ঢাকা-বেনাপোল রুটে আজ থেকে চালু হচ্ছে বিরতিহীন বেনাপোল এক্সপ্রেস। এছাড়া ঢাকা-রাজশাহী রুটের চলাচল করা বনলতা এক্সপ্রেসের রুট চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত বর্ধিত করা হবে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নতুন আন্তঃনগর এই ট্রেন সার্ভিসের উদ্বোধন করবেন বলে রেলওয়ে সূত্র জানায়।
বেনাপোল-ঢাকা পর্যন্ত উভয়দিকে যাত্রী ভাড়া শোভন চেয়ার-৫৩৪ টাকা, এসি চেয়ার ১ হাজার ১৩ টাকা (ভ্যাটসহ), এসি সিট-১ হাজার ২১৩ টাকা (ভ্যাটসহ), এসি বার্থ ১ হাজার ৮৬৯ টাকা (ভ্যাট+বেডিং চার্জসহ)।
জানা গেছে, নতুন ট্রেনের ব্যবহৃত ব্রডগেজ কোচগুলো এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য মিটারগেজ ও ব্রডগেজ প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ সংগ্রহ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ইন্দোনেশিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। দ্রুতগতির বিরতিহীন আধুনিক এ ট্রেন পরিচালনার ফলে বেনাপোল-ঢাকা-বেনাপোল রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের নিরাপদ আসা-যাওয়া সহজতর, দ্রুততর ও আরামদায়ক হবে। নতুন কোচগুলোর অন্যতম নতুন বৈশিষ্ট্য হলো বায়োটয়লেট সংযোজন। ট্রেনটিতে প্রতিবন্ধী যাত্রীদের হুইলচেয়ারসহ চলাচলের সুবিধার্থে থাকছে প্রসস্ত দরজা (মেইন ও টয়লেট দরজা) ও নির্ধারিত আসনের সুবিধা। প্রতিটি কোচ স্টেইনলেস স্টিলের তৈরি ও অত্যাধুনিক যাত্রীসুবিধা সংবলিত। প্রতিটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচে আধুনিক ও উন্নতমানের রুফ মাউন্টেড এয়ার কন্ডিশনার ইউনিট ও এয়ার কার্টেইনের ব্যবস্থা রয়েছে।
নতুন আমাদানিকৃত কোচগুলো স্টেইনলেস স্টিল বডির তৈরি। জার্মানির ডিজাইনে তৈরি উচ্চগতি সম্পন্ন কোচ। জার্মানির তৈরি আধুনিক অটোমেটিক এয়ার ব্রেক সিস্টেম। বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এলইডি লাইট। অজুখানাসহ নামাজঘর। সুইং ডোরের পরিবর্তে নিরাপদ স্লাইডিং ডোর। যাত্রীদের জন্য আধুনিক ও মানসম্মত চেয়ার, বার্থ, স্টেয়ার, পার্সেল র্যাক, টিভি মনিটর হ্যাঙার, ওয়াই-ফাই রাউটার হ্যাঙার, মোবাইল চার্জারের ব্যবস্থা রয়েছে। রুফ রাইডার কর্তৃক পথিমধ্যে অনাকাক্সিক্ষত ট্রেন থামানো রোধে বিশেষভাবে ডিজাইনকৃত অ্যালার্ম চেইন পুলিং সিস্টেম। খাবার গাড়িতে অত্যাধুনিক ডাইনিং সুবিধাদি রয়েছে।
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১২টি কোচ দ্বারা চলবে। ট্রেনটিতে এসি সিট, এসি চেয়ার ও শোভন চেয়ার শ্রেণীর সর্বমোট ৮৯৬টি (৭৯৫ নম্বর ট্রেনের ক্ষেত্রে) এবং এসি বার্থ, এসি চেয়ার ও শোভন চেয়ার শ্রেণীর সর্বমোট ৮৭১টি (৭৯৬ নম্বর ট্রেনের ক্ষেত্রে) আসনের ব্যবস্থা রয়েছে। বেনাপোল ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধের দিন ৭৯৫ বুধবার ও ৭৯৬ বৃহস্পতিবার। ট্রেনটি বেনাপোল থেকে দুপুর ১টায় ছেড়ে ঢাকা পৌঁছাবে রাত ৯টায় এবং ঢাকা থেকে রাত ১২টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে বেনাপোল পৌঁছাবে সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে। বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের অ্যাটেনডেন্ট ও ক্যাটারিং সেবা বাংলাদেশ রেলওয়ের নিজস্ব কর্মচারী দ্বারা পরিচালিত হবে। এ ট্রেনের ১০ শতাংশ নন-স্টপ চার্জসহ ভাড়া প্রযোজ্য হবে বলে রেলওয়ে সূত্র জানায়।
এ বিষয়ে রেলওয়ে মহাপরিচলক মো. শামছুজ্জামান সংবাদকে বলেন, বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বেনাপোল ট্রেনটির উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর বিরতিহীন ট্রেন সার্ভিসটি চলাচল শুরু হবে। ট্রেনটি ঢাকা থেকে বেনাপোল হয়ে যশোর পর্যন্ত চলাচল করবে। ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা কোচ দিয়ে নতুন ট্রেনটি চালু করা হবে। এ ট্রেনে বিমানের মতো বায়োটয়লেট সুবিধা রয়েছে। আসনগুলোও আধুনিক।
বুধবার, ১৭ জুলাই ২০১৯ , ৩ শ্রাবন ১৪২৫, ১৩ জিলকদ ১৪৪০
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
ঢাকা-বেনাপোল রুটে আজ থেকে চালু হচ্ছে বিরতিহীন বেনাপোল এক্সপ্রেস। এছাড়া ঢাকা-রাজশাহী রুটের চলাচল করা বনলতা এক্সপ্রেসের রুট চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত বর্ধিত করা হবে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নতুন আন্তঃনগর এই ট্রেন সার্ভিসের উদ্বোধন করবেন বলে রেলওয়ে সূত্র জানায়।
বেনাপোল-ঢাকা পর্যন্ত উভয়দিকে যাত্রী ভাড়া শোভন চেয়ার-৫৩৪ টাকা, এসি চেয়ার ১ হাজার ১৩ টাকা (ভ্যাটসহ), এসি সিট-১ হাজার ২১৩ টাকা (ভ্যাটসহ), এসি বার্থ ১ হাজার ৮৬৯ টাকা (ভ্যাট+বেডিং চার্জসহ)।
জানা গেছে, নতুন ট্রেনের ব্যবহৃত ব্রডগেজ কোচগুলো এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য মিটারগেজ ও ব্রডগেজ প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ সংগ্রহ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ইন্দোনেশিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। দ্রুতগতির বিরতিহীন আধুনিক এ ট্রেন পরিচালনার ফলে বেনাপোল-ঢাকা-বেনাপোল রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের নিরাপদ আসা-যাওয়া সহজতর, দ্রুততর ও আরামদায়ক হবে। নতুন কোচগুলোর অন্যতম নতুন বৈশিষ্ট্য হলো বায়োটয়লেট সংযোজন। ট্রেনটিতে প্রতিবন্ধী যাত্রীদের হুইলচেয়ারসহ চলাচলের সুবিধার্থে থাকছে প্রসস্ত দরজা (মেইন ও টয়লেট দরজা) ও নির্ধারিত আসনের সুবিধা। প্রতিটি কোচ স্টেইনলেস স্টিলের তৈরি ও অত্যাধুনিক যাত্রীসুবিধা সংবলিত। প্রতিটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচে আধুনিক ও উন্নতমানের রুফ মাউন্টেড এয়ার কন্ডিশনার ইউনিট ও এয়ার কার্টেইনের ব্যবস্থা রয়েছে।
নতুন আমাদানিকৃত কোচগুলো স্টেইনলেস স্টিল বডির তৈরি। জার্মানির ডিজাইনে তৈরি উচ্চগতি সম্পন্ন কোচ। জার্মানির তৈরি আধুনিক অটোমেটিক এয়ার ব্রেক সিস্টেম। বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এলইডি লাইট। অজুখানাসহ নামাজঘর। সুইং ডোরের পরিবর্তে নিরাপদ স্লাইডিং ডোর। যাত্রীদের জন্য আধুনিক ও মানসম্মত চেয়ার, বার্থ, স্টেয়ার, পার্সেল র্যাক, টিভি মনিটর হ্যাঙার, ওয়াই-ফাই রাউটার হ্যাঙার, মোবাইল চার্জারের ব্যবস্থা রয়েছে। রুফ রাইডার কর্তৃক পথিমধ্যে অনাকাক্সিক্ষত ট্রেন থামানো রোধে বিশেষভাবে ডিজাইনকৃত অ্যালার্ম চেইন পুলিং সিস্টেম। খাবার গাড়িতে অত্যাধুনিক ডাইনিং সুবিধাদি রয়েছে।
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১২টি কোচ দ্বারা চলবে। ট্রেনটিতে এসি সিট, এসি চেয়ার ও শোভন চেয়ার শ্রেণীর সর্বমোট ৮৯৬টি (৭৯৫ নম্বর ট্রেনের ক্ষেত্রে) এবং এসি বার্থ, এসি চেয়ার ও শোভন চেয়ার শ্রেণীর সর্বমোট ৮৭১টি (৭৯৬ নম্বর ট্রেনের ক্ষেত্রে) আসনের ব্যবস্থা রয়েছে। বেনাপোল ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধের দিন ৭৯৫ বুধবার ও ৭৯৬ বৃহস্পতিবার। ট্রেনটি বেনাপোল থেকে দুপুর ১টায় ছেড়ে ঢাকা পৌঁছাবে রাত ৯টায় এবং ঢাকা থেকে রাত ১২টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে বেনাপোল পৌঁছাবে সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে। বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের অ্যাটেনডেন্ট ও ক্যাটারিং সেবা বাংলাদেশ রেলওয়ের নিজস্ব কর্মচারী দ্বারা পরিচালিত হবে। এ ট্রেনের ১০ শতাংশ নন-স্টপ চার্জসহ ভাড়া প্রযোজ্য হবে বলে রেলওয়ে সূত্র জানায়।
এ বিষয়ে রেলওয়ে মহাপরিচলক মো. শামছুজ্জামান সংবাদকে বলেন, বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বেনাপোল ট্রেনটির উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর বিরতিহীন ট্রেন সার্ভিসটি চলাচল শুরু হবে। ট্রেনটি ঢাকা থেকে বেনাপোল হয়ে যশোর পর্যন্ত চলাচল করবে। ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা কোচ দিয়ে নতুন ট্রেনটি চালু করা হবে। এ ট্রেনে বিমানের মতো বায়োটয়লেট সুবিধা রয়েছে। আসনগুলোও আধুনিক।