হিমাচলে ভবন ধস

৫ সৈন্যসহ নিহত ১৭

ভারতের হিমাচল প্রদেশ রাজ্যে একটি বহুতল ভবন ধসে দেশটির সেনাবাহিনীর পাঁচ সৈন্যসহ ১৭ জন নিহত হয়েছেন। গত রোববার স্থানীয় সময় বিকালে শিমলা থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে সোলানে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

হিমাচল প্রদেশের এ ভবনটির ধ্বংসস্তূপের নিচে সাত সৈন্যসহ আরও প্রায় ১২ জন আটকা পড়ে আছেন বলে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস। ধ্বংসস্তূপ থেকে এ পর্যন্ত ১৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১২ জন বেসামরিক ও ছয় সৈন্য রয়েছেন বলে গতকাল এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। উদ্ধারের পর তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভবনটির মালিকের স্ত্রী ও দুই সৈন্যকে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করার পর তাদের মৃত্যু হয়। দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর দুইটি দল সারা রাত ধরে উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে বলে জানায় পুলিশ। তিন তলা ওই ভবনটির নিচ তলায় একটি রেস্তোরাঁ ও উপরে ছোট একটি গেস্ট হাউস ছিল। সেনাবাহিনীর প্রায় ৩০ জন সদস্য ও তাদের পরিবার উত্তরাখান্ড যাওয়ার পথে ওই রেস্তোরাঁয় দুপুরের খাবার খেতে থেমেছিল বলে এক জেলা কর্মকর্তা পিটিআইকে জানান। ওই সময় প্রবল বৃষ্টির মধ্যে পাহাড়ের ঢালুতে দাঁড়িয়ে থাকা ভবনটি ধসে পড়ে। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উদ্ধার অভিযান শুরু হওয়ার পরও কয়েক ঘণ্টা বৃষ্টিপাত অব্যাহত ছিল বলে জানা গেছে। ঘটনার পর অবহেলার অভিযোগ এনে ভবন মালিকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভবনটির ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকাপড়া লোকজনকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে এক টুইটে জানিয়েছেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর। গত রোববার রাতে ওই এলাকায় ভারি বৃষ্টিপাতের পর চন্ডিগড়-শিমলা জাতীয় মহাসড়কের বেশ কয়েকটি এলাকায় ভূমিধসের কারণে সড়কটিতে গাড়ির জট সৃষ্টি হয়েছে।

মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০১৯ , ২ শ্রাবন ১৪২৫, ১২ জিলকদ ১৪৪০

হিমাচলে ভবন ধস

৫ সৈন্যসহ নিহত ১৭

সংবাদ ডেস্ক

image

ভারতের হিমাচল প্রদেশ রাজ্যে একটি বহুতল ভবন ধসে দেশটির সেনাবাহিনীর পাঁচ সৈন্যসহ ১৭ জন নিহত হয়েছেন। গত রোববার স্থানীয় সময় বিকালে শিমলা থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে সোলানে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

হিমাচল প্রদেশের এ ভবনটির ধ্বংসস্তূপের নিচে সাত সৈন্যসহ আরও প্রায় ১২ জন আটকা পড়ে আছেন বলে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস। ধ্বংসস্তূপ থেকে এ পর্যন্ত ১৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১২ জন বেসামরিক ও ছয় সৈন্য রয়েছেন বলে গতকাল এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। উদ্ধারের পর তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভবনটির মালিকের স্ত্রী ও দুই সৈন্যকে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করার পর তাদের মৃত্যু হয়। দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর দুইটি দল সারা রাত ধরে উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে বলে জানায় পুলিশ। তিন তলা ওই ভবনটির নিচ তলায় একটি রেস্তোরাঁ ও উপরে ছোট একটি গেস্ট হাউস ছিল। সেনাবাহিনীর প্রায় ৩০ জন সদস্য ও তাদের পরিবার উত্তরাখান্ড যাওয়ার পথে ওই রেস্তোরাঁয় দুপুরের খাবার খেতে থেমেছিল বলে এক জেলা কর্মকর্তা পিটিআইকে জানান। ওই সময় প্রবল বৃষ্টির মধ্যে পাহাড়ের ঢালুতে দাঁড়িয়ে থাকা ভবনটি ধসে পড়ে। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উদ্ধার অভিযান শুরু হওয়ার পরও কয়েক ঘণ্টা বৃষ্টিপাত অব্যাহত ছিল বলে জানা গেছে। ঘটনার পর অবহেলার অভিযোগ এনে ভবন মালিকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভবনটির ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকাপড়া লোকজনকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে এক টুইটে জানিয়েছেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর। গত রোববার রাতে ওই এলাকায় ভারি বৃষ্টিপাতের পর চন্ডিগড়-শিমলা জাতীয় মহাসড়কের বেশ কয়েকটি এলাকায় ভূমিধসের কারণে সড়কটিতে গাড়ির জট সৃষ্টি হয়েছে।