খুলনায় ৫ জনের মৃত্যুদন্ড

খুলনায় এক্সিম ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা পারভীন সুলতানাকে গণধর্ষণের পর তাকে ও তার বাবা ইলিয়াছ আলীকে হত্যা মামলায় পাঁচ আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ৩নং ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মহিদুজ্জামান এ রায় দেন।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলো- খুলনার লবণচরা থানাধীন বুড়ো মৌলভীর দরগা রোডের বাসিন্দা শেখ আবদুল জলিলের ছেলে সাইফুল ইসলাম পিটিল (৩০), তার ভাই শরিফুল (২৭), আবুল কালামের ছেলে লিটন (২৮), অহিদুল ইসলামের ছেলে আবু সাঈদ (২৫) ও মৃত সেকেন্দারের ছেলে আজিজুর রহমান পলাশ (২৬)। এদের মধ্যে শরিফুল পলাতক রয়েছে।

হত্যাকান্ডের মামলায় ২২ জন এবং গণধর্ষণের মামলায় ২৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে আদালত। আসামিদের দুইজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে লোমহর্ষক এ হত্যাকান্ডের বর্ণনা রয়েছে। চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ৩নং ট্রাইব্যুনালে মামলাটির যুক্তিতর্ক শুরু হয়।

মামলার তদন্ত চলাকালে হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত পাঁচজনের মধ্যে চারজন গ্রেফতার হয়। এছাড়া গ্রেফতার করা হয় সাইফুল ইসলামের স্ত্রী আসমা খাতুন, নোয়াব আলি গাজী ও আসলাম মিস্ত্রি নামের এক সন্দেহভাজনকে। তাদের মধ্যে লিটন ও সাঈদের স্বীকারোক্তিতে ওঠে আসে লোমহর্ষক হত্যাকান্ডের ঘটনা।

এ দুজন তাদের জবানবন্দিতে জানায়, ব্যাংক কর্মকর্তা পারভীন অফিসে আসা-যাওয়ার পথে তাকে কুপ্রস্তাব দেয়াসহ নানাভাবে যৌন হয়রানি করা হতো। এর প্রতিবাদ করায় ঘটনার দিন রাতে বাড়ির দেয়াল টপকে ভেতরে ঢোকে পাঁচ আসামি। এরপর অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পারভীনের বাবাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পাশের কক্ষে থাকা পারভীনকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে বাবা-মেয়ের লাশ সেফটিক ট্যাংকির ভেতরে ফেলে দেয়। পরে ঘরের জিনিসপত্র লুট করে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় লবণচরা থানায় পারভীনের ভাই রেজাউল আলম চৌধুরী বিল্পব বাদী হয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর একটি হত্যা মামলা করেন। আর পারভীনকে গণধর্ষণ ও হত্যায় মামলা হয় ২২ সেপ্টেম্বর। ২০১৬ সালের ৯ মে হত্যাকান্ডের ও একই বছরের ২৪ মার্চ গণধর্ষণের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কাজী বাবুল ওই পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

বুধবার, ১৭ জুলাই ২০১৯ , ৩ শ্রাবন ১৪২৫, ১৩ জিলকদ ১৪৪০

ধর্ষণের পর হত্যা

খুলনায় ৫ জনের মৃত্যুদন্ড

প্রতিনিধি, খুলনা

খুলনায় এক্সিম ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা পারভীন সুলতানাকে গণধর্ষণের পর তাকে ও তার বাবা ইলিয়াছ আলীকে হত্যা মামলায় পাঁচ আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ৩নং ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মহিদুজ্জামান এ রায় দেন।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলো- খুলনার লবণচরা থানাধীন বুড়ো মৌলভীর দরগা রোডের বাসিন্দা শেখ আবদুল জলিলের ছেলে সাইফুল ইসলাম পিটিল (৩০), তার ভাই শরিফুল (২৭), আবুল কালামের ছেলে লিটন (২৮), অহিদুল ইসলামের ছেলে আবু সাঈদ (২৫) ও মৃত সেকেন্দারের ছেলে আজিজুর রহমান পলাশ (২৬)। এদের মধ্যে শরিফুল পলাতক রয়েছে।

হত্যাকান্ডের মামলায় ২২ জন এবং গণধর্ষণের মামলায় ২৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে আদালত। আসামিদের দুইজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে লোমহর্ষক এ হত্যাকান্ডের বর্ণনা রয়েছে। চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ৩নং ট্রাইব্যুনালে মামলাটির যুক্তিতর্ক শুরু হয়।

মামলার তদন্ত চলাকালে হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত পাঁচজনের মধ্যে চারজন গ্রেফতার হয়। এছাড়া গ্রেফতার করা হয় সাইফুল ইসলামের স্ত্রী আসমা খাতুন, নোয়াব আলি গাজী ও আসলাম মিস্ত্রি নামের এক সন্দেহভাজনকে। তাদের মধ্যে লিটন ও সাঈদের স্বীকারোক্তিতে ওঠে আসে লোমহর্ষক হত্যাকান্ডের ঘটনা।

এ দুজন তাদের জবানবন্দিতে জানায়, ব্যাংক কর্মকর্তা পারভীন অফিসে আসা-যাওয়ার পথে তাকে কুপ্রস্তাব দেয়াসহ নানাভাবে যৌন হয়রানি করা হতো। এর প্রতিবাদ করায় ঘটনার দিন রাতে বাড়ির দেয়াল টপকে ভেতরে ঢোকে পাঁচ আসামি। এরপর অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পারভীনের বাবাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পাশের কক্ষে থাকা পারভীনকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে বাবা-মেয়ের লাশ সেফটিক ট্যাংকির ভেতরে ফেলে দেয়। পরে ঘরের জিনিসপত্র লুট করে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় লবণচরা থানায় পারভীনের ভাই রেজাউল আলম চৌধুরী বিল্পব বাদী হয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর একটি হত্যা মামলা করেন। আর পারভীনকে গণধর্ষণ ও হত্যায় মামলা হয় ২২ সেপ্টেম্বর। ২০১৬ সালের ৯ মে হত্যাকান্ডের ও একই বছরের ২৪ মার্চ গণধর্ষণের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কাজী বাবুল ওই পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।