ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুটি হত্যা মামলার রায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া আরও ৬ আসামিকে দেয়া হয়েছে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা। গতকাল জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সফিউল আজম এসব মামলার রায় প্রদান করেন।
জেলা শহরের পশ্চিম মেড্ডা এলাকার তুষার মিয়া হত্যা মামলায় ৩ আসামি মোমেন, সুমন ও ফাহাদ মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করা হয়। তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। হত্যা মামলার অপর ৬ আসামির মধ্যে হৃদয় মিয়া ও তফসির মিয়াকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করের আদালত। আসামি সবুজ, তারেক মিয়া, রনেল ও আমিনুল ইসলামকে ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়।
২০১১ সালের ২৯ জুন একটি মোবাইল চুরির ঘটনা কেন্দ্র করে তুষারকে হত্যা করা হয়। মামলার ৯ আসামির মধ্যে ৮ জন একটি ক্লাব থেকে মোবাইল চুরি করে। এটি তুষারের বড় ভাই দেখে ফেলে। এর জেরে পরিকল্পিতভাবে আসামিরা তুষারকে হত্যা করে। এ ব্যাপারে তুষারের মামা সাজ্জাদ মাহমুদ জিল্লু ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।
অপরদিকে বিজয়নগর উপজেলার ছতুরপুর এলাকার সিএনজি অটোরিকশাচালক সোহরাব চৌধুরী হত্যা মামলার রায়ে মামলার ৩ আসামি মহররম আলী, আলমগীর ওরফে শাহিন ও আবদুল কাদিরকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়। এছাড়া ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তাদের প্রত্যেককে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। ২০১৫ সালের ২৩ এপ্রিল একই উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের বুল্লা এলাকার একটি পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর দু’দিন আগে ২১ এপ্রিল তিনি বাড়ি থেকে সিএনজি নিয়ে বের হন। তার সিএনজি ছিনতাই করে নিতে হত্যার ঘটনা ঘটানো হয়। এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই মো. সাচ্চু চৌধুরী বিজয়নগর থানায় হত্যা মামলা করেন।
মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০১৯ , ২ শ্রাবন ১৪২৫, ১২ জিলকদ ১৪৪০
প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুটি হত্যা মামলার রায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া আরও ৬ আসামিকে দেয়া হয়েছে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা। গতকাল জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সফিউল আজম এসব মামলার রায় প্রদান করেন।
জেলা শহরের পশ্চিম মেড্ডা এলাকার তুষার মিয়া হত্যা মামলায় ৩ আসামি মোমেন, সুমন ও ফাহাদ মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করা হয়। তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। হত্যা মামলার অপর ৬ আসামির মধ্যে হৃদয় মিয়া ও তফসির মিয়াকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করের আদালত। আসামি সবুজ, তারেক মিয়া, রনেল ও আমিনুল ইসলামকে ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়।
২০১১ সালের ২৯ জুন একটি মোবাইল চুরির ঘটনা কেন্দ্র করে তুষারকে হত্যা করা হয়। মামলার ৯ আসামির মধ্যে ৮ জন একটি ক্লাব থেকে মোবাইল চুরি করে। এটি তুষারের বড় ভাই দেখে ফেলে। এর জেরে পরিকল্পিতভাবে আসামিরা তুষারকে হত্যা করে। এ ব্যাপারে তুষারের মামা সাজ্জাদ মাহমুদ জিল্লু ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।
অপরদিকে বিজয়নগর উপজেলার ছতুরপুর এলাকার সিএনজি অটোরিকশাচালক সোহরাব চৌধুরী হত্যা মামলার রায়ে মামলার ৩ আসামি মহররম আলী, আলমগীর ওরফে শাহিন ও আবদুল কাদিরকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়। এছাড়া ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তাদের প্রত্যেককে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। ২০১৫ সালের ২৩ এপ্রিল একই উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের বুল্লা এলাকার একটি পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর দু’দিন আগে ২১ এপ্রিল তিনি বাড়ি থেকে সিএনজি নিয়ে বের হন। তার সিএনজি ছিনতাই করে নিতে হত্যার ঘটনা ঘটানো হয়। এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই মো. সাচ্চু চৌধুরী বিজয়নগর থানায় হত্যা মামলা করেন।