আজ মরদেহ রংপুর নেয়া হচ্ছে
জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার ও দলীয় নেতাকর্মীরা। এর আগে গতকাল সকাল সোয়া ১০টায় সিএমএইচ থেকে তার মরদেহ জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় আনা হয়। বৈরী আবহাওয়ার কারণে সংসদের দক্ষিণ প্লাজার বদলে দক্ষিণ প্লাজার নিচের টানেলে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শুরু আগে এরশাদের জীবনী পাঠ করেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা। এতে বক্তব্য রাখেন এরশাদের ভাই জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের এ সময় সবার কাছে এরশাদের জন্য দোয়া চান তার স্ত্রী রওশন এরশাদ। দ্বিতীয় জানাজায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, ডেপুটি স্পিকার শেখ ফজলে রাব্বী মিয়া, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, সংসদের প্রধান হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, আওয়ামী লীগ সিনিয়র নেতা তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মাহবুবউল আলম হানিফ, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বিএনপি নেতা ব্যরিস্টার মওদুদ আহমদ, জিএম সিরাজ, জাতীয় পার্টির নেতা রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, আবু হোসেন বাবলা, মুজিবুল হক চুন্নু, আনিসুল ইসলাম মাহমুদসহ দলীয় নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছেন। জানাজা শেষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের কফিনে। এরপর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার সামরিক সচিব, স্পিকারের পক্ষে সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস এবং ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিরোধীদলীয় নেতার কফিনে।
এরপর দুপুর ১২টায় কাকরাইলের দলীয় কার্যালয়ের সামনে লাশবাহী ফ্রিজার ভ্যানে তার মরদেহ আনা হয়। আগে থেকে দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান নেয় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা নেতাকর্মীরা। কার্যালয়ে সামনে লাশবাহী গাড়ি প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেক নেতাকর্মী। এ সময় এক হৃদয়বিদায়ক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। দলীয়প্রধানের লাশ একনজর দেখার জন্য সবাই ভিড় করেন কফিনের সামনে। পরে দীর্ঘ লাইনে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান দলের নেতাকর্মীরা। প্রথমে দলের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে এরশাদের কফিনে শ্রদ্ধা জানান জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা। পরে একে একে তাকে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা জানায় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারাও। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীর শ্রদ্ধা জানানোর পর বাদ আসর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা পড়ান বায়তুল মোকাররমের খতিব মিজানুর রহমান। জানাজা শেষে তার মরদেহ পুনরায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) হিমঘরে রাখা হয়। আজ সকালে হেলিকপ্টারে সাবেক রাষ্ট্রপতির মরদেহটি রংপুরে নেয়া হবে। সকাল সাড়ে ১০টায় রংপুর ঈদগাহ মাঠে তার শেষ জানাজা হওয়ার কথা রয়েছে। এই জানাজা শেষে তাকে আবার হেলিকপ্টারে ঢাকায় এনে ওই দিন বাদ জোহর সেনা কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে দলীয় সূত্র জানায়। এর আগে গত রোববার দুপুরে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা সেনানিবাসে সেনা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে। বায়তুল মোকাররমে তৃতীয় ও রংপুরে চতুর্থ জানাজা শেষে আজ বিকালে ঢাকায় সেনাবাহিনীর কবরস্থানে দাফন করার কথা রয়েছে। তবে রংপুরের দলীয় নেতাকর্মীদের দাবি রংপুর এরশাদের পল্লীনিবাসে তাকে দাফন করা। রক্তের ক্যান্সার মাইডোলিসপ্লাস্টিক সিনড্রোমে আক্রান্ত এরশাদ ১০ দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর গত রোববার সকালে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মারা যান। জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এরশাদের মৃত্যুতে তিন দিনের শোক পালন করছে দলটি।
মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০১৯ , ২ শ্রাবন ১৪২৫, ১২ জিলকদ ১৪৪০
আজ মরদেহ রংপুর নেয়া হচ্ছে
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার ও দলীয় নেতাকর্মীরা। এর আগে গতকাল সকাল সোয়া ১০টায় সিএমএইচ থেকে তার মরদেহ জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় আনা হয়। বৈরী আবহাওয়ার কারণে সংসদের দক্ষিণ প্লাজার বদলে দক্ষিণ প্লাজার নিচের টানেলে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শুরু আগে এরশাদের জীবনী পাঠ করেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা। এতে বক্তব্য রাখেন এরশাদের ভাই জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের এ সময় সবার কাছে এরশাদের জন্য দোয়া চান তার স্ত্রী রওশন এরশাদ। দ্বিতীয় জানাজায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, ডেপুটি স্পিকার শেখ ফজলে রাব্বী মিয়া, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, সংসদের প্রধান হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, আওয়ামী লীগ সিনিয়র নেতা তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মাহবুবউল আলম হানিফ, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বিএনপি নেতা ব্যরিস্টার মওদুদ আহমদ, জিএম সিরাজ, জাতীয় পার্টির নেতা রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, আবু হোসেন বাবলা, মুজিবুল হক চুন্নু, আনিসুল ইসলাম মাহমুদসহ দলীয় নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছেন। জানাজা শেষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের কফিনে। এরপর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার সামরিক সচিব, স্পিকারের পক্ষে সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস এবং ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিরোধীদলীয় নেতার কফিনে।
এরপর দুপুর ১২টায় কাকরাইলের দলীয় কার্যালয়ের সামনে লাশবাহী ফ্রিজার ভ্যানে তার মরদেহ আনা হয়। আগে থেকে দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান নেয় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা নেতাকর্মীরা। কার্যালয়ে সামনে লাশবাহী গাড়ি প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেক নেতাকর্মী। এ সময় এক হৃদয়বিদায়ক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। দলীয়প্রধানের লাশ একনজর দেখার জন্য সবাই ভিড় করেন কফিনের সামনে। পরে দীর্ঘ লাইনে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান দলের নেতাকর্মীরা। প্রথমে দলের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে এরশাদের কফিনে শ্রদ্ধা জানান জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা। পরে একে একে তাকে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা জানায় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারাও। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীর শ্রদ্ধা জানানোর পর বাদ আসর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা পড়ান বায়তুল মোকাররমের খতিব মিজানুর রহমান। জানাজা শেষে তার মরদেহ পুনরায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) হিমঘরে রাখা হয়। আজ সকালে হেলিকপ্টারে সাবেক রাষ্ট্রপতির মরদেহটি রংপুরে নেয়া হবে। সকাল সাড়ে ১০টায় রংপুর ঈদগাহ মাঠে তার শেষ জানাজা হওয়ার কথা রয়েছে। এই জানাজা শেষে তাকে আবার হেলিকপ্টারে ঢাকায় এনে ওই দিন বাদ জোহর সেনা কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে দলীয় সূত্র জানায়। এর আগে গত রোববার দুপুরে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা সেনানিবাসে সেনা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে। বায়তুল মোকাররমে তৃতীয় ও রংপুরে চতুর্থ জানাজা শেষে আজ বিকালে ঢাকায় সেনাবাহিনীর কবরস্থানে দাফন করার কথা রয়েছে। তবে রংপুরের দলীয় নেতাকর্মীদের দাবি রংপুর এরশাদের পল্লীনিবাসে তাকে দাফন করা। রক্তের ক্যান্সার মাইডোলিসপ্লাস্টিক সিনড্রোমে আক্রান্ত এরশাদ ১০ দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর গত রোববার সকালে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মারা যান। জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এরশাদের মৃত্যুতে তিন দিনের শোক পালন করছে দলটি।