বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস-২০১৯

২০২১ সাল থেকে সব স্কুল-মাদ্রাসায় কারিগরি শিক্ষা বাধ্যতামূলক

বাংলাদেশে প্রতি বছর ২২ লাখ লোক শ্রমবাজারে প্রবেশ করে, কিন্তু কর্মসংস্থানের জন্য যে পরিমাণ দক্ষতা দরকার তা তাদের নেই। ফলে অধিকাংশই দক্ষতা নিয়ে কর্মবাজারে বা শ্রমবাজারে প্রবেশ করে না। কাজেই তাদের কর্মসংস্থান ঠিকমতো হয় না আর দেশের যে পরিমাণ উৎপাদনশীলতা থাকার কথা, অভিষ্ঠ লক্ষ্য অর্জনে যেভাবে এগিয়ে যাওয়ার কথা সেই কাজটিও ব্যহত হচ্ছে। আর দেশে ও বিদেশের শ্রমবাজারে আমাদের শ্রমশক্তির মান তেমনভাবে গ্রহণযোগ্যতা পায় না। কাজেই আমাদের দেশের বিশাল জনসংখ্যাকে আমরা দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সোমবার বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস-২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় ১৫ জুলাই বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস-২০১৯ উদযাপিত হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ) এ উপলক্ষে র‌্যালি ও আয়োজিত আলোচনা সভা আয়োজন করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। স্বাগত বক্তব্য দেন এনএসডিএ-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. ফারুক হোসেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান।

এ উপলক্ষে আয়োজিত জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আমাদের কর্মীরা বিদেশে অনেক পরিশ্রম করছেন কিন্তু শ্রমের যথাযথ মূল্যায়ন পাচ্ছেন না দক্ষতার অভাবে। যে কোন প্রতিযোগিতায় দক্ষতার বিকল্প নেই, দক্ষতা প্রয়োজন জীবনব্যাপী।

প্রধানমন্ত্রী ২০২৩ সালের মধ্যে ১.৫ কোটি তরুণের কর্মসংস্থানের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। এই প্রয়োজনীয়তার অনুভব থেকেই জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে পরিণত করতে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়েছে। দেশে সাধারণ বিদ্যালয়গুলোতেও কারিগরি শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করছি। আগামী বছর থেকে ৬৪০টি বিদ্যালয় কারিগরি শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত করছি। ২০২১ সাল থেকে সব বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় কারিগরি শিক্ষা বাধ্যতামূলকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত একটি প্রাথমিক ধারণা দেয়া হবে এবং নবম-দশম শ্রেণীতে একটি বিষয়ে প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, কর্মসংস্থানের জন্য শিক্ষিতসহ সব যুবসমাজই অন্তর্ভুক্ত। এই শিক্ষিত যুবকের শিক্ষাটা কোন কাজে লাগে না যদি বিশেষ কোন দক্ষতা না থাকে। কোন শ্রমিক যদি বিশেষ দক্ষতা অর্জন না করে বিদেশে যায় তাহলে তারা বিদেশে ভালো মূল্য পায় না। যদি বেতন বেশি পেতে হয় সেই ক্ষেত্রে দক্ষতা প্রশিক্ষণ নিয়েই তা অর্জন করতে হয় কারণ আজকের দিনে অদক্ষ কর্মীর মূল্য নেই। বিদেশে যারা যাবে তাদের দক্ষ হয়ে যেতে হবে। বর্তমান সরকার দক্ষতা প্রশিক্ষণের জন্য প্রতি উপজেলায় একটি করে প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান গঠন করবে।

বুধবার, ১৭ জুলাই ২০১৯ , ৩ শ্রাবন ১৪২৫, ১৩ জিলকদ ১৪৪০

বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস-২০১৯

২০২১ সাল থেকে সব স্কুল-মাদ্রাসায় কারিগরি শিক্ষা বাধ্যতামূলক

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

বাংলাদেশে প্রতি বছর ২২ লাখ লোক শ্রমবাজারে প্রবেশ করে, কিন্তু কর্মসংস্থানের জন্য যে পরিমাণ দক্ষতা দরকার তা তাদের নেই। ফলে অধিকাংশই দক্ষতা নিয়ে কর্মবাজারে বা শ্রমবাজারে প্রবেশ করে না। কাজেই তাদের কর্মসংস্থান ঠিকমতো হয় না আর দেশের যে পরিমাণ উৎপাদনশীলতা থাকার কথা, অভিষ্ঠ লক্ষ্য অর্জনে যেভাবে এগিয়ে যাওয়ার কথা সেই কাজটিও ব্যহত হচ্ছে। আর দেশে ও বিদেশের শ্রমবাজারে আমাদের শ্রমশক্তির মান তেমনভাবে গ্রহণযোগ্যতা পায় না। কাজেই আমাদের দেশের বিশাল জনসংখ্যাকে আমরা দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সোমবার বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস-২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় ১৫ জুলাই বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস-২০১৯ উদযাপিত হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ) এ উপলক্ষে র‌্যালি ও আয়োজিত আলোচনা সভা আয়োজন করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। স্বাগত বক্তব্য দেন এনএসডিএ-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. ফারুক হোসেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান।

এ উপলক্ষে আয়োজিত জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আমাদের কর্মীরা বিদেশে অনেক পরিশ্রম করছেন কিন্তু শ্রমের যথাযথ মূল্যায়ন পাচ্ছেন না দক্ষতার অভাবে। যে কোন প্রতিযোগিতায় দক্ষতার বিকল্প নেই, দক্ষতা প্রয়োজন জীবনব্যাপী।

প্রধানমন্ত্রী ২০২৩ সালের মধ্যে ১.৫ কোটি তরুণের কর্মসংস্থানের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। এই প্রয়োজনীয়তার অনুভব থেকেই জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে পরিণত করতে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়েছে। দেশে সাধারণ বিদ্যালয়গুলোতেও কারিগরি শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করছি। আগামী বছর থেকে ৬৪০টি বিদ্যালয় কারিগরি শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত করছি। ২০২১ সাল থেকে সব বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় কারিগরি শিক্ষা বাধ্যতামূলকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত একটি প্রাথমিক ধারণা দেয়া হবে এবং নবম-দশম শ্রেণীতে একটি বিষয়ে প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, কর্মসংস্থানের জন্য শিক্ষিতসহ সব যুবসমাজই অন্তর্ভুক্ত। এই শিক্ষিত যুবকের শিক্ষাটা কোন কাজে লাগে না যদি বিশেষ কোন দক্ষতা না থাকে। কোন শ্রমিক যদি বিশেষ দক্ষতা অর্জন না করে বিদেশে যায় তাহলে তারা বিদেশে ভালো মূল্য পায় না। যদি বেতন বেশি পেতে হয় সেই ক্ষেত্রে দক্ষতা প্রশিক্ষণ নিয়েই তা অর্জন করতে হয় কারণ আজকের দিনে অদক্ষ কর্মীর মূল্য নেই। বিদেশে যারা যাবে তাদের দক্ষ হয়ে যেতে হবে। বর্তমান সরকার দক্ষতা প্রশিক্ষণের জন্য প্রতি উপজেলায় একটি করে প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান গঠন করবে।