তবে মারি-এনিক বুর্দিন বলেন, বর্তমানে মায়ানমারের অবস্থা রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার অনুকূল নয়।

রাষ্ট্রদূত জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে ফ্রান্সের ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলেও উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়ন হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ কার্বন নিঃসরণে খুবই দায়ী হলেও দেশটি জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অন্যতম।

তিনি বলেন, ‘দেশের উপকূলীয় জেলাগুলো জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে তার সরকার জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এক হাজার কোটি টাকা দিয়ে একটি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ট্রাস্ট তহবিল গঠন করেছে।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আমরা উপকূলীয় একটি সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলব।

প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করেন যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে প্রথম বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ শুরু করেছিলেন।

শেখ হাসিনা বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে সফলভাবে তার দায়িত্বের মেয়াদ সম্পন্ন করার জন্য অভিনন্দন জানান এবং দু’দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার ও সম্প্রসারিত করার ক্ষেত্রে তার প্রচেষ্টা ও পরিশ্রমের প্রশংসা করেন।

রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন বাংলাদেশের জনগণ ও কর্মকর্তারা খুবই আন্তরিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য মো. নজিবুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।