ব্যাংকের এমডিদের সঙ্গে বসছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ব্যাংকিং খাতের সমস্যা ও সংকট নিয়ে বিশেষ নির্দেশনা দিতে দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের বৈঠক ডেকেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২১ জুলাই দুপুর ৩টায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে বৈঠকের বিষয়টি জানিয়ে তফসিলভুক্ত ৫৯টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) চিঠি দেয়া হয়েছে।

বৈঠকে দেশের ব্যাংকিং খাতের বিদ্যমান তারল্য সংকট, ঋণ ও আমানতের ঊর্ধ্বমুখী সুদহার নিয়ন্ত্রণ, খেলাপি ঋণের লাগাম টানা, মার্জার-অ্যাকুইজিশন ও দেউলিয়া আইন প্রবর্তন, আইনি কাঠামো ও অর্থঋণ আদালতের সংস্কার বিষয়ে পর্যালোচনাসহ অন্তত এক ডজন বিষয়ে আলোচনা হবে। বিদায়ী অর্থবছরের জন্য ঘোষিত মুদ্রানীতি পর্যালোচনা এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরের মুদ্রানীতির কৌশল ও লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের বিষয়টিও বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

চিঠিপ্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক তিন মাস অন্তর ব্যাংক নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠক করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২১ এপ্রিলের বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। বৈঠকের আলোচ্যসূচির বিষয়ে কিছু জানি না। তবে সর্বশেষ বৈঠকের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনাসহ ব্যাংকিং খাতের বিদ্যমান সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ব্যাংক নির্বাহীদের সর্বশেষ বৈঠক হয় চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি। গভর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক, আদালতের বাইরে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির (এডিআর) জন্য গঠিত বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টারের (বিয়াক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ এ (রুমি) আলী, সরকারি-বেসরকারি ও বিদেশি খাতের ৫৭টি ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীরা অংশ নেন। ওই বৈঠকে ব্যাংক এমডিরা স্বেচ্ছায় ঋণখেলাপিদের সামাজিকভাবে বয়কটের আহ্বান জানান। এজন্য তাদের পক্ষ থেকে কিছু কর্মপন্থাও তুলে ধরা হয়।

এছাড়া সে সময় খেলাপি ঋণ কমাতে আইন ও আইনি কাঠামো সংস্কার এবং যুগোপযোগী করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন। ওই সময় তিনি বলেছিলেন, ব্যাংক কোম্পানি আইন, অর্থঋণ আদালত আইন ও দেউলিয়া আইনের কিছু বিষয় সংস্কার দরকার। আমরা নিজেরাও বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি এবং ব্যাংকাররাও দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক তিনটি কমিটি গঠন করেছে। অনেকেই ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যাংকের দায় পরিশোধ না করে আদালতে চলে যাচ্ছেন। সেখান থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসছেন। কোন পক্ষ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেটি বিবেচনায় রেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা চাই প্রকৃত ব্যবসায়ীরা যেন হয়রানির শিকার না হন। তবে ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের ধরা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, ৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বৈঠকে আইন ও আইনি কাঠামো সংস্কার বিষয়ে বেশকিছু সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ওই সিদ্ধান্তের আলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশকিছু কাজ সমাপ্ত করেছে। খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য আদালতের বাইরে এডিআর বিষয়ে বিয়াকও বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে। এরই মধ্যে ব্যাংক নির্বাহীসহ সংশ্লিষ্টদের মতামত নিয়ে বিয়াক এডিআর বিষয়ে একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছে। ২১ জুলাইয়ের বৈঠকে ওই খসড়া নীতিমালাটি উপস্থাপন করা হবে। নীতিমালায় ২৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণকে এডিআরের মাধ্যমে নিষ্পত্তির বিধান রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া আইন সংস্কার ও যুগোপযোগী করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গঠিত কমিটিগুলোর সুপারিশ ব্যাংক নির্বাহীদের বৈঠকে তুলে ধরা হবে।

দেশের ব্যাংকিং খাতে দেড় বছর ধরেই তারল্য সংকট চলছে। ঋণ প্রবৃদ্ধির তুলনায় আমানতের প্রবৃদ্ধি অনেক কম হওয়ায় এ সংকট দিন দিন আরও তীব্র হচ্ছে। ফলে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বেসরকারি খাতে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ঋণ বিতরণ করতে পারেনি ব্যাংকগুলো। ২০১৮ সালের মে থেকে ২০১৯ সালের মে পর্যন্ত এক বছরে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে মাত্র ১২ দশমিক ১৬ শতাংশ। যদিও এ সময়ে ঘোষিত মুদ্রানীতিতে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাড়ে ১৬ শতাংশ। মুদ্রানীতির এ সূচকের পাশাপাশি অন্য অনেক লক্ষ্যও বাস্তবায়ন হয়নি। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে তিন গুণেরও বেশি ঋণ গিয়েছে সরকারি খাতে। চলতি অর্থবছরে সরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি আরও বাড়বে। এ অবস্থায় ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়নের কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২১ জুলাই বৈঠকে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যাংক এমডিদের কাছে মতামত চাওয়া হবে।

তারল্য সংকটের কারণে ব্যাংকঋণের সুদহার ১২ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত উঠেছে। যদিও সরকার কয়েক দফায় ঘোষণা দিয়েছে ঋণের সুদহার ৯ শতাংশে নামিয়ে আনার। বেসরকারি খাতের বেশিরভাগ ব্যাংক এখনো ১০ শতাংশের বেশি সুদ দিয়ে আমানত সংগ্রহ করছে। এ অবস্থায় ঋণের সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনার ঘোষণা বাস্তবায়ন হবে না বলেই মনে করছেন ব্যাংকাররা। যদিও গত সপ্তাহেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঋণের সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনার পরামর্শ দিয়ে ব্যাংক এমডিদের চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী রোববার ব্যাংক নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।

বুধবার, ১৭ জুলাই ২০১৯ , ৩ শ্রাবন ১৪২৫, ১৩ জিলকদ ১৪৪০

সুদহার ও খেলাপি ঋণ

ব্যাংকের এমডিদের সঙ্গে বসছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

ব্যাংকিং খাতের সমস্যা ও সংকট নিয়ে বিশেষ নির্দেশনা দিতে দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের বৈঠক ডেকেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২১ জুলাই দুপুর ৩টায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে বৈঠকের বিষয়টি জানিয়ে তফসিলভুক্ত ৫৯টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) চিঠি দেয়া হয়েছে।

বৈঠকে দেশের ব্যাংকিং খাতের বিদ্যমান তারল্য সংকট, ঋণ ও আমানতের ঊর্ধ্বমুখী সুদহার নিয়ন্ত্রণ, খেলাপি ঋণের লাগাম টানা, মার্জার-অ্যাকুইজিশন ও দেউলিয়া আইন প্রবর্তন, আইনি কাঠামো ও অর্থঋণ আদালতের সংস্কার বিষয়ে পর্যালোচনাসহ অন্তত এক ডজন বিষয়ে আলোচনা হবে। বিদায়ী অর্থবছরের জন্য ঘোষিত মুদ্রানীতি পর্যালোচনা এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরের মুদ্রানীতির কৌশল ও লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের বিষয়টিও বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

চিঠিপ্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক তিন মাস অন্তর ব্যাংক নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠক করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২১ এপ্রিলের বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। বৈঠকের আলোচ্যসূচির বিষয়ে কিছু জানি না। তবে সর্বশেষ বৈঠকের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনাসহ ব্যাংকিং খাতের বিদ্যমান সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ব্যাংক নির্বাহীদের সর্বশেষ বৈঠক হয় চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি। গভর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক, আদালতের বাইরে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির (এডিআর) জন্য গঠিত বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টারের (বিয়াক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ এ (রুমি) আলী, সরকারি-বেসরকারি ও বিদেশি খাতের ৫৭টি ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীরা অংশ নেন। ওই বৈঠকে ব্যাংক এমডিরা স্বেচ্ছায় ঋণখেলাপিদের সামাজিকভাবে বয়কটের আহ্বান জানান। এজন্য তাদের পক্ষ থেকে কিছু কর্মপন্থাও তুলে ধরা হয়।

এছাড়া সে সময় খেলাপি ঋণ কমাতে আইন ও আইনি কাঠামো সংস্কার এবং যুগোপযোগী করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন। ওই সময় তিনি বলেছিলেন, ব্যাংক কোম্পানি আইন, অর্থঋণ আদালত আইন ও দেউলিয়া আইনের কিছু বিষয় সংস্কার দরকার। আমরা নিজেরাও বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি এবং ব্যাংকাররাও দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক তিনটি কমিটি গঠন করেছে। অনেকেই ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যাংকের দায় পরিশোধ না করে আদালতে চলে যাচ্ছেন। সেখান থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসছেন। কোন পক্ষ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেটি বিবেচনায় রেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা চাই প্রকৃত ব্যবসায়ীরা যেন হয়রানির শিকার না হন। তবে ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের ধরা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, ৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বৈঠকে আইন ও আইনি কাঠামো সংস্কার বিষয়ে বেশকিছু সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ওই সিদ্ধান্তের আলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশকিছু কাজ সমাপ্ত করেছে। খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য আদালতের বাইরে এডিআর বিষয়ে বিয়াকও বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে। এরই মধ্যে ব্যাংক নির্বাহীসহ সংশ্লিষ্টদের মতামত নিয়ে বিয়াক এডিআর বিষয়ে একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছে। ২১ জুলাইয়ের বৈঠকে ওই খসড়া নীতিমালাটি উপস্থাপন করা হবে। নীতিমালায় ২৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণকে এডিআরের মাধ্যমে নিষ্পত্তির বিধান রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া আইন সংস্কার ও যুগোপযোগী করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গঠিত কমিটিগুলোর সুপারিশ ব্যাংক নির্বাহীদের বৈঠকে তুলে ধরা হবে।

দেশের ব্যাংকিং খাতে দেড় বছর ধরেই তারল্য সংকট চলছে। ঋণ প্রবৃদ্ধির তুলনায় আমানতের প্রবৃদ্ধি অনেক কম হওয়ায় এ সংকট দিন দিন আরও তীব্র হচ্ছে। ফলে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বেসরকারি খাতে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ঋণ বিতরণ করতে পারেনি ব্যাংকগুলো। ২০১৮ সালের মে থেকে ২০১৯ সালের মে পর্যন্ত এক বছরে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে মাত্র ১২ দশমিক ১৬ শতাংশ। যদিও এ সময়ে ঘোষিত মুদ্রানীতিতে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাড়ে ১৬ শতাংশ। মুদ্রানীতির এ সূচকের পাশাপাশি অন্য অনেক লক্ষ্যও বাস্তবায়ন হয়নি। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে তিন গুণেরও বেশি ঋণ গিয়েছে সরকারি খাতে। চলতি অর্থবছরে সরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি আরও বাড়বে। এ অবস্থায় ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়নের কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২১ জুলাই বৈঠকে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যাংক এমডিদের কাছে মতামত চাওয়া হবে।

তারল্য সংকটের কারণে ব্যাংকঋণের সুদহার ১২ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত উঠেছে। যদিও সরকার কয়েক দফায় ঘোষণা দিয়েছে ঋণের সুদহার ৯ শতাংশে নামিয়ে আনার। বেসরকারি খাতের বেশিরভাগ ব্যাংক এখনো ১০ শতাংশের বেশি সুদ দিয়ে আমানত সংগ্রহ করছে। এ অবস্থায় ঋণের সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনার ঘোষণা বাস্তবায়ন হবে না বলেই মনে করছেন ব্যাংকাররা। যদিও গত সপ্তাহেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঋণের সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনার পরামর্শ দিয়ে ব্যাংক এমডিদের চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী রোববার ব্যাংক নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।